শিরোনামঃ-

» চামড়া ক্রয়ে ঋণ দেওয়া শুরু করেছে ব্যাংকগুলো

প্রকাশিত: ০৬. সেপ্টেম্বর. ২০১৬ | মঙ্গলবার

সিলেট বাংলা নিউজ:: আসন্ন কোরবানির ঈদে ব্যবসায়ীরা যাতে পশুর চামড়া নির্বিঘ্নে কিনতে পারেন সেজন্য ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিভিন্ন ব্যাংক।
যার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব ৪ বাণিজ্যিক ব্যাংক দিচ্ছে ৫৮০ কোটি টাকা। এছাড়া বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংক চামড়া কিনতে ২০ কোটি টাকা দিচ্ছে।
চামড়া খাতে দেওয়া এবারের ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ থেকে ১২ শতাংশ। মঙ্গলবার থেকে চামড়া ক্রয়ে ঋণ দেওয়া শুরু করেছে ব্যাংকগুলো।
কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংক ট্যানারি মালিকদের এ বছর ৬শ’ কোটি ঋণ বিতরণ করবে।

ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সভায় চামড়া কিনতে এই ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও ব্যাংকগুলোর ৫ বছরে বিতরণ করা ২ হাজার ৪শ’ ৯৩ কোটি টাকার ৩২ শতাংশই খেলাপি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সোনালী ব্যাংক ১শ’ ৫০ কোটি ৪০ লাখ, জনতা ব্যাংক ২শ’ ৫০ কোটি, অগ্রণী ব্যাংক ১শ‘ ৫০ কোটি ও রূপালী ব্যাংক ৬০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করবে। তবে যে সব ট্যানারি মালিক গত বছরের সব টাকা পরিশোধ করেছে তাদের চাহিদামতো ঋণ দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্ব‍াহী কর্মকর্তা আতাউর রহমান প্রধান বলেন, ট্যানারি মালিকদের আগের নেওয়া ঋণ পরিশোধ করার পরই নতুন করে বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

তাই পূর্বে ঋণ নেওয়া ট্যানারি মালিকরা যে টাকা পরিশোধ করেছে তাকে ওই পরিমাণই দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বছর অগ্রণী ব্যাংক চামড়া কিনতে ১৫০ কোটি টাকা বিতরণ করবে। গত বছর বিতরণ করেছিল ১৩০ কোটি টাকা।
২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ব্যাংকটি ট্যানারি মালিকদের চামড়া কিনতে ঋণ দেয় ৬শ’ ১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বকেয়া রয়েছে ৩শ‘ কোটি টাকা আর খেলাপী হয়েছে ৫৬ কোটি টাকা।

জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানার ৪ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে বরাবরের মত এবারও চামড়া কিনতে সবচেয়ে বেশি ঋণ দিচ্ছে জনতা ব্যাংক।
চামড়া কিনতে জনতা ব্যাংক এ বছর ২শ‘ ৫০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করবে। গত বছর করেছিল ২শ’ কোটি টাকা। গত ৫ বছরে বিতরণ করা ৯৬৫ কোটি টাকার মধ্যে বকেয়া রয়েছে ৮১৬ কোটি আর খেলাপি হয়েছে ৯৪ কোটি টাকা।

অন্যদিকে সোনালী ব্যাংক গতবারের মতো এবারও ১শ’ ৫০ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করবে।

তবে শেষ সময়ে এসে ট্যানারি মালিকরা ব্যাংকের দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করতে পারলে ঋণের পরিমাণ আরও ২০ কোটি টাকা বাড়তে পারে।
সোনালী ব্যাংকের গত ৫ বছরে বিতরণ করা ৫১৩ কোটি টাকার মধ্যে বকেয়া হয়েছে ৪শ’ কোটি আর খেলাপি হয়েছে ৪২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

৫ বছরে রূপালী ব্যাংকের বিতরণ করা ৪০২ কোটি টাকার মধ্যে বকেয়া হয়েছে ১৬০ কোটি টাকা। গত বছর রূপালী ব্যাংক বিতরণ করেছিল ৫৫ কোটি টাকা। এ বছর আরও ৫ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে কোন খেলাপি প্রতিষ্ঠান যাতে নতুন করে ঋণ না পায় সেজন্য নজরদারি করছে ব্যাংকগুলো।

অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বিগত সময়ে যারা ঋণ নিয়ে সময় মতো ফেরত দিয়েছে তাদের। প্রকৃত ব্যবসায়ীদের ঋণ দিতে গ্রাহককে যাচাই-বাছাই করারও নির্দেশ দিয়েছে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পরিষদ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৪৩ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930