শিরোনামঃ-

» ১ দফা দাবিতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের ১ দিনের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৬. সেপ্টেম্বর. ২০১৬ | মঙ্গলবার

সিলেট বাংলা নিউজঃ আজ ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬, সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক দফা দাবীতে সিলেট জেলার ১০৫ টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের সংগঠন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা ফোরাম, সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান ও মানববন্ধন পালন করেন। সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান. এক দফা দাবী উত্থাপন করেন।

দাবী হচ্ছে, ১) সকল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের ইউনিয়ন পরিষদে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে সরাসরি নিয়োগ প্রদান করার জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং মানবিক দিক বিবেচনা করে নিয়োগ প্রদানের আবেদন জানান।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মো: রাজিব আহমদ। সিলেট জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মো: মাহমুদুল হাসান, সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা ফোরাম সিলেটের সদস্যএমএস তপু, সফল উদ্যোক্তা গোলাম রসূল খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হাকিম, সহ সভাপতি সায়েক সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল কান্তি পাল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মনসুর হোসেন মুন্না, উদ্যোক্তা মনজুর আলম, বাদশা মিয়া, শামীম আহমদ, আব্দুল বাসিত, সুরুজ আলম, জোসনা বেগম, সাজেদা বেগম, ফেরদৌসী বিউটি, নুরজাহান বেগম মান্না, নুরুল ইসলাম, বিপ্লব মালাকার, মারজান আহমদ প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, আমরা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে কর্মরত উদ্যোক্তাগণ ১১ ই নভেম্বর ২০১০ খ্রিঃ থেকে জনগণের দোড়গোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তৃণমূল থেকে তথ্য ও প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার একটি দেশকে নিয়ে যেতে পারে উন্নতির শিখরে।

এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে তথ্য ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ও সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করার জন্য রূপকল্প “ভিশন- ২০২১” দেশ ও জাতির জন্য বিশাল মঙ্গল এবং উন্নতি বয়ে আনবে।

সরকারের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় জনগণের মাঝে ডিজিটাল ই-সেবা প্রদানের লক্ষ্যে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যোক্তাগণ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে একটি চুক্তি দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদে আবদ্ধ হয়।

পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ পদ্ধতিতে পরিচালিত এই ডিজিটাল সেন্টারে নামমাত্র মূল্যে জনগণকে ডিজিটাল ই-সেবা প্রদানের কারনে একজন উদ্যোক্তা আশানুরূপ আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে না। যার ফলে এই দুর্মূল্যের বাজারে একজন উদ্যোক্তার সংসার পরিচালনা করা খুবই কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে।

অথচ এসব উদ্যোক্তাগণ দীর্ঘদিন আইসিটি সেবা প্রদান এবং নানামূখী প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে আইসিটিতে দক্ষ ও অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছে। একইসাথে ইউনিয়ন পরিষদের দাপ্তরিক কাজের সংষ্পর্শে এসে স্থানীয় সরকারের তৃণমূল প্রতিষ্ঠানটিকে নানাভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করে আসছে।

বিশেষ করে এলজিএসপি-২ এর মাধ্যমে প্রাপ্ত প্রশিক্ষণে ইউনিয়ন পরিষদের অনলাইন মনিটরিং টুল ব্যবহার করে আয়-ব্যয়, বার্ষিক আর্থিক বাজেট প্রনয়ণ, এসওই, এএফএস ও উন্নয়ন প্রকল্পের বিবরণসহ সকলপ্রকার দাপ্তরিক কাজ করে থাকেন।

এছাড়াও সরকারের আরেকটি যুগান্তকারী ও অত্যন্ত প্রশংসনীয় পদক্ষেপ “জাতীয় তথ্য বাতায়ন (National Web Portal) যা বিশ্বের বৃহত্তম একটি ওয়েব সাইট নির্মাণ এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের তথ্য প্রতিনিয়ত হালনাগাদ ও সংযুক্তির কাজ করে আসছে।

উপরূন্ত বেশিরভাগ উদ্যোক্তাই উচ্চশিক্ষিত। কিন্তু দীর্ঘদিন স্থানীয় সরকারের সাথে কাজ করার ফলে কারো কারো ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়োগ বিধির বয়সসীমা অতিক্রম করেছে।

সংগঠনের সভাপতি জনাব মো: রাজিব আহমদ বলেন, আমরা আশাবাদী ডিজিটাল বাংলাদেশের জননী তথা ডিজিটাল সেন্টারের জননী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং আমাদের উদ্যোক্তাদের মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে সরাসরি নিয়োগ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিবেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি প্রদান করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৮১৭ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930