শিরোনামঃ-

» জেনে নিন, অনলাইন থেকে আয়ের গুরুত্বপূর্ণ টিপস্

প্রকাশিত: ২৪. আগস্ট. ২০১৬ | বুধবার

সিলেট বাংলা নিউজ অনলাইন ফিচার এডিটরঃ পিটিসি (paid to click) সাইটগুলোতে ক্লিক করার মাধ্যমেই মূলত আয় করা হয়। পৃথিবীতে প্রায় ১ হাজারেরও বেশি পিটিসি সাইট আছে যার অধিকাংশই ভূয়া এবং নতুন। অনেক সাইটই আছে যারা কিছুদিন রান করার পর উধাও হয়ে যায়। তাই পিটিসি সাইটগুলোতে কাজ আরম্ভ করার পূর্বে অবশ্যই এই সাইটগুলো সম্পর্কে ভালোভাবেই জানতে হবে। কেবলমাত্র ভালো ও লিগ্যাল সাইটগুলোতে কাজ করতে হবে। অন্যথায় আফসোস হবে।

পিটিসি সাইটে যারা একেবারেই নতুন এবং আয় করার ফর্মূলা বুঝতে সমস্যা নিচের এই লেখাটি একটু মনোযোগের সাথে পড়বেন।

নতুনদের জন্য পিটিসিতে যা যা করণীয়:

১. একটি কম্পিউটার ও একটি মডেম থাকতে হবে। মডেম না থাকলে মোবাইল দিয়ে ইন্টারনেট কানেকশন করা যেতে পারে।
২. কাজ করার জন্য প্রতিদিন অন্তত ৩০/৪০ মিনিট সময় থাকতে হবে।
৩. যে সাইটগুলোতে কাজ করবেন সেগুলো অবশ্যই লিগ্যাল, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বস্থ হতে হবে। এটি পিটিসি সাইটের অতি মূল্যবান কথা বা পিটিসি সাইটের মূলমন্ত্র।
৪. রাতারাতি বড়লোক হবার স্বপ্ন দেখা চলবে না। ধীরে ধীরে আয়ের গতি বাড়বেই। এতে হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই।
৫. যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পিটিসির কাজ শিখতে হবে এবং পিটিসির নিয়ম-কানুন জানতে হবে।
৬. কাজ পুরাপুরি শিখে গেলে আয়ের গতি কিছুটা বাড়ানোর স্বার্থে ছোট/মাঝারি ধরণের একটি ইনভেস্ট করতে পারেন। এতে আপনার মঙ্গলই হবে।
৭.  দৈর্য্যশীল ও আত্ববিশ্বাসী হওয়া চাই, নইলে হতাশ হয়ে পড়তে পারেন পিটিসির এই বিশাল আয়ের জগতে।

নতুন-পুরাতনদের জন্য আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা:

১. যারা অনেক দিন ধরে কাজ করছেন অথচ আয় বাড়াতে পারছেন না, তাহলে ছোট/মাঝারি একটি ইনভেস্ট করুণ। এবং আপনার একাউন্ট আপগ্রেড করুণ। একাউন্ট আপগ্রেড না করা পর্যন্ত আয় বাড়ানো আসলেই কঠিন।
২. পিটিসি সাইটের Terms of services ভালোভাবে জানুন ও শিখুন।
৩. আপনি যে সাইটে কাজ করবেন সে সাইটের Terms of services ভালোভাবে জানুন। এবং মেনে চলুন।
৪. কাজ না শেখা পর্যন্ত কোনো ইনভেস্ট করবেন না এবং কাজ না শেখা পর্যন্ত হাল ছাড়বেন না। অর্থাৎ কাজ ছেড়ে দিবেন না।
৫. অন্তত ৬ মাস কাজ চালিয়ে যান। তারপর ভাল লাগলে করবেন নয়তো ছেড়ে দিবেন।
৬. একজন ভালো রেফারেলের মাধ্যমে পিটিসিতে কাজ করবেন যাতে আপনি সব রকমের সহযোগীতা পান। গুগল সার্স করে আমি কিছু ইউটিউব এর টিউটোরিয়াল দেখলাম যেগুলোর রেফারেল তিনি নিজেও নতুন এবং আয়ের পরিমাণও সামান্য।

এতো সামান্য আয় করে তিনি রেফারেল পাবার আশায় টিউটোরিয়াল করতে শুরু করে দিয়েছেন যা আমাকে একেবারেই অবাক করেছে। আপনিও এই টিউটোরিয়ালগুলো দেখলে আমার কথার সত্যতা যাচাই করতে পারবেন।

আপনি এ রকম রেফারেল থেকে অবশ্যই দূরে থাকবেন। ভালো রেফারেল আপনার কাজের গতিকে মনিটরিং করবেন যাতে আপনার শ্রম ও কষ্ট বিফলে না যায়।
৭. আপনার কম্পিউটার ও মডেম অন্যকে ব্যবহার করতে দিবেন না এবং একই পিসি থেকে একাধিক একাউন্ট খুলবেন না। এ রকম করলে আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যাবে।
৮. এছাড়াও মোবাইল দিয়ে অনেক পিটিসি সাইটে কাজ করা যায়।

পিটিসি সাইটের জয়-পরাজয়ের খতিয়ান এবং আমাদের করণীয়।

পিটিসি সাইটে প্রতিষ্টিত হওয়ার গোপন চাবি তো আপনারই হাতে।এখানে একটি কথা না বলে পারছি না আর তা হলো পিটিসি সাইটে কাজ করে শতকরা ৯০ জন ব্যক্তিই ব্যর্থ হয়ে থাকেন। আর মাত্র ১০ শতাংশ লোক তাদের পরিশ্রম, মেধা, আত্মবিশ্বাস, দৈর্য্য ও ভাগ্যের ফেরে লাভবান হয়ে থাকেন। পিটিসি সাইটগুলোতে কাজ করে কিভাবে প্রতিষ্টিত হতে পারবেন আজ তারই একটি নির্ভরযোগ্য আলোচনা করবো পাঠকদের জন্য।

PTC এর মানে হলো Paid To Click অর্থাৎ ক্লিক করলেই টাকা দেয়া হয়। পৃথিবীতে যে সমস্ত বিজ্ঞাপনী কোম্পানী রয়েছে এরা তাদের বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের একটি বোনাস দর্শকদের জন্য মনোনীত করে রেখেছে যাতে সবাই বিজ্ঞাপন দেখতে মনোযোগী হয়।

যদি কেউ একজন একটি বিজ্ঞাপন দেখে তাহলে কোম্পানী ঐ বিজ্ঞাপন দেখার বোনাস স্বরূপ কিছু ডলার প্রদান করে থাকে। এই ডলার কিভাবে দেয় তা শুনলে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন এতে কোন সন্দেহ নাই।

কারণ ১০০ পেনি= ১ সেন্ট। আর ১০০ সেন্ট= ১ ডলার। আর এই বিজ্ঞাপন কোম্পানীগুলো আপনাকে পেনিই দেবে ডলার নয়।

যেমন Neobux প্রতিদিন প্রাথমিক মেম্বারদেরকে ২৬ পেনি থেকে ৭০ পেনি পর্যন্ত তাদের একাউন্টে পাঠাবে। মেম্বারশীপ অনুযায়ী এই পেনি ২০০ থেকে ৩০০ পর্যন্ত হতে পারে যা সবার জন্যই ফ্রি।

আপনি এই বিজ্ঞাপনগুলোতে ক্লিক করে ১ পেনি, ১ পেনি করে আয় করতে হবে। এই পেনির আয়ের বর্ণনা শুনে অনেকেই আবার হতাশ হলেন না তো?

হতাশ হবারই কথা। কিন্তু এই পেনি পেনি আয় একদিন আপনার জীবনের চাকা যে পাল্টে দিতে পারে তা কিন্তু আপনি যানেন না। আর আমার লিখনীর আসল উদ্দেশ্যই হলো পেনির রহস্য নিয়ে। প্রতিটি পিটিসি সাইটের আয় শুরু হয় পেনি দিয়ে।

আসুন কিভাবে পেনি পেনি আয় থেকে ডলার ডলার আয় করা যায় জেনে নেই এর গোপন রহস্য। আর ক্যারিয়ার গঠনের প্রতি হই মনোযোগী।

পিটিসি সাইটে কাজ করে সাফল্য লাভের আরো কিছু কথা এখানে আমি point আকারে আলোচনা করব যা পাঠ করে আপনারা  উপকৃত হবেন এটা আমার একান্ত বিশ্বাস-

পিটিসির কাজকে একটি চাকরী মনে করুণ:

একজন লোক ক্লাস ওয়ান থেকে এমএ পাস করতে কমপক্ষে সময় লাগে ১৭-১৮ বছর। তারপর চাকরি পেতে হলে আরো যে কত দিন লাগে তা তো সবারই জানা। আর আপনি যদি পিটিসি সাইটে কাজ করে মাত্র ৩-৪ মাসে রাতারাতি বড়লোক হতে চান এটা যুক্তিসঙ্গত নয়।

বিষয়টি একটু ভেবে চিন্তে দেখতে অসুবিধা কোথায়? কাজেই আপনার এই কাজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চাকরী ভেবে দৈনিক কাজ করে যান বিরামহীনভাবে।

সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করুণ:

সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আপনার কাজের গতিকে করবে গতিশীল এবং আয়ের পরিমাণ হবে আশানুপাত। কোন সময়ে কোন সাইটের কাজ করবেন তার একটি বিজ্ঞানসম্মত রুটিন তৈরী করুণ আর আপনার মূল্যবান সময়কে কাজে লাগান। মনে রাখবেন Time is money. ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে- Time and tide waits for none.

সহযোগী দল তৈরী করুণ:

যৌথ প্রয়াস সব সময় কাজের গতিকে করে ত্বরান্বিত। একার পক্ষে যা সম্ভব নয়, সমবেত প্রচেষ্টায় তা হয়ে উঠে সহজ।

মনে রাখবেন পিটিসির আয়ের একটি বিরাট অংশ পূরণ হয় গ্রুপ তৈরী ও যোগাযোগের মাধ্যমে। একে অপরের সহযোগীতার হাত সম্প্রসারিত করুণ এতে উভয়েরই মঙ্গল অনিবার্য।

ধৈর্য্য ধারন করুণ:

পিটিসি সাইটে কাজ করতে হলে আপনাকে খুবই ধৈর্যশীল হতে হবে। ইংরেজিতে বলতে গেলে বলতে হয়- “Patience is the key to success specially for PTC sites.” অতি গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো পিটিসি সাইটে দৈর্য্য সহকারে মাত্র ৬-৯ মাস কাজ করুন তারপর হিসেব মিলিয়ে দেখুন আপনার জীবনে নতুন একটি অধ্যায় সুচিত হবে যা আজীবনের জন্যই উম্মোক্ত থাকবে।

আপনি যদি বিদেশেও চলে যান, আপনার আয় কখনো বন্ধ হবে না। এমনকি বিদেশে পাড়ি দিলে আপনার পিটিসি ইনকাম আরো দ্বিগুন হয়ে যাবে, এটাতো সবাই-ই জানেন। কাজেই মাত্র ৪/৫ টি ভালো পিটিসি সাইট বাছাই করে আজীনের জন্য খন্ডকালীন চাকরি হিসেবে বেছে নিতে কোন অসুবিধা থাকছে না।।

আত্মবিশ্বাসী হউন:

আমি পারব, আমাকে পারতেই হবে, এরকম মনোভাব নিয়ে কঠোর পরিশ্রম, অধ্যাবসায় ও অনুশীলনের দ্বারা বহু অসাধ্য কাজও অনায়াসে সমাধা করা যায়। অনুশীলন, অধ্যাবসায় ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি পর্যন্ত অর্জন করাও সম্ভব। যার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বিংশ শতাব্দীর প্রতিভাধর বিজ্ঞানী আইন স্টাইন যিনি জার্মানীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

