- জৈন্তাপুরে ছাত্রদলের সাথে হাকিম চৌধুরীর মতবিনিময়
- সোনালী প্রজন্ম মেধাবৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
- সিলেট জেলা শ্রমিক দলের কর্মী সভা
- সিলেটে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে ধানের পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত
- জুলাই বিপ্লবে জন্ম নেওয়া ‘টিম অনওয়ার্ড’ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
- মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে সিলেট মহানগর জামায়াতের শোক
- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সিলেট জেলা উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর গণসমাবেশ শায়খ জিয়া উদ্দীন
- আগামীকাল ২৪ নভেম্বর জনসভা ও গণমিছিল সফল করুন : বাসদ
- ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাথে প্রবাসী আজমের মতবিনিময়
- সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষনা হলে সংশয় দূর হবে
» নবাবের পুকুরে গোসল করতে লাগে ৫ টাকা!
প্রকাশিত: ২২. সেপ্টেম্বর. ২০১৬ | বৃহস্পতিবার
সিলেট বাংলা নিউজ বিনোদন ডেস্কঃ ঐতিহ্যবাহী নয়নাভিরাম পুকুরটির চারপাশ দিয়ে নারকেলগাছের সারি৷ পুকুরে চাষ করা হয়েছে রুই, কাতল, মৃগেল, কালবাউশ, চিতলসহ হরেক রকমের মাছ৷ পাঁচ টাকা দিয়ে এই পুকুরের স্বচ্ছ পানিতে গোসল ও সাঁতার কাটারও ব্যবস্থা রয়েছে।
পুরান ঢাকার ইসলামপুরে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই পুকুর৷ মৌলভি খাজা আবদুল্লাহ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের মালিকানাধীন পুকুরটি ‘নবাববাড়ি পুকুর’ নামেই পরিচিত৷
বর্তমানে এটি পরিচালনা করছেন নবাব পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত ‘নবাববাড়ি ট্যাংক কমিটি’৷ তারা প্রতিবছর একাধিকবার টিকিট কেটে ছিপ দিয়ে মাছ ধরারও আয়োজন করে৷
এতে নবাব পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাইরের লোকজন অংশ নিতে পারেন৷ সবশেষ গত ১৯ ও ২৬ আগস্ট ছিপ দিয়ে মাছ ধরার আয়োজন করা হয়েছিল৷ তবে পুকুরের পানি পরিষ্কার ও মাছ চাষের উপযোগী রাখতে গোসলে সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার এবং কাপড় ধোয়া নিষেধ।
ইসলামপুরের নবাববাড়ি মার্কেট রোড-সংলগ্ন প্রায় সাড়ে সাত বিঘা আয়তনের এই পুকুর৷ গোল আকৃতির পুকুরটির ৪ পাড় ৩ ফুট দেয়ালের ওপর গ্রিল দিয়ে ঘেরা৷ চারদিকে ঘিরে রয়ে অর্ধশতাধিক নারকেলগাছ৷ পুকুরের পানিতে পড়ছে গাছের প্রতিচ্ছবি। বইছে শীতল বাতাস৷
পুকুরের পূর্ব পাড়ের ঘাটে পাঁচ টাকা করে জমা দিয়ে গোসল করছেন ৮ থেকে ১০ জন লোক৷ স্বচ্ছ পানিতে কেউ কেউ সাঁতার কাটছেন৷ পানিতে খেলা করছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ৷ পুকুরঘাটে সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার এবং নারীদের গোসল না করতে টাঙানো রয়েছে নির্দেশনা৷
তবে পাড়ে ওয়াসার পানিতে কাপড় ধোয়া ও গোসল করার পৃথক ব্যবস্থা রয়েছে৷ পুকুরের ভেতর ও চার পাড়ে কোথাও কোনো আবর্জনা নেই। পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। তবে পুকুরের ভেতর মাছ শিকার করতে ব্যবহৃত প্রায় ৩০টি মাচা ভেঙে রয়েছে৷ তবে মৌলভি খাজা আবদুল্লাহ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের কার্যালয়ে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি৷
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাধারণত নবাববাড়ি পুকুরে ইসলামপুর, বাদামতলী, বাবুবