এর আগে, জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মিছিলটি শুরু হয়। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তি বাতিল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠন ও জাতীয় কমিটির নেতাকর্মীরা মিছিলে অংশ নেন।
জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সাইফুল হক, গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী ও বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন।
মিছিল শুরুর আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাতীয় কমিটির সদস্য আনু মুহাম্মদ বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করা হবে। এর ফলে পরিবেশ দূষণের হার ৮-১০ শতাংশ হ্রাস পাবে। কিন্ত এটা খুবই নগণ্য।
সুন্দরবনের পরিবেশের ব্যাপক দূষণ হবেই। বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফার, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, পারদ, সীসা ও আর্সেনিক মিশ্রিত বিষাক্ত ছাই নির্গত হবে যা সুন্দরবনের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে।
তিনি বলেন, কোম্পানি ও মন্ত্রণালয়ের লোকজন প্রায়ই দাবি করেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২৭৫ মিটার উঁচু চিমনি ব্যবহার করা হবে এবং বছরে মাত্র চারমাস উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে অর্থাৎ সুন্দরবনের দিকে বায়ু প্রবাহিত হবে।
ফলে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে বলতে চাই চিমনির উচ্চতা বাড়লেও দূষণকারী উপাদানের পরিমাণ কমে যায় না। বাতাসের প্রবাহ শক্তিশালী থাকলে বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কিছুটা দূরে প্রবাহিত হয় আর দুর্বল থাকলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে প্রবাহিত হয়।
সরকারি পরিবেশ সমীক্ষা অনুযায়ী নভেম্বর–ফেব্রুয়ারি বাতাস উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়। সুন্দরবনকে উজাড় করার জন্য এই চারমাসই যথেষ্ট। প্রধানমন্ত্রীর যদি জনগণ ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে তাহলে তিনি এই চুক্তি বাতিল করবেন।