শিরোনামঃ-

» সিলেটে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি, ১ সপ্তাহে ৩টি মার্ডার

প্রকাশিত: ২৯. আগস্ট. ২০১৬ | সোমবার

সিলেট বাংলা নিউজঃ দেশের অন্যান্য  স্থানের তুলনায় সিলেটের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সব সময় ভালো ছিলো।  হঠাৎ করে তিনদিনে তিন খুনের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। যার ফলে সিলেটের মানুষের মনে জন্ম নিয়েছে আতঙ্ক ।

তুচ্ছ কারণেই ঘটেছে সিলেটের এলিগ্যান্ট মার্কেটের ব্যবসায়ী করিম বক্স মামুন ও লালাবাজারের ব্যবসায়ী আজির উদ্দিন খুনের ঘটনা। আর ভিআইপি রোডে লোমহর্ষকভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে সাবেক সিটি কাউন্সিলর শানুর স্বামী তাজুল ইসলামকে। আর এই ৩টি ঘটনায় এখন ক্ষোভের অন্ত নেই। খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে এখন উত্তাল সিলেট। ৩ খুনের ঘটনায় প্রতিদিন সিলেটে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ৩ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতারা ধরা পড়েনি ২ সপ্তাহে।

জিন্দাবাজারের এলিগ্যান্ট মার্কেটের ব্যবসায়ী করিম বখত মামুন খুনের ঘটনা ঘটে ১৬ আগস্ট বিকালে। এদিন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সহ-সভাপতি সোলেমান হোসেন মোটরসাইকেল পার্কিং করতে আসেন এলিগ্যান্ট মার্কেটের সামনে।

মোটরসাইকেল পার্কিংকে কেন্দ্র করে মার্কেটের গার্ডদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন সোলেমান। আর এ দৃশ্য দেখে মীমাংসা করতে এগিয়ে আসেন ব্যবসায়ী মামুন। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সোলেমান ও তার সহযোগীরা মামুনকে ছুরিকাঘাত করে। এতে গুরুতর আহত মামুনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনার পরপরই ১৯ আগস্ট সিলেট শহরতলির লালাবাজারে ১৯ আগস্ট ঘটে আরেক খুনের ঘটনা। ওই দিন রাতে লালাবাজারের ফার্মেসি ব্যবসায়ী আজির উদ্দিনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে খুন করে ঘাতকরা। এক ডাক্তারের প্রাইভেট কার পার্কিংকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ভরাউট গ্রামের যুবলীগ নেতা রিয়াজ ও তার সহযোগী আজাদ, নানু ও শাহাব উদ্দিন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের লালাবাজারে লোহার রড দিয়ে পিঠিয়ে খুন করে ব্যবসায়ী রিয়াজকে। এ ঘটনায় ঘটনায় ক্ষুব্ধ লালাবাজার ও টেংরা এলাকাবাসী এখনও আন্দোলন মূখর রয়েছেন।

২০ আগস্ট সিলেট নগরীর খুলিয়াপাড়ার সাবেক সিটি কাউন্সিলর শানুর স্বামী তাজুল ইসলাম খুনের ঘটনাটি লোকহর্ষক। ঘাতকরা নতুন স্টাইলে চোখে চুন ও মরিচ মেশানো পানি ছিটিয়ে তাজুলকে কুপিয়ে নির্মমভাবে খুন করে। তাজুলের ২টি পা-ই শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় অংশ নিয়েছিল পেশাদার কিলাররা। কিন্তু পুলিশ ঘটনার ১ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন গ্রেপ্তার করতে পারেনি কাউকে।

এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ সিলেটবাসী। বিচার এবং অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অব্যহত রয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মো. রহমতুল্লাহ জানিয়েছেন, তাজুল খুনের ঘটনার তদন্তে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইর কাছে তদন্ত দেয়া হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্তভার পিবিআইকে সমজিয়ে দেয়া হয়েছে।

আর ব্যবসায়ী মামুন খুনের ঘটনাটি তদন্ত করছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তিনি বলেন, পুলিশ ঘাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ওসি আতাউর রহমান জানিয়েছেন, পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে সচেষ্ট রয়েছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪১২ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930