শিরোনামঃ-

» মোটর সাইকেল চোরাচালানীতে জড়াচ্ছে বিয়ানীবাজারের তরুণরা

প্রকাশিত: ২৬. জুলাই. ২০১৬ | মঙ্গলবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ বিয়ানীবাজারের টিনএজ তরুণরা মোটর সাইকেল চোরাচালানিতে জড়িয়ে পড়ছে।

গত বছর বিয়ানীবাজার থেকে প্রায় দু’ শতাধিক মোটর সাইকেল চুরি হলেও এ বছরের প্রথম কয়েকদিন তা কমে যায়। অতি স¤প্রতি উপজেলায় মোটর সাইকেল চোরাচালান ফের বেড়ে যেতে পারে আশংকা করছেন অনেকেই।

বিয়ানীবাজারে গত ৩ বছরে প্রায় ৩ শতাধিক মোটর সাইকেল চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। চুরি হওয়া মোটর সাইকেলের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। বিগত দিনে উপজেলার কোন না কোন অঞ্চল থেকে প্রায় প্রতিদিনই মোটর সাইকেল চুরি হত। কিন্তু এ সকল মোটর সাইকেলের ৫ ভাগও উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসন।

স্থানীয় তরুণদের একটি বিশেষ সিণ্ডিকেট মোটর সাইকেল চোরাচালানের কাজে জড়িত বলে সূত্র জানায়। বিগত দিনে বিয়ানীবাজার থেকে মোটর সাইকেল চুরি ও ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে।

এ চক্রের অন্যতম হারইকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। তাছাড়া এই চক্রের আরও কয়েক সদস্য গ্রেফতার এবং কাগজ ও রেজিস্ট্রিবিহীন মোটর সাইকেল আটক অভিযান শুরু করলে সিণ্ডিকেটের অনেকেই গা ঢাকা দেয়। রেজিস্ট্রিবিহীন গাড়ি চলাচলও অনেকটা কমিয়ে দেয় তারা।

পৃথক একটি সূত্রের দাবি, বর্ষা মৌসুম আসতে আর কয়েকদিন বাকি। আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে টার্গেট করে মোটর সাইকেল চোরাচালানী চক্রের সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে।

এ সময় সীমান্তঘেঁষা বিয়ানীবাজারে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তারা অবাধে ভারতীয় চোরাই মোটর সাইকেলগুলো বাংলাদেশে আমদানী করতে পারে বলে আশংকা করছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আমদানী করা মোটর সাইকেলের মধ্যে পালসার, ডিসকভারি, লিফান, হিরো হোণ্ডা ও বাজাজ কোম্পানির গাড়িগুলোর অন্যতম। এগুলো বিয়ানীবাজারে আনার সাথে সাথেই খুব দ্রুত হাত বদল করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

বাংলাদেশে এসব মোটর সাইকেলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ক্রেতারাও এসব গাড়িগুলো কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। ভারতীয় এসব মোটর সাইকেলের দাম বাংলাদেশী টাকায় ৪০-৫০ হাজার টাকার বেশি নয়। সূত্রমতে, বিয়ানীবাজার থানায় মোটর সাইকেল চোরাচালানের সাথে জড়িত ২৩ সদস্যের একটি সিণ্ডিকেটের তালিকা রয়েছে।

এই তালিকার একাধিক যুবক বিগত দিনে নিরাপদ দূরত্বে থাকলেও বর্তমানে তারা আবার এলাকায় ফিরছে। পৃথক আরেকটি সূত্রের দাবি, বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় দেড় হাজার মোটর সাইকেলের বৈধ কাগজপত্র ও রেজিস্ট্রেশন নেই। এগুলোর এক তৃতীয়াংশই ভারত থেকে চোরাই পথে আমদানী করা।

তাই সিলেট বিআরটিএ এই সব মোটর সাইকেলের বৈধ কাগজপত্র প্রদান করছেন। জাল কাগজের মাধ্যমে এসব মোটরসাইকেলগুলো উপজেলা জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বেপরোয়া গতিতে।

বিয়ানীবাজার থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) জুবের আহমদ বলেন, মোটর সাইকেল চোরাচালানে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৪৫ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930