শিরোনামঃ-

» জৈন্তাপুরে দুর্বৃত্তের হাতে ৫ শতাধিক পানের গাছ কর্তন

প্রকাশিত: ১১. সেপ্টেম্বর. ২০১৬ | রবিবার

সিলেট বাংলা নিউজ জৈন্তাপুর প্রতিনিধি আল মাসুমঃ জৈন্তাপুরে ভিরতগোল গ্রান্টের আদিবাসী মলয় লতুবের পান জুমের প্রায় ৫ শতাধিক পান গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন মলয় লতুব। থানায় সাধারণ ডায়েরী করতে ভয় পাচ্ছেন তিনি।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০-২৫ বৎসর পূর্বে হতে জৈন্তাপুর উপজেলার ভিতরগোল গ্রান্ট (গোয়াবাড়ী) গ্রামে সরকারীভাবে ভূমি বন্দোবস্ত নিয়ে পান-সুপারী, জুম করে আসছেন মলয় লতুবের। কিন্তু শনিবার সকালে লতুবের লক্ষ্য করেন তীব্র রোধের তাপদাহে বাগানের প্রায় ৫ শতাধিক পান গাছ নুয়ে পড়ছে।

বিষয়টি দেখতে পেয়ে গাছগুলোর কাছে গিয়ে তিনি দেখতে পান দুর্বৃত্তরা পান গাছগুলো কেটে ফেলেছে। বাগানে কর্মরত শ্রমিক সামসুল ইসলাম (৫০), আলীম উদ্দিন (৩০), আজির উদ্দিন (২৭), মো. বাবুল (৬৫),আব্দুস ছামাদ (৫৫) বাগানের ঘটনাটি দেখতে পান। তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল হালিম এবং ব্যবসায়ী বদরুল ইসলামকে অবহিত করেন।

শ্রমিকরা জানায়- মলয় জমিদারের হয়ে তারা এই বাগানে ২০ হতে ২৫ বৎসর যাবৎ নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে বাগান সৃজন করে আসছেন। অনেক সময় পান-সুপারী চুরি হয়েছে এমনকি চোর ধরা পড়েছে। কিন্তু এরকম ঘটনা তার কখনো হতে দেখেননি। পান গাছ কর্তনে অনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এরকম পান গাছ তৈরী করতে অন্তত আরও ২০-২৫ বৎসর সময় লাগবে।

এ বিষয়ে মলয় লতুবের জানান- আমি দীর্ঘ ২০-২৫ বৎসর যাবৎ এই বাগান করে আসছি। ঠিক ফলন পাওয়ার শুরুর মুহূর্তে এরকম ঘটনা আমাকে আতংকগ্রস্থ করে তুলেছে। কিন্তু তিনি আরও বলেন, আমি থানা পুলিশ করতে গেলে আমার বাগানের বাকী গাছ কেটে ফেলেবে এমনকি আমকে মেরে ফেলতে পারে। এ ঘটনায় আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছি।

এ বিষয়ে নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল হালিম বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি এবং বাগান পরিদর্শন করি।

বিষয়টি মারাত্মক, তাই আইনের সহায়তার জন্য মলয়কে পরামর্শ দেই। জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সফিউল কবির বলেন- এ ধরনের ঘটনার কোন সংবাদ আমার জানা নেই, এমনকি এ বিষয়ে কোন সাধারন ডায়েরী করা হয়নি। আমার সহযোগিতা চাওয়া হলে আমি যে কোন সহযোগিতা করব।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৮০৯ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930