শিরোনামঃ-

» গবাদিপশু মোটা তাজা করণে ১৪টি ওষুধের ওপর নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ২২. আগস্ট. ২০১৬ | সোমবার

সিলেট বাংলা নিউজ রিপোর্টার আজিজুর রহমান: কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এক শ্রেণির অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী পশু মোটাতাজাকরণ করছে।

মূল্য বেশি পাওয়ার আশায় পশুর ইনজেকশন, পাউডার ও নিষিদ্ধ পাম বড়ি সেবন করিয়ে চলছে এ কাজ।

তবে এবার এই বিষয়ে নেড়েচেড়ে বসছে সরকার। কোরবানির হাটে সুস্থ, সবল গবাদিপশু সরবরাহ ও বিক্রয় নিশ্চিত করার জন্য স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ১৪ ধরনের ওষুধ সরবরাহে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তবে এই নিষেধাজ্ঞা হবে সীমিত সময়ের জন্য।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ই আগস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খানের সভাপতিত্বে ওই মন্ত্রণালয়ে গরু মোটাতাজাকরণসহ কোরবানির পশু নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সভায় স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ১৪ ধরনের ওষুধ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ আরোপের সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে চিঠি দেয়ার কথা বলা হয় ওই সভায়।

গত ১৮ই আগস্ট এ বিষয়টি জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতেই অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা আরোপের কাজ চলছে।

এতে স্টেরয়েড জাতীয় ১০টি ও হরমোন জাতীয় চারটি ওষুধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

স্টেরয়েড জাতীয় ১০টি ওষুধের মধ্যে রয়েছে কর্টিসন, কোর্টিকোস্টারওয়ান, হাইড্রোকোর্টিসন, প্রেডনিসোন, প্রেডনিসোলনি, মিথাইল প্রেডনিসোলনি, ট্রিয়ামসিনোলোনি, ফ্লোমেথাসোনি ও বেটামেথিসোনি।

এছাড়া, হরমোন জাতীয় ওষুধের মধ্যে রয়েছে- এসট্রোজেন, প্রোজেস্টারওয়ান, টেসটোস্টারওয়ান ও এক্স গ্রোথ হরমোন।

এদিকে কোরবানির পশু কেনাবেচাকে সামনে রেখে ২ ধরনের টিভি স্ক্রল প্রচার করবে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ড।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ওই ২টি টিভি স্ক্রল তৈরি করে প্রচারের জন্য গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে। প্রথম টিভি স্ক্রলে বলা হয়েছে, মাংসের জন্য গরু লালন-পালনে স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।

অন্য আরেক স্ক্রলে বলা হয়েছে, মাংসের জন্য গরু লালনপালনে স্টেরয়েড ও হরমোনের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য ও প্রাণিস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

একই সঙ্গে আলাদাভাবে একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি তৈরি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাংসের জন্য বিশেষ করে কোরবানির উদ্দেশ্যে গবাদিপশু হৃষ্টপুষ্ট করতে স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ওষুধ প্রাণিদেহে প্রয়োগ, পশুখাদ্যে ব্যবহার ও খাওয়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং আইনত দণ্ডনীয়।

এটা প্রাণিস্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। গবাদিপশু হৃষ্টপুষ্টকরণে এ জাতীয় ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে মৎস্য, খাদ্য ও পশুখাদ্য আইন-২০১০ ও পশুখাদ্য বিধিমালা- ২০১৩ মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সহসাই এ বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রচার হবে।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগরী ও আশেপাশে গরু হাটের তালিকা চেয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

ওই তালিকা অনুযায়ী প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ক্যাম্প স্থাপন করবে। তারা কোনো গবাদিপশু মোটা তাজা করতে স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে কি-না তা চিহ্নিত করবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে মোবাইল কোর্ট।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৬৫৩ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930