- জৈন্তাপুরে ছাত্রদলের সাথে হাকিম চৌধুরীর মতবিনিময়
- সোনালী প্রজন্ম মেধাবৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
- সিলেট জেলা শ্রমিক দলের কর্মী সভা
- সিলেটে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে ধানের পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত
- জুলাই বিপ্লবে জন্ম নেওয়া ‘টিম অনওয়ার্ড’ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
- মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে সিলেট মহানগর জামায়াতের শোক
- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সিলেট জেলা উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর গণসমাবেশ শায়খ জিয়া উদ্দীন
- আগামীকাল ২৪ নভেম্বর জনসভা ও গণমিছিল সফল করুন : বাসদ
- ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাথে প্রবাসী আজমের মতবিনিময়
- সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষনা হলে সংশয় দূর হবে
» ভ্রমণ করুন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সিলেট অঞ্চলে
প্রকাশিত: ২৬. জুন. ২০১৬ | রবিবার
সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ সিলেট বাংলাদেশের উওর-পূর্বে অবস্থিত একটি প্রাচীন জনপদ । জৈন্তিয়া পাহাড়ের অপরূপ দৃশ্য, জাফলং এর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য, ভোলাগঞ্জের সারি সারি পাথরের স্তূপ পর্যটকদের টেনে আনে বার বার।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
ঢাকা থেকে সিলেটের সাথে সড়ক, রেল ও বিমান সকল রুটেই যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। অন্যান্য রুটের চেয়ে রেলপথে ভ্রমণই সুবিধাজনক।
সড়কপথে
ঢাকার সায়েদাবাদ, কমলাপুর, কল্যাণপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দিনে-রাতে বিভিন্ন পরিবহনের অসংখ্য বাস এই রুটে চলাচল করে। এই রুটে এসি ও নন-এসি দুই ধরনের বাসই রয়েছে। এসি বাসগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রীণ লাইন, আল-মোবারাকা সোহাগ, সৌদিয়া ও এস.আলম। আর নন-এসি বাসগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্যামলী পরিবহন, হানিফ পরিবহন, মামুন, ইউনিক পরিবহন।
রেলপথে
ঢাকা থেকে সরাসরি সিলেটের সাথে রেল যোগাযোগ রয়েছে। ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে প্রতিদিন একাধিক ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকা – সিলেট রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো হলো।
বিমান পথে
ঢাকা থেকে সিলেটের সাথে সরাসরি বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি করে ফ্লাইট সপ্তাহে ৪ দিন ঢাকা- সিলেট ও সিলেট-ঢাকা রুটে চলাচল করে।
দর্শনীয় স্থান
জাফলং
খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত জাফলং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ লীলাভূমি। পিয়াইন নদীর তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়। সীমান্তের ওপারে ইনডিয়ান পাহাড় টিলা, ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরাম ধারায় প্রবাহমান জলপ্রপাত, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রীজ, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ হিমেল পানি,উঁচু পাহাড়ে গহিন অরণ্য ও শুনশান নিরবতার কারণে এলাকাটি পর্যটকদের দারুণভাবে মোহাবিষ্ট করে। এসব দৃশ্যপট দেখতে প্রতিদিনই দেশী-বিদেশী পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানে। প্রকৃতি কন্যা ছাড়াও জাফলং বিউটি স্পট, পিকনিক স্পট, সৌন্দর্যের রাণী- এসব নামেও পর্যটকদের কাছে ব্যাপক পরিচিত। ভ্রমন পিয়াসীদের কাছে জাফলং এর আকর্ষণই যেন আলাদা। সিলেট ভ্রমনে এসে জাফলং না গেলে ভ্রমনই যেন অপূর্ণ থেকে যায়। সিলেট নগরী থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলায় জাফলং এর অবস্থান।
