শিরোনামঃ-

» যশোরে গভীর রাতে ফিলিং স্টেশনে জোড়া খুন

প্রকাশিত: ০৭. জুন. ২০১৬ | মঙ্গলবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ চুয়াডাঙ্গায় ব্যবসায়ীকে গুলি করে, ঝিনাইদহে সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৩ জেলা যশোর, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গায় গত রবিবার রাত থেকে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ৪টি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। এর মধ্যে যশোরের বাঘারপাড়ায় একটি ফিলিং স্টেশনে জোড়া খুনের ঘটনায় প্রাণ হারায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক ওবায়দুর রহমান (৩০) ও এমএম কলেজের ছাত্র লিজন আহমেদ অপু (২৪)। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নজরুল ইসলাম (৩৬) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে আলফাজ উদ্দিন (৫৪) নামে এক সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আলফাজের চাচাত ভাই সদ্য নির্বাচিত ইউপি সদস্যসহ ২ জন আহত হয়েছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশসূত্রের বরাত দিয়ে আমাদের যশোর অফিস জানায়, রবিবার রাতে যশোর-নড়াইল সড়কের বাঘারপাড়া অংশে চাড়াভিটা বাজারে আব্দুল বারী ফিলিং স্টেশনে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার ওবায়দুর, নজলম্যান (কর্মচারী)  সিরাজুল ও কলেজ ছাত্র লিজন আহমেদ অপু  ঘুমিয়ে ছিলেন। ওবায়দুর ও কর্মচারী নিয়মিতই পাম্পে থাকতেন। আর অপুর বাড়িতে সংস্কার কাজ চলায় তিনি রাতে ওই পাম্পে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় তার কাছে আগের দিনের সরিষা বিক্রির ৫০ হাজার টাকা ছিল। ওবায়দুর বাঘারপাড়া উপজেলার দশপাখিয়া গ্রামের রহমান মোল্লার ছেলে। আর অপু রঘুনাথপুর গ্রামের সদর উদ্দিন খানের ছেলে।

গতকাল সোমবার সকালে পুলিশ লাশ ২টি উদ্ধার করে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বাঘারপাড়া থানার ওসি ছয়রুদ্দিন আহমেদ জানান, গতকাল সকালে এলাকার মানুষ ফিলিং স্টেশনে তেল নিতে এসে এখানকার কর্মচারীদের ডাকাডাকি করে কোন সাড়া পায়নি। পরে তারা জানালায় উঁকি দিয়ে ফিলিং স্টেশনের ভেতরে ২টি লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ পাম্পের দরজার তালা ভেঙে ঘটনাস্থল থেকে লাশগুলো উদ্ধার করেছে।

ওবায়দুর ও অপু খুন হওয়ার পর সকাল থেকে নজলম্যান সিরাজুল নিখোঁজ রয়েছেন।

হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অপুর স্বজনরা জানিয়েছেন, অপুর কাছে ৫০ হাজার টাকা থাকলেও এ কারণে তাকেসহ দুজনকে হত্যা করা হবে এটা তারা মানতে পারছেন না। এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য রয়েছে। তাদের দাবি, বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে অপু বিদেশে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিল। এজন্য এক ব্যক্তিকে প্রায় ১২ লাখ টাকা দেয়া হয়েছিল। এই বিদেশে যাওয়ার টাকাই অপুর কাল হয়েছে কিনা এমন আশঙ্কা তাদের।

ফিলিং স্টেশনের মালিক মাসুদুর রহমান জানান, রাতে ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকে। এর আগেই প্রতিদিনের হিসেব-নিকেশ সম্পন্ন করে টাকা নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ কারণে পাম্পে তেমন টাকা ছিল না। আর জানা মতে ম্যানেজার ওবায়দুরের কোনো শত্রু নেই। তাই কেন তাদের হত্যা করা হলো, এটা এখন একটি বড় প্রশ্ন।

বাঘারপাড়া থানার ওসি জানান, নিখোঁজ নজলম্যান সিরাজুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে। পুলিশ তাকে আটকের জন্য অভিযান শুরু করেছে। তাকে আটক করতে পারলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। পুলিশ ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত কুড়াল উদ্ধার করেছে।

জোড়া খুনের ঘটনায় পাম্পের লিজ গ্রহিতা মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৬৩ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930