শিরোনামঃ-

» ভূমি ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ১৭. জুলাই. ২০১৬ | রবিবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এমপি দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও জোনিং কাজে আত্মনিয়োগ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজধানীর নিউ ইস্কাটন বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ.কে.এম.শামসুল হক খান মেমোরিয়াল অডিটোরিয়াম হলে জাতীয় ভূমি জোনিং প্রকল্পের আওতায় বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের ঢাকা বিভাগের দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘ভূমির বিদ্যমান আইন অনুসারেই কর্মসম্পাদন, আদেশ ও নির্দেশ পালন করতে হবে। পেন্ডিং রাখা বা দীর্ঘসূত্রিতার কোন সুযোগ ভূমি ব্যবস্থাপনায় থাকবে না। শিল্প, কলকারখানা গড়ার নাম করে শত শত একর আবাদি ফসলী জমি বিনষ্ট করা যাবেনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যত্রতত্র শিল্প কারখানা গড়ে না তোলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য সরকার ১শ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ অব্যাহত রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘ভূমির বিষয়টি ইচ্ছেমত করা যায় না। ব্রিটিশ আমলে একধরনের ব্যবস্থাপনা ছিল, পাকিস্তান আমলে আরেকধরনের ব্যবস্থাপনা সৃষ্টি হয়, ১৯৬৬ সালে হিন্দু সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
অদ্ভুত বিষয়গুলো সেই আমল থেকে চলে এসেছে। পরিত্যক্ত সম্পত্তি, অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে নানা সময়ে জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার এ ধরনের সম্পত্তির দীর্ঘসূত্রিতার অবসান ঘটাতে চায়।’
সেমিনারে জানানো হয় সরকারের ভূমি ব্যবহার নীতিমালা-২০০১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশব্যাপী ভূমি জোনিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো কৃষি জমির অবক্ষয় রোধ ও পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করা।
কৃষি জমির পরিমাণ হ্রাসের বর্তমান ধারা যুক্তিযুক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জমির প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য ও রাসায়নিক গুণাগুণ বিবেচনা করে কৃষি জমি সুরক্ষা এবং ভূমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা ভূমি জোনিং এর মূল লক্ষ্য।
এছাড়া ভূমি জোনিং বাস্তবায়নে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভূমি জোনিং ম্যাপ ও প্রতিবেদন অনুযায়ী জোনিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা, ২ বা ৩ ফসলী কৃষি জমি শুধুমাত্র কৃষি কাজে ব্যবহৃত হবে, মৎস্য চাষের জন্য নদী-নালা, খাল-বিল, দিঘী, পুকুর সংরক্ষণ করা হবে। চিংড়ি মহাল ঘোষিত এলাকায় শুধুমাত্র চিংড়ি চাষ করা যাবে।
বিদ্যমান প্রাকৃতিক বনায়ন এবং সাংগঠনিকভাবে গড়ে ওঠা সামাজিক বনায়ন সংরক্ষণ করা, পাহাড় ও টিলাভূমি কর্তন রোধ করা, কৃষি, মৎস্য, বনভূমি ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণির জমিতে পরিকল্পিত আবাসিক ভবন নির্মাণ, শিল্প কারখানা স্থাপন, রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নির্মাণে ভূমির যুক্তিসংগত ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়া আবাসন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভবন ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণে উৎসাহিত করা, স্বল্প পরিমাণ জমিতে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ বাধ্যতামূলক করা, টপসয়েল বা কষি জমির মাটির উপরিভাগ কাটা বন্ধ করা, ইটের ভাটায় টপসয়েল ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৪১ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930