শিরোনামঃ-

» সিলেট কারাগারে ফাঁসির পূর্বে বনফুলের মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মাকু রবিদাসের

প্রকাশিত: ১৩. জুলাই. ২০১৬ | বুধবার

সিলেট বাংলা নিউজঃ প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে চুনারুঘাট উপজেলার দারাগাওয়ের মাকু রবিদাসের (৪৭) মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রাত ১২টা ১ মিনিটে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ আমিনুর রহমানের উপস্থিতিতে সিলেট কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। তার ফাঁসি কার্য্যকর করে সিলেট কারাগারের আসামী জল্লাদ গােলাম ফারুক।

তবে তাকে ফাসি কার্য্যকর করার বিষয়টি শিখিয়ে দেন জল্লাদ রাজু। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় ফাঁসি কার্যকর করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সগির মিয়া।

ফাঁসি কার্যকরের পর কারাগারের নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে মরদেহ তার ছেলের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০০১ সালের ৩১ অক্টোবর রাতে প্রতিবেশী নাইনকা রবিদাসকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন মাকু রবিদাস। এরই মধ্যে তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করেছে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।

শেষ ইচ্ছা হিসেবে মাকু রবিদাস কারা কর্তৃপক্ষের কাছে বনফুলের মিষ্টি খেতে চেয়েছেন। তার ইচ্ছানুযায়ী ১ কেজি বনফুলের মিষ্টি কিনে দেন কারা কর্মকর্তারা।

একই সঙ্গে নারকেল, ডাব, পোলাও খেতে চেয়েছেন মাকু রবিদাস। সেগুলোও নিজ খরচে কিনে এনে খেতে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাসুদ পারভেজ মঈন বলেন, শেষ ইচ্ছা পূরণের পাশাপাশি তার পরিবারের লোকজনের দেওয়া খাবার পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে খেতে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার রাত ৮টায় পরিবারের ৫ সদস্য তার সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করে বের হয়ে যান। স্বজনদের মধ্যে ছিলেন মাকু রবিদাসের ২ মেয়ে ও ২ ছেলে। মাকু রবিদাসের স্ত্রী প্রায় ৬ মাস আগে মারা গেছেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মাকু রবিদাস হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দারাগাওয়ের সমাধনী রবি দাসের ছেলে। ২০০৩ সালের ০৯ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত নাইনকা রবিদাস হত্যা মামলায় (দায়রা ৫৭/২০০২) মাকু রবিদাসকে মত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

পরবর্তীতে মাকু রবিদাস জেল আপিল (জেল পিটিশন নং-০৩/২০০৭) করলেও তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানালে তাও নামঞ্জুর হয়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৯৪ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930