মা সঙ্গীত প্রিয় ছিলেন ফলে মায়ের উৎসাহেই তিনি ৬ বছর বয়সে বেহালা বাজাতে শিখেছিলেন। লেখাপড়ায় খুবই দুর্বল হওয়ায় ৯ বছর বয়সেও তিনি স্কুলে ভর্তি হতে পারেননি। ভর্তি পরীক্ষায় সাফল্য লাভের জন্য তাকে দু’দুবার পরীক্ষা দিতে হয়েছিল।

ডিগ্রী পরীক্ষায় কোন রকমে পাশ করতে তাকে অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয়েছিল। স্মৃতি শক্তির স্বল্পতা হেতু তিনি স্কুলে চাকরী জোটাতে ব্যর্থ হলেন। তারপর তিনি স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর জন্য সচেষ্ট হলেন। ক্রমাগত অনুশীলন ও অধ্যাবসায়ের ফলে অবশেষে স্বরণ শক্তি বাড়াতে সক্ষম হলেন। আর পদার্থ বিজ্ঞানে অর্জন করলেন নোবেল পুরষ্কার।

মনে রাখতে হবে বহুবার ব্যর্থতার সিড়ি বেয়েই সাফল্যের দরজায় পৌছতে হয়। এভারেষ্ট বিজয়ের কথাই ভাবুন।

দীর্ঘ ২২ বছর অব্যাহত প্রচেষ্টার পর দুর্গম গিরিশৃঙ্গ জয় করেছিলেন এডমান্ড হিলারী ও তেনজিং। তার পূর্বে এই রেকর্ড করতে গিয়ে ১৬ জনের প্রাণ দিতে হয়েছিল। উপলব্দি করুণ এই গিরিশৃঙ্গ জয় করতে কত দু:সাহসিক অভিযানের দরকার হয়েছে। অধ্যাবসায়, পরিশ্রম, আত্ববিশ্বাস ও সহিষ্ঞুতা ছাড়া কেইবা সাফল্য লাভ করতে পেরেছে?

নিউটন বলেছিলেন, “আমার আবিষ্কারের কারণ আমার প্রতিভা নয়। বহু বছরের পরিশ্রম ও নিরবিচ্ছিন্ন চিন্তার ফসল। যখনই যা আমার মনের সামনে এসেছে আমি শুধু তারই মিমাংশায় ব্যস্ত থাকতাম। ফলে অস্পষ্টতা থেকে ধীরে ধীরে স্পষ্টতার মধ্যে উপস্থিত হয়েছি।‍‌‍”

দার্শনিক ইয়ং বলতেন “মানুষ যা পেরেছে, মানুষ তা পারবে।”

নিজেকে সুস্থ রাখুন:

জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রয়োজন সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্য। নিয়মিত ব্যায়াম, পরিমিত ঘুম, পরিমিত পুষ্টিকর খাবার সুস্বাস্থ্যের জন্য অতিব জরুরী। সুস্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলতে গেলে কবি নির্মলেন্দু গুণের কথাটি খুবই মনে পড়ে। তিনি বলেছিলেন,

“আকাশের সূর্যটা যদি তুমি ছুঁতে চাও, স্বাস্থ্যটা ভালো করো এখনই শুতে যাও। ঘুম যদি ভালো হয় স্বাস্থ্যটা ফুটবে, সূর্যের সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠবে।”

আর ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে- Early to bad and early to raise makes a man healthy,  wealthy and wise অর্থাৎ সকাল সকাল ঘুমিয়ে যারা সকাল সকাল উঠে, স্বাস্থ্যবান, ধনী আর বিজ্ঞ তারাই বটে।

আরো কিছু ভালো পিটিসি সাইটের তালিকা

http://www.neobux.com/?r=Nazruld

http://www.clixsense.com/?7991690

http://www.dollarclix.com/home?ref=nazruld

http://clixten.info/?ref=nazruld

http://www.easyhits4u.com/?ref=nazruld

http://popcash.net/register/101194

http://www.olybux.com/?ref=nazruld

http://www.epicclix.com/?ref=nazruld

http://okik.me/?ref=nazruld

https://www.mypayingads.com/ref/47809

http://www.epicbux.com/?r=nazruld

http://www.innocurrent.com/?reg=247037

 

লেখক: মো. নজরুল ইসলাম

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৮১০ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930