শিরোনামঃ-

» সাংবাদিক অংশুমানকে পুলিশে হস্তান্তর ঢাকা আইনজীবী সমিতির

প্রকাশিত: ১৩. জুলাই. ২০১৬ | বুধবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ আদালতে একটি মামলার নথি দেখার সময় প্রথম আলোর প্রতিবেদক আসাদুজ্জামান ওবায়েদ অংশুমানকে আটকে রেখে মামলা দায়ের করে কোতোয়ালী থানায় সোপর্দ করেছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি। মঙ্গলবার পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।

জানা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। এদিকে আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও তাকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়েছে আইন, মানবাধিকার ও সংবিধান-বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম।

এক বিবৃতিতে ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম বলেন, এই মিথ্যা মামলা দায়ের করে সাংবাদিকদের সত্য প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও যারা আসাদুজ্জামানের ওপর নির্যাতন করেছে তাদের শাস্তি দাবি করে ফোরাম।

ইউনাইটেড কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কর্মকারও অনুরূপ এক বিবৃতি দিয়ে আসাদুজ্জামানের মুক্তি দাবি করেন। একই সংঙ্গে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্তকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ বলে দাবি করেন।

কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম উপদেষ্টা সৈয়দ আহমেদ গাজী বলেন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্তটা সঠিক হয়নি। ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সাবেক সভাপতি এম বদি-উজ-জামান, কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আশরাফ-উল-আলমও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নিন্দা জানান। এই ঘটনা সাংবাদিকদের মত প্রকাশে বাধা বলে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ মনে করেন।

জানা গেছে, বিকেলের দিকে আসাদুজ্জামান ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি মামলার নথি দেখছিলেন। ওই সময় ঢাকা আইনজীবী সমিতির কয়েকজন কর্মকর্তা তাঁকে নথি কেন দেখেন, আপনি কে এটা জিজ্ঞাসা করেন?

আসাদুজ্জামান পরিচয় দেয়ার পর তাঁকে টেনেহিচড়ে আইনজীবী সমিতিতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আদালত সাংবাদিকরা সেখানে ছুটে যান। প্রথম আলোর আদালত প্রতিবেদকসহ অন্য একজন প্রতিবেদকও সেখানে যান।

প্রথম আলোর আদালত প্রতিবেদক প্রশান্ত কর্মকার জানান, সমিতির সভাপতির সঙ্গে কথা বলা হয়। সভাপতি কয়েকটি শর্ত দেন। বলেন, আসাদুজ্জামান আর কোর্ট এলাকায় আসবেন না ও তিনি আর এই আদালত নিয়ে সংবাদ লিখতে পারবেন না।

এ ধরনের মুচলেকা দিলে তাঁকে ছেড়ে দেয়া হবে। এই প্রস্তাবে আসাদুজ্জামান রাজি না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কোতোয়ালী থানার পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

এ ব্যাপারে আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান মিথ্যা পরিচয় দিয়ে নথি দেখছিলেন ও নথির ছবি তুলছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ নথির কিছু হারিয়ে যেতে পারতো।

ঈদের আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মাদক মামলার আসামিরা জামিন পেয়ে যাচ্ছেন এবং গতকাল মঙ্গলবার ৩ জঙ্গি নেতার বিচারে অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না এই ধরনের সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় আইনজীবী সমিতির কর্মকর্তারা অসন্তুষ্ট বলে জানা গেছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৬৬ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930