শিরোনামঃ-

» ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বাড়ির রান্না এবং রাগান্বিত মন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৬. জুলাই. ২০১৬ | মঙ্গলবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম নিজেই রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী হয়ে পড়েছেন! গত ৩ মার্চ ইউনেস্কোতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে খাবার সরবরাহ করেন রাষ্ট্রদূত। প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল এই খাবার বেশিরভাগ অতিথিকেই পরিবেশন করা যায়নি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর নিজে না খেয়ে অব্যবস্থাপনার জন্য রাষ্ট্রদূতকে প্রকাশ্য সমালোচনা করে অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করেছেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা ধরনের মুখরোচক আলোচনার জন্ম হয়েছে।

জানা যায়, সেদিনের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বারোটি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সেদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নৈশ ভোজের আয়োজন করা হয়। নৈশ ভোজের দায়িত্ব রাষ্ট্রদূত নিজেই নেন। রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী নৈশভোজের জন্য বাজার করেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূতের বাসায় রান্না করা হয়।

অনুষ্ঠানস্থলে আমন্ত্রিত অতিথির চেয়ে খাদ্য কম সরবরাহ করা হয। খাদ্য সংকট দেখা দিলে সংস্কৃতিমন্ত্রী নিজে রাতের খাবার না খেয়ে সে স্থান ত্যাগ করেন। এ সময় মন্ত্রী নূর অব্যবস্থাপনার জন্য রাষ্ট্রদুতের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা সূত্রে জানা গেছে, ইউনেস্কোর মতো একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে এভাবে নিজের বাসায় তৈরী খাবার সরবরাহ করা কতোটা যুক্তিসঙ্গত এটাও অনেকে আলোচনা করেছেন।

রাষ্ট্রীয় ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশি খাদ্য প্রস্তুতে বিশেষজ্ঞ কোনও রেস্তোরাঁকে এই দায়িত্ব দেয়ার প্রয়োজন ছিল বলেও অনেকে মনে করেন। একজন রাষ্ট্রদূত নিজের পরিবারের ব্যয় সংকুলানের জন্য এভাবে দেশের ঐতিহ্যকে নষ্ট করতে পারেন না বলে অনেকেই জানিয়েছেন।

এছাড়া রাষ্ট্রদূত শহীদের বিরুদ্ধে নানা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফরের নাম করে দূতাবাসের জন্য কেনাকাটার সময় বড় অঙ্কের আর্থিক অনিয়ম হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে যানবাহন ক্রয়ের নামে বড় আর্থিক অনিয়ম করেছেন বলে ও অভিযোগ উঠেছে।

রাষ্ট্রদূত শহীদ এক বছরে ৩ বার বাসা পরিবর্তন করে রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রাষ্ট্রদূতের এসব অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে ঢাকা থেকে তদন্ত হওয়া দরকার বলেও প্রবাসীরা অনেকেই মন্তব্য করেছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৭২ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930