শিরোনামঃ-

» রাজধানীর গুলিস্তানে আবারো সংঘর্ষ, আটক ২ শতাধিক

প্রকাশিত: ১০. জুন. ২০১৬ | শুক্রবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ রাজধানীর গুলিস্তানে ফুটপাতের হকার ও বিপণি বিতানের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আবারো সংঘর্ষ হয়েছে। মারামারি আর পুলিশের টিয়ারশেলে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আহতদের মধ্যে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনারও রয়েছেন।
টিয়ার শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর  শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ২০০ জনকে আটক করার কথা জানিয়েছেন পল্টন থানার ওসি মোরশেদ আলম।
গুলিস্তানের ঢাকা ট্রেড সেন্টারের সামনের ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করে ওই সড়ক যান চলাচলের উপযোগী করার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বৃহস্পতিবার ওই এলাকা পরিদর্শনে যান। তিনি ফিরে যাওয়ার পরপরই হকার এবং ওই বিপণি বিতানের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে; যান চলাচল বন্ধ থাকে আড়াই ঘণ্টা।
ওই ঘটনার পর থমথমে পরিস্থিতির মধ্যে শুক্রবার সকাল থেকে গুলিস্তান ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান নিতে থাকেন হকাররা। এদিকে স্থানীয় বিপণি বিতানের ব্যবসায়ীরাও তাদের দোকানে যেতে শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে গেলে শুরু হয় সংঘর্ষ। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে ওই এলাকা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
গুলিস্তানে ফুটপাত উচ্ছেদ নিয়ে শুক্রবার হকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশের তত্পরতা। এই সংঘর্ষের মধ্যে উড়ে আসা ইটের আঘাতে আহত হন মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন। বেলা ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২ পক্ষকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।
পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে দুপুরে ঘটনাস্থলে যান ঢাকার পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, নিয়ন্ত্রণে থাকবে।  যারা এই অপরাধের সাথে জড়িত হয়েছে, যারা আত্মঘাতি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে, যারা এই জন নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে, তাদের এক বিন্দুও ছাড় দেয়া হবে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, “আপনারা জানেন, এই রাস্তাগুলোতে হকাররা বসেছিল। আমরা ও সিটি করপোরেশন মিলে এটা উচ্ছেদ করেছি জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে। এখন তারা (হকার) যদি গোলমাল করে। তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেব। মামলা হবে, গ্রেপ্তার হবে। যে আইন ভাঙবে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।”
পুলিশ কমিশনার বলেন, মতিঝিল বিভাগে উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন ‘গুরুতর আহত’ হয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, “আনোয়ার স্যারের বাঁ চোখের উপর ইটের আঘাত লেগেছে। স্যারকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে মো. বিল্লাল, মো. বাবুল, মিজানুর রহমান, তারেক নামে ৪ হকার এবং নজরুল ইসলাম নামে ১ দোকানের কর্মচারী  ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫২১ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930