শিরোনামঃ-

» মহানগর খেলাফত মজলিসের দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

Published: ১৬. অক্টো. ২০২৪ | বুধবার

“খেলাফত রাষ্ট্র ব্যবস্থা ছাড়া শান্তি ও মুক্তির কোন বিকল্প নেই” : মুফতি মাওলানা আলী হাসান উসামা

ডেস্ক নিউজঃ
দেশের প্রখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন, লেখক ও গবেষক মুফতি মাওলানা আলী হাসান উসামা বলেছেন, দেশের জনগণ বৈষম্য ও দূর্নীতি মুক্ত একটি সুন্দর বাংলাদেশের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান। মানব রচিত মতবাদের ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে ইসলামই একমাত্র বিকল্প।

খেলাফত ভিত্তিক রাস্ট্র ব্যবস্থাই হচ্ছে শান্তি ও মুক্তির প্রকৃত গ্যারান্টি। এ জন্য খিলাফাহ’র রুপরেখা জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। ব্যাপক জনসচেতনতা ও গণজাগরণ সৃষ্টির মাধ্যমে গণ-আন্দোলনের পটভূমি তৈরী করতে হবে।

খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগরী শাখার এক দায়িত্বশীল সমাবেশে আমন্ত্রিত মেহমান হিসেবে বক্তব্য দানকালে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

বৈষম্য, দূর্নীতি ও ফ্যাসিবাদমুক্ত ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে আগামী ২৬ অক্টোবর সিলেটের রেজিস্টারী মাঠে জেলা ও মহানগর খেলাফত মজলিস আয়োজিত সমাবেশ ও গণমিছিল সফলের লক্ষ্যে আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নগরীর ইউনাইটেড সেন্টারে সিলেট মহানগর শাখার এক দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মহানগরী সভাপতি হাফিজ মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা জাবেদুল ইসলাম চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সিলেট জোনের সরকারী পরিচালক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা নেহাল আহমদ, যুক্তরাজ্য নর্থ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এনামুল হাসান ছাবির, সিলেট মহানগর সহসভাপতি মাওলানা শাহ আশিকুর রহমান, কারী মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মাওলানা রওনক আহমদ, আব্দুল হান্নান তাপাদার, ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ারুল ইসলাম, কে.এম আবদুল্লাহ আল মামুন, ডা. মুহাম্মদ ফয়জুল হক, মাওলানা ইমদাদুল হক নোমানী, মাওলানা নুরুল ইসলাম জাকারিয়া, সহসাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আহমদ সাইফুর রহমান, মাওলানা জুনায়েদ আহমদ, মাসুদ আহমদ, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাতি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রমুখ।

সমাবেশে আগামী ২৬ অক্টোবর আয়োজিত রেজিস্টারী মাঠের সমাবেশ ও গণমিছিল

সফলের লক্ষ্যে থানা ও ওয়ার্ড দায়িত্বশীলদের ব্যাপক দাওয়াত ও গণ-সংযোগ কার্যক্রম সহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

» অসুস্থ ডা. আশরাফ আলীর দেখতে ইমদাদ চৌধুরী

Published: ১৬. অক্টো. ২০২৪ | বুধবার

নিউজ ডেস্কঃ

অসুস্থ মহানগর বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয় সম্পাদক ডা. আশরাফ আলীর শারীরিক অবস্থা খোঁজ খবর নিতে বুধবার (১৬ অক্টোবর) তার বাড়িতে যান সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম মল্লিক, সহ সভাপতি আব্দুল মালিক দোমাই, সমির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রহিম আলী রাশু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ আহমদ, কাইয়ুম আহমেদ, মাহবুব আহমেদ, মুহিন আহমেদ, ফরহাদ আহমেদ, কায়েস আহমেদ, সাদ্দাম আহমদ, খলিল মিয়া, রায়হান আহমেদ প্রমুখ।

» সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সমাবেশে বক্তারা

Published: ১৬. অক্টো. ২০২৪ | বুধবার

হোটেল-রেস্টুরেন্ট সেক্টরের শ্রমিকদের অতিদ্রুত নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র প্রদান করুন

ডেস্ক নিউজঃ

হোটেল সেক্টরে বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে মজুরি নির্ধারণ, নিয়োগ ও পরিচয়পত্র প্রদানের জন্য মালিক এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় সিলেটের ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে সংগঠনের জেলা সভাপতি মো. ছাদেক মিয়ার সভাপতিত্বে ও শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি জয়নাল মিয়ার পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত, সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা মো. আনু মিয়া, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমান আলী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক সুনু মিয়া, জেলা কমিটির অন্যতম নেতা আনোয়ার হোসেন, বন্দর বাাজার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিন, চন্ডিপুল আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শ্রমিকদের স্বার্থে ন্যায়সংগত ও আইনগত দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নে ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। হোটেল শ্রমিকদের শোষণ বঞ্চনা থেকে পরিত্রাণ এবং শ্রম আইন কার্যকর করার দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করলেও এখনো পর্যন্ত মালিকরা তা বাস্তবায়ন করছে না।

শ্রম আইনে শ্রমিকদের কর্মরত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র প্রদানের বাধ্যবাধকতা থাকলেও শ্রম আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মালিকরা তা প্রদান করছেন না। শ্রমিকরা মালিকদের নিকট তা প্রদানের দাবি জানালে মালিকরা আইন বাস্তবায়ন না করে উল্টো শ্রমিকদের উপর বিভিন্ন রকম নির্যাতন-নিপীড়ন চালানোর দু:সাহস দেখাচ্ছেন। একাধিক প্রতিষ্ঠান মালিক কর্তৃক শ্রমিকদের হামলা-মামলার ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির বাজারে দেশের অন্যান্য সেক্টরের শ্রমিকদের মতোই হোটেল শ্রমিকরা এক নিদারুন কষ্টে দিনানিপাত করছেন। সাবেক আওয়ামী সরকার শ্রমিকদের সঠিক প্রতিনিধি না রেখে যথেচ্ছভাবে ২০১৭ সালে নিম্নতম মজুরি ঘোষণা করলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৭ সালের পর জিনিসপত্রের দাম কয়েক গুন বাড়লেও শ্রমিকদের দাম বাড়েনি এক টাকাও। ৭১’ পরবর্তী সকল সরকারের আমলেই হোটেল শ্রমিকরা শোষণ-নির্যাতন বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। একটি বৃহৎ শিল্প হওয়া সত্ত্বেও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যথেষ্ট তদারকির অভাবে এ সেক্টরে কর্মরত লাখ লাখ শ্রমিক মানবেতর জীবনযাপন করে আসছে।

সভায় শ্রমিকদের আইনি পাওনা বাস্তবায়ন ও যথাযথ শ্রমিক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে মজুরি বোর্ড গঠন করে বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণ মজুরি ঘোষণার দাবি জানিয়ে আগামী ১৩ নভেম্বর সকাল ১০টায়, ক্বীণ ব্রীজের উত্তর পার (জালালাবাদ পার্কের সামনে) জমায়েত হয়ে শ্রমিকদের গণস্বাক্ষরসহ মাননীয় জেলা প্রশাসক সিলেট এর মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

» রাজন সহ নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় সিলেট জেলা যুবদলের নিন্দা ও প্রতিবাদ

Published: ১৬. অক্টো. ২০২৪ | বুধবার

নিউজ ডেস্কঃ

জকিগঞ্জ পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রাজনসহ নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সিলেট জেলা যুবদল।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন ও সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ বলেন, গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাত অনুমানিক ১০টার দিকে জকিগঞ্জ পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রাজনসহ নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হামলা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

» সিলেট বৌদ্ধবিহারে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

Published: ১৬. অক্টো. ২০২৪ | বুধবার

বাংলাদেশ সম্প্রীতির অনন্য নিদর্শনের প্রতীক : জেলা প্রশাসক

ডেস্ক নিউজঃ

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সিলেট বৌদ্ধবিহারে দিনব্যাপি প্রার্থনা, ধর্মীয় আলোচনা, মোমবাতি প্রজ্জলন ও ফানুস উত্তোলনসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠানে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলে কোন শব্দ বা জাতিস্বত্বা থাকবে না। এ দেশ সব সময় সম্প্রীতির অনন্য নিদর্শনের প্রতীক”।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিলেট নগরের আখালিয়াস্থ নয়াবাজারে সিলেট বৌদ্ধ সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত দিন্যব্যাপী প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠোনের ফানুস উত্তোলন পূর্ব সমাপনী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সিলেট বৌদ্ধ সমিতির উপাধ্যক্ষ শ্রীমৎ মহানাম ভিক্ষুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি বলেন, আমরা পরিবর্তিত বাংলাদেশে বসবাস করছি। সকল প্রকার বৈষম্য দূর করার জন্য এই নতুন বাংলাদেশ হয়েছে। সরকার বলেছে এদেশে কারো পরিচয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, সংখ্যা লঘু থাকবে না। সমঅধিকার নিয়ে এদেশে সবাই একসাথে বসবাস করবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হোসাইন মো. আল জুনাইদ, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জর্জ মিত্র চাকমা এবং ওমর সানী আকন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ মোহাম্মদ যোবায়ের, লতিফিয়া শফি ডিগ্রি কলেজ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মহিউদ্দিন।

জেলা প্রশাসক সিলেট বৌদ্ধ সমিতিকে ২টি ফানুস উপহার প্রদান করেন ও ফানুস উত্তোলনের উদ্বোধন করেন।

১ম পর্বে আলোচনা সভায় সমিতির সভাপতি চন্দ্রশেখর বড়ুয়ার সভাপতিত্বে এবং প্রবারণা ও কঠিন চীবর দান উদযাপন পরিষদের সচিব ইমন বড়ুয়া এবং সহসভাপতি পলাশ বড়ুয়ার যৌথ পরিচালনায় প্রথমেই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, উদযাপন পরিষদের আহবায়ক উদয়ন বড়ুয়া। ধর্মীয় আলোচনা করেন সিলেট বৌদ্ধবিহারের উপাধ্যক্ষ শ্রীমৎ মহানাম ভিক্ষু।

অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন, সমিতির উপদেষ্টা সুকান্তি বড়ুয়া, জোতিমিত্র বড়ুয়া মিটুল, পিপলু বড়ুয়া, নিশুতোষ বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক সুজন বড়ুয়া।

মধ্যাহ্নভোজের পর ২য় পর্বে ছিল চিত্রাংকন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আহবায়ক উদয়ন বড়ুয়া সঞ্চালনায় এবং সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন বড়ুয়ার পরিচালনায় এ পর্বে সিলেটে বসবাসরত সকল ধর্মাবলম্বীরা অংশগ্রহণ করেন। ৩য় ও শেষ পর্বে ছিল ফানুস উত্তোলন ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণার মধ্যদিয়ে সমাপ্তি হয়।

» সিলেট সদরে ভ্রাম্যমাণ ভূমি সেবা শুরু ভূমি সেবা জনগনের দুয়ারে পৌঁছে দিতে

Published: ১৬. অক্টো. ২০২৪ | বুধবার

নিউজ ডেস্কঃ

সিলেট সদর উপজেলা ভূমি অফিস কর্তৃক পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ ভূমি সেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের নির্দেশে মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত ভূমি সেবাপ্রার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান সহ ভূমি বিষয়ে সাধারণ মানুষকে পরামর্শ প্রদান সহ নামজারী ও ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ইত্যাদি কাজ সম্পাদন করার লক্ষ্যে এ ভ্রাম্যমাণ ভূমি সেবা চালু করা হয়। ভ্রাম্যমাণ ভূমি সেবাটি জনস্বার্থে চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে ভূমি অফিস।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে সহকারী কমিশনার ভূমি মো. মাহবুবুল ইসলাম সেবা প্রাপ্তিদের সাথে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেন।

বর্তমানে ভূমির সকল কার্যক্রম অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় সাধারণ মানুষকে অনলাইন বিষয়ে ভূমি সেবা নিয়ে অবগত করেন। ভূমি অফিসে না গিয়ে নিজের ঘরে বসে অনলাইনে সেবা নেওয়া যায়, এ বিষয়টি নিয়ে সেবাগ্রহীতাদের বেশি মনোযোগ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এ বিষয়ে সিলেট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. মাহবুবুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ ভূমি সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। আজ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন সম্মানিত নাগরিকে ভূমি পরামর্শ দেওয়া হয়। এ সেবা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে অব্যাহত থাকবে।

নাগরিকগন ভূমি অফিসে না গিয়ে অনলাইনে তাঁদের ঘরে বসে যাতে করে ভূমি সেবা নিতে পারে সেই বিষয়টি অবগত করা হচ্ছে। এখন আর ভূমি উন্নয়ন কর ভূমি অফিসে গিয়ে দেওয়া হয় না। ঘরে বসে নিজের মোবাইল দিয়ে নিজেই দেওয়া যায়। এ বিষয়টা মূলত সবাইকে অবগত করতেছি। পাশাপাশি ভূমির সকল কার্যক্রম এখন অনলাইনে সম্পাদন করা যায়।

যে সকল এলাকা দূরবর্তী স্থান থেকে নাগরিকরা ভূমি সেবা নিতে কষ্ট হয় তাদের কথা চিন্তা করে সেই সকল এলাকাতে ভ্রাম্যমান ভূমি সেবা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

» নিসচা সিলেট মহানগরের সাথে হাইওয়ে পুলিশের মতবিনিময়

Published: ১৬. অক্টো. ২০২৪ | বুধবার

নিউজ ডেস্কঃ

“ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার” এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৪ উপলক্ষে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর উদ্যোগে মাসব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় শ্রীরামপুরস্থ হাইওয়ে পুলিশের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ সিলেট রিজিয়নের অ্যাডিশনাল ডিআইজি শহিদ উল্লাহ এর সভাপতিত্বে ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদী পাবেল পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি রোটা. এম ইকবাল হোসেন, শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. রেজাউল হক, শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এটিএম মাহমুদুল হক, তামাবিল হাইওয়ে থানার ওসি পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আব্বাস আলী, জয়কলস হাইওয়ে থানার ওসি পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. হাবিবুর রহমান, সার্জেন্ট বাহারুল সোহাগ, এসআই মনিরুল ইসলাম, টিএসআই মো. শাহজালাল মিঞা, এএসআই আব্দুল্লাহ আল নোমান, এটিএসআই আলমগীর হোসেন, এটিএসআই মো. ফয়েজ সরকার, এএসআই রুহুল আমিন, এএসআই জাকির হোসেন, নিসচা মহানগরের সহ-সভাপতি কামরুল হোসেন, সহ-সভাপতি ডা. মনির চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান খান মুন্না, প্রচার সম্পাদক আহসান হাবিব, আইন বিষয়ক সম্পাদক হোসেন আহমদ, মহিলা সম্পাদিকা রুনা সুলতানা, দুর্ঘটনা ও অনুসন্ধান বিষয়ক সম্পাদক লিয়াকত আলী, যুব বিষয়ক সম্পাদক জিল্লুর রহমান, প্রকাশনা সম্পাদক শেখ মো. লায়েক মিয়া, কার্যকরি সদস্য নাজিম উদ্দিন, শমসের আলী, আকবর মিয়া, মনসুর আহমদ, কয়েছ আহমদ সাগর, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে হাইওয়ে পুলিশ সিলেট রিজিয়নের অ্যাডিশনাল ডিআইজি শহিদ উল্লাহ বলেন, আগামী ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হবে। তার লক্ষ্য নিয়ে নিসচা মাসব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে আমি নিসচা এরকম ভালো কাজের জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, গাড়ি চালানো অবস্থায় চালকরা অনেক সময় মোবাইল ফোনে কথা বলে গাড়ি চালায় যাহা সড়ক দুর্ঘটনার একটি অন্যতম কারণ।

গাড়ি চালানো অবস্থায় কখনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না। অনেক সময় দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে ওভারটেকিংয়ের চেষ্টা করে যাহা দুর্ঘটনার আরেকটি কারণ। দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে ওভারটেকিং থেকে চালকদের বিরত থাকতে হবে।

হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত গতিতে চালানো যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ ও হাইওয়ে রোড়ে সিএনজি, ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা ও টমটম হাইওয়ে রোডে চলাচল করে তাদের বিরুদ্ধে ও আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকি।

হাইওয়ে পুলিশ সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কাজ করে যাচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চালক, যাত্রী, পথচারীসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে তা না হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, হাইওয়ে রোড়ে চালকরা দুর পাল্লার গাড়ি দীর্ঘ সময় চালালে অনেক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে। সে জন্য হাইওয়ে রোডের পাশে চালক ও যাত্রীদের জন্য বিশ্রামের ব্যবস্থা থাকলে ভালো হত। তিনি হাইওয়ে পুলিশের সাথে নিসচাকে একযুগে কাজ করার আহবান জানান।

» স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজে এবারের এইচএসসিতে ১০৬টি জিপিএ-৫ সহ অনবদ্য ফলাফলের ধারা অব্যাহত

Published: ১৫. অক্টো. ২০২৪ | মঙ্গলবার

নিউজ ডেস্কঃ

স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজ থেকে ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে মোট ৩১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০৬ জন জিপিএ-৫, ও ১৪৫টি এ গ্রেড সহ অনবদ্য ফলাফল করেছে। সন্তোষজনক ফলাফল করায় ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও কলেজ কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত আনন্দিত।

রেজাল্ট প্রকাশের সাথে সাথেই কলেজে আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে ফলাফল ঘোষণা করেন, কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফয়জুল হক।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ মহোদয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাবক সহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং অর্জিত ফলাফল ধরে রেখে ভবিষ্যতে আরও ভালো ফলাফল অর্জন করতে বদ্দপরিকর। তিনি প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

যাত্রালগ্ন থেকেই স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজ বৃহত্তর সিলেটের শিক্ষায় সাড়া জাগিয়েছে। অসাধারণ ফলাফল, কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজ, নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙখলাবোধে স্কলার্সহোম এক রোল মডেল বিদ্যাপীঠ।

সুদক্ষ অধ্যক্ষ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী, আন্তরিক পরিচালনা পর্ষদসহ সবাই শিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের সমৃদ্ধ ভিত্তি ও বিশ্বায়নের পৃথিবীতে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে বদ্দ পরিকর।

প্রতিষ্ঠানে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত শ্রেণিকক্ষ, সমৃদ্ধ পাঠাগার, উন্নত সাইন্স ও কম্পিউটার ল্যাব, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিদ্যমান।

দৃষ্টিনন্দন এ ক্যাম্পাস আপনার সন্তানের জন্য হতে পারে একটি আদর্শ বিদ্যা শিক্ষার প্রতিষ্ঠান।

» সিলেট বৌদ্ধ বিহারে প্রবারণা পূর্ণিমা ও ফাসুন উত্তোলন বুধবার

Published: ১৫. অক্টো. ২০২৪ | মঙ্গলবার

ডেস্ক নিউজঃ

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা আজ বুধবার। প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সিলেট বৌদ্ধ সমিতির উদ্যোগে সিলেট নগরীর আখালিয়া, নয়াবাজারস্থ বৌদ্ধবিহারে দিনব্যপী এই উৎসব পালন করা হবে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৬টায় জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, এরপর ভিক্ষু সংঘের প্রাতরাশ, ১০টায় শীল গ্রহণ ও বুদ্ধপূজা, ১১টায় ভিক্ষু সংঘের পিণ্ডদান, দুপুর ২ টায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ৪টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সন্ধ্যায় ফানুস ওড়ানোর উৎসব হবে।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্য উদযাপন পরিষদের আহবায়ক উদয়ন বড়ুয়া এবং সদস্য সচিব ইমন বড়ুয়া আহবান জানিয়েছেন।

মহামতি গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভের পর আষাঢ়ি পূর্ণিমা থেকে অশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উদযাপন করেন। সেই থেকে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা বর্ষাবাস শেষে দিনটি উদযাপন করে আসছেন।

এটি আশ্বিনী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। আত্মশুদ্ধি অর্জনের মধ্যদিয়ে অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের আয়োজন হলো প্রবারণা।

প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সিলেট বৌদ্ধ সমিতির সভাপতি চন্দ্রশেখর বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক সুজন বড়ুয়া।

এক শুভেচ্ছাবার্তায় তাঁরা বলেন, ‘এ দিনে ভগবান বুদ্ধ ভিক্ষু সংঘকে বহুজনের হিতের জন্য, সুখের জন্য দিকে দিকে সদ্ধর্মকে প্রচার ও প্রকাশের নির্দেশ দেন। এ দিন ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রতের পরিসমাপ্তির দিন।’

» ১৭ অক্টোবর সিলেট আসছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম এ মালিক

Published: ১৫. অক্টো. ২০২৪ | মঙ্গলবার

ডেস্ক নিউজঃ

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম এ মালিক আগামী বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১টায় সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।

বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাতে সিলেটের বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন।

বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করবেন। পরে তাঁর গ্রামের বাড়ী দক্ষিণ সুরমার তেতলীতে যাবেন।

দীর্ঘদিন পর দেশের ফেরার প্রতিক্রিয়ায় এম এ মালিক বলেন, আমি খুব ইমোশনাল হয়ে পড়েছি। আমার মায়ের শেষ ইচ্ছা ছিল; দেশের মাটিতে যেন তাকে কবর দেওয়া হয়।

কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের বাধায় আমার মায়ের মরদেহ দেশে নিতে পারিনি। এমনকি আমার বাবা ও ছোট ভাইয়ের মরদেহও দেশে নিয়ে কবর দিতে পারি নাই। শেখ হাসিনা সরকার আমার পাসপোর্ট আটকে রেখেছিল।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে দীর্ঘ ১৮ বছর পর আমি পাসপোর্ট ফিরে পেয়েছি। এখন দেশে ফিরলে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও রাজনৈতিক নেতাসহ সবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হবে- এটা ভেবে আমি খুবই এক্সাইটেড।

এম এ আব্দুল মালিকের সিলেট আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও আব্দুল মালিক ১নং সমর্থক গোষ্ঠীর সভাপতি সৈয়দ খিজির হোসাইন এনু।

» আগামী ১৪ দিনের মধ্যে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ব্যর্থ হলে শোয়া কর্মসূচী

Published: ১৫. অক্টো. ২০২৪ | মঙ্গলবার

প্রধান উপদেষ্টা সহ ৪ উপদেষ্টা ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

নিউজ ডেস্কঃ

সিলেট কল্যাণ সংস্থা, সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা ও সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর ২০২৪) বেলা সাড়ে ১১টায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যূল্যের উর্ধ্বগতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় কার্যালয় সিলেট এর সম্মুখে এক ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচী এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, বানিজ্য উপদেষ্টা, কৃষি উপদেষ্টা, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা (মাধ্যম: বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট) ও বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। বিভাগীয় কমিশনারে পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) কে এম আলী আযম। সংস্থাগুলো প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এক ঘন্টার অবস্থান কর্মসূচীতের বক্তারা বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ফটোসেশন উপেক্ষা করে বাস্তবভিত্তিক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

সিন্ডিকেটবাজ, অধিক মজুদদার ও অসাধু ব্যবসায়ীকে জরিমানা না করে আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করে কারাগারে প্রেরণ করা হউক। অধিক লাভের আশায় যারা সাধারণ জনগণকে চরম বিপদে ফেলে টাকা উপার্জনের চেষ্টা করছে এদেরকে জরিমানা নয় জেল হাজতে পাঠাতে হবে। আগামী ১৪ দিনের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতিনিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ব্যর্থ হলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ১০ মিনিট শোয়া কর্মসূচী পালন করা হবে।

জাতীয় যুব দিবস-২০১০ এ জাতীয় যুব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের সভাপতিত্বে ও সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সিবিযুকস’র সিলেট মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম শিতাব।

অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, মহানগরীর সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশী প্রবাসী নেতা মো. আমিনুল ইসলাম ডিনেস, যুবনেত্রী কল্পনা আক্তার, সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুস সোবহান আজাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. রুয়েল আহমদ বক্ত তুষার, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান, সিলেট মহানগর কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইব্রাহীম, মো. নুর হোসেন, সচেতন নাগরিক ও সাংগঠনিক যুব নেতৃবৃন্দদের পক্ষ থেকে অবস্থান কর্মসূচী ও স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, মো. সজিব আহমদ, মো. ইব্রাহিম মিয়া, মো. খালেদুর রহমান, আতাউর রহমান, সাংবাদিক মো. আজমল আলী, নেছার আহমদ নেছার, দিলীপ কুমার বর্মন, রাধিকা রঞ্জন পাল ছাবুল, জাকারিয়া মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সাকের, আবুল কাশেম, হাসান আহমদ, রায়হান ইসলাম সাগর, চাঁদনি বেগম, রুপা আক্তার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাগর আহমদ, তানভীর আহমদ, নাঈম আহমেদ ও সাংবাদিক মেহেদী হাছান অপূর্ব।

স্মারকলিপির বিষয়বস্তুঃ

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের নতুনভাবে পথচলা শুরু হয়। ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জন্য হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও সার্বজনীন শান্তি আবার ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই শান্তিকে অস্থিতিশীল করতে একটি কুচক্রীমহল সবসময়ই অপচেষ্টায় লিপ্ত।

এই কুচক্রীরা বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যের বাজারকে অস্থিতিশীল করার পায়তারায় ব্যস্থ। এদেরকে প্রতিহত করতে সর্বস্তরের ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, সিন্ডিকেটবাজ, পণ্যের অনাকাঙ্খিত মজুদদার ও অধিক মুনাফাখোরদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে ঘোষনার দাবি জানাই। সাধারণ মানুষের আয়ের সাথে বর্তমানে ব্যয়ের কোন সামঞ্জস্য নেই।

মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের প্রতি মাসে প্রায় ১০/১২ দিন খুবই কষ্টে দিন অতিবাহিত করতে হয়। ৩/৪ বছর ধরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বেড়ে চলছে। কিন্তু ৪ বছরে সাধারণ যেকোন ব্যাক্তির আয় ৪-৫ গুন বৃদ্ধি হয়নি। তবে নিত্য পণ্যের মূল্য ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে।

প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে সবধরনের পণ্যক্রয় করা সাধারণ মানুষের ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। এমনিতেই প্রতিটি পণ্যের মূল্যই বিগত সময়ে দ্বিগুণ-তিনগুনের মাত্রা ছাড়িয়েছে।

বর্তমানে বিভিন্ন অযুহাতে সিন্ডিকেটবাজ, মাত্রাতিরিক্ত, মুনাফাখোর ও অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতিদিনই পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। এভাবে পণ্যের মূল্য বাড়তে থাকলে দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তসহ গরীব মানুষেরা অসহায় হয়ে পড়বে। যাঁর কারণে দেশ, সংকট ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে।

বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য, ঔষধ ও শিক্ষা সামগ্রীর মূল্য প্রতিদিনই বেড়ে চলছে। জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে এনে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় সবধরনের দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আপনার সুচিন্তিত পদক্ষেপ নিতে আমরা সিলেটবাসী সহ বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ আশা করছি। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সিন্ডিকেটবাজ, মজুতদার, অসাধু ব্যবসায়ী ও অধিক মুনাফাখোরদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা খুবই প্রয়োজন।

পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা শহর, উপজেলা শহর সহ সবজায়গায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ে প্রতিটি পাইকারী ও খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রে মূল্য তালিকা টাঙ্গানোর ব্যবস্থা করা জরুরী। তাতে সাধারণ জনগন মূল্য তালিকা দেখে সহজে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।

» আদালতের নির্দেশনা ও বাস্তবায়ন বিষয়ে সুবিধাভোগীদের সাথে বেলার মতবিনিময়

Published: ১৫. অক্টো. ২০২৪ | মঙ্গলবার

নিউজ ডেস্কঃ

আদালতের নির্দেশনা ও বাস্তবায়ন বিষয়ে সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সিলেটের একটি অভিজাত হোটেলে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভার শুরুতেই একটি উপস্থাপনা পরিবেশন করেন, বেলা সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, বেলার হেড অব প্রোগ্রাম ফিরোজুল ইসলাম।

সভায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে পরিবেশ সম্পর্কে অবগত ব্যক্তিরা অংশ নেন। তখন তারা আদালতের নির্দেশনা ও বাস্তবায়ন বিষয়ে তাদের অভিমত ৪টি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রকাশ করেন। সেখানে তারা বালু ও পাথর উত্তোলন, পাহাড়, টিলা কাঁটা, শিল্প দূষণ ও নতুন ইস্যু নিয়ে নিজেদের অভিমত প্রকাশ করেন ও সুপারিশ প্রদান করেন।

সেখানে সুনামগঞ্জের ধোপাজান চলতি ও যাদুকাটা নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, মৌলভীবাজারের রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী, কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল উপজেলার সবকটি পাহাড়ী ছড়া, টিলা, নদনদী ও হাওর থেকে অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন, শ্রীমঙ্গলের ভূনিবর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে বোমা মেশিনে বালু উত্তোলন, সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন পাথর কোয়ারী ও ভিটাবাড়ি, বনাঞ্চল থেকে অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন, সিলেট বিভাগাধীন টিলা বেষ্টিত এলাকা সমূহ থেকে পাহাড়-টিলা কেটে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট নির্মিত হচ্ছে এবং পরিবেশ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে বলে তারা ইস্যু প্রকাশ করেন। যার ফলে টিলা ধস ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি হচ্ছে।

এসকল সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য সুপারিশ দেন তারা। সুপারিশে উল্লেখ করেন- উপরোক্ত সমস্যা, মন্তব্য সমূহ বাস্তবায়নের স্বার্থে বেলা’র নেতৃত্বে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ, সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও সমন্বিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন।

এজন্য প্রশাসনিক ও আইনী পদক্ষেপ সমূহের গতি মন্থর রোধ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের অনীহা দূর, স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপ ও আইন অমান্য করার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ, জনসচেতনতা, বেলা কর্তৃক মামলাসমূহের যথাযথ বাস্তবায়নে প্রশাসনের ভূমিকা থাকা প্রয়োজন বলে তারা উল্লেখ করেন।

Callender

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031