সিলেট থেকে আপনি বাস/ মাইক্রোবাস/ সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় যেতে পারেন জাফলং এ। সময় লাগবে ১ ঘন্টা হতে ১.৩০ ঘন্টা।
ভাড়াঃ বাস -জনপ্রতি ৫৫ টাকা
মাইক্রোবাস- ১৭০০-২০০০/-টাকা
সি এন জি চালিত অটো-রিক্সাঃ ৭০০/ টাকা।
থাকার তেমন বেশি সুব্যবস্থা জাফলং এ নাই। তবে যে কয়টি ব্যবস্থা আছে তার মধ্যে জেলা পরিষদের নলজুরী রেস্ট হাউস(থাকতে হলে পূর্বে অনুমতি নিতে হবে), শ্রীপুর পিকনিক স্পট উল্লেখযোগ্য। কিছু বোডিং এর ব্যবস্থা আছে। এছাড়া শ্রীপুর ফরেস্টে এর একটি বাংলো আছে পর্যটকদের থাকার জন্য।
ভোলাগঞ্জ
সিলেটের আর একটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান হলো ভোলাগঞ্জ। রোপওয়ে, পাথর কোয়ারী আর পাহাড়ী মনোলোভা দৃশ্য অবলোকনের জন্য এখানে প্রতিদিনই আগমন ঘটে পর্যটকদের।
সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জের দূরত্ব মাত্র ৩৩ কিলো মিটার। শহর থেকে ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত সরাসরি কোন যানবাহন সার্ভিস নেই। আগন্তুকরা সিলেট থেকে টুকেরবাজার পর্যন্ত যাত্রীবাহি বাস অথবা ফোরস্ট্রোকযোগে যাতায়াত করেন। টুকের বাজার থেকে ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত রয়েছে বেবিটেক্সি সার্ভিস।
জেলা পরিষদের একটি রেস্ট হাউস আছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্ত্বাধানে। থাকতে হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি নিতে হয়। এ ছাড়া ভোলাগঞ্জ বা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় থাকার জন্য তেমন কোন ভাল ব্যবস্থা নাই। আপনি ভোলাগঞ্জ দর্শন শেষ করে সিলেটে এসে অবস্থান করতে পারবেন।
লালাখাল
স্বচ্ছ নীল জল রাশি আর দুধারের অপরুপ সোন্দর্য, দীর্ঘ নৌ পথ ভ্রমনের সাধ যেকোন পর্যটকের কাছে এক দূর্লভ আর্কষণ। তেমনি এক নির্জন মনকাড়া স্থান লালাখাল। লালাখাল সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার সন্নিকটে অবস্থিত। সারি নদীর স্বচ্চ জলরাশির উপর দিয়ে নৌকা অথবা স্পীডবোটে করে আপনি যেতে পারেন লালা খালে। ৪৫ মিনিট যাত্রা শেষে আপনি পৌছে যাবেন লালখাল চা বাগানের ফ্যাক্টরী ঘাটে। ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান।
সিলেট শহর হতে লালাখাল যাবার জন্য আপনাকে পাড়ি দিতে হবে ৩৫ কি.মি রাস্তা। আপনি অনেক ভাবে লালাখাল যেতে পারেন। বাস, মাইক্রো, টেম্পু যোগে আপনি যেতে পারেন।
লালাখালে থাকার তেমন কোন সুবিধা নাই। সাধারনত পর্যটকরা সিলেট শহর হতে এসে আবার সিলেট শহরে হোটেলে রাত কাটায়। সাম্প্রতিক নাজিমগড় রিসোর্ট নামে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত পিকনিক স্পট গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে।
ক্বীন ব্রীজ
সিলেটের অন্যতম একটি ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থান হলো এই ক্বীন ব্রীজ। সিলেট শহরের কেন্দ্রস্থলেই এই ব্রীজটি অবস্থিত। ব্রীজটি এক নজর দেখার জন্য প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক পর্যটক ভিড় জমান।
মনিপুরী রাজবাড়ী
নগর সিলেটের মির্জাজাঙ্গালে অবস্থিত মনিপুরী রাজবাড়ী প্রাচীন স্থাপত্য কীর্তির অন্যতম নির্দশন। এখনও ধ্বংস স্তপের মতো টিকে থাকা স্থাপনাটি এ বাড়ীসহ সিলেটে বসবাসরত মনিপুরী সম্প্রদায়ের গভীর শ্রদ্ধা-ভক্তির স্থান। এ ভবনের নির্মাণ শৈলী সিলেট অঞ্চলের কৃষ্টি-সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এককালের প্রভাবশালী রাজা গম্ভীর সিং এর স্মৃতিধন্য এ বাড়িটি আজ অবহেলিত ও বিলীন প্রায়। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে প্রকৃত ভবন হারিয়েছে তার স্বকীয়তা। বাড়ীর সুপ্রাচীন প্রধান ফটক, সীমানা দেয়াল, মনোহর কারুকাজের সিড়ি ও বালাখাঁনার ধ্বংসাবশেষই বর্তমান মনীপুরী রাজবাড়ীর স্মৃতি সম্বল।
হযরত শাহজালাল (র:) ও হযরত শাহপরান (র:) এর মাজার
সিলেটের আরও একটি নিদর্শনীয় স্থান হলো হযরত শাহজালাল (র:) ও হযরত শাহপরান (র:)এর মাজার। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থীদের পদচারণায় মাজার প্রাঙ্গন মুখরিত থাকে। এই মাজারের উল্লেখযোগ্য দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে গজার মাছ, জালালী কবুতর, জমজমের কূপ ও ঝরনা, ডেকচি, হযরত শাহজালালের ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, চিল্লাখানা ও দরগাহ শরীফ।
এক নজরে সিলেটে দর্শনীয় স্থানের তালিকা:
১। জাফলং (জিরো পয়েন্ট, মারি নদী, চা বাগান, খাসীয়া পল্লী)
২। হযরত শাহজালাল (রা.) ও হযরত শাহ পরাণ (রা.) এর মাজার শরীফ
৩। জৈন্তাপূর (পুরানো রাজবাড়ী)
৪। মাধব কুন্ড ও পরীকুন্ড জলপ্রপাত
৫। শ্রীমঙ্গল (চা বাগান, লাওয়াছরা বন, মাধবপুর লেক)
৬। লালাখাল
৭। তামাবিল
৮। হাকালুকি হাওড়
৯। কীন ব্রিজ
১০। ভোলাগঞ্জ
১১। মহাপ্রভু শ্রী চৈত্যনো দেবের বাড়ি
১২। হাছন রাজা জাদুঘর
১৩। মালনী ছড়া চা বাগান
১৪। ড্রিমল্যান্ড পার্ক
১৫। আলী আমজাদের ঘড়ি
১৬। জিতু মিয়ার বাড়ি
১৭। মনিপুরী রাজবাড়ি
১৮। মনিপুরী মিউজিয়াম
১৯। শাহী ঈদগাহ
২০। ওসমানী শিশু পার্ক
২১। হামহাম জলপ্রপাত
২২। সাতছড়ি অভয়ারণ্য
২৩। রেমা উদ্দ্যান
২৪। এশিয়ার বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং
২৬। বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম এর বাড়ি
২৭। মির্জাপুর ইস্পাহানী চা বাগান
২৮। বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট
২৯। নীল কন্ঠ (৭ রংঙের চা)
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১৫৫৩ বার
সর্বাধিক পঠিত খবর
- হত্যা না করেও ২৬ জনের উপর হত্যা মামলার করলো আওয়ামী লীগ
- সুনামগঞ্জ জেলায় নির্বাচনী হাওয়া; সরেজমিন প্রতিবেদন
- জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহীন আলী গ্রেফতার; উত্তাল দক্ষিণ সুরমা
- তালাকনামা জালিয়াতির দায়ে বিশ্বনাথে কাজী গ্রেফতার; ৭ জন আসামীর উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী
- কিডনী রোগীদের জরুরী তথ্য কণিকা জানা আবশ্যক
এই বিভাগের আরো খবর
- দুর্নীতিবাজ শিক্ষক প্রত্যাহারের দাবীতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বিয়ানীবাজারের খলাগ্রামবাসীর স্মারকলিপি
- লায়ন্স ক্লাব অব সিলেট সুরমা’র ডেন্টাল ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- ‘মার্সেল হা-শো’র সিলেট অডিশন ৫ অক্টোবর
- কানাইঘাট অ্যাসোসিয়েশন ইউকে’র এসজিএম ও পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন
- এলজিইডি কন্ট্রাকটর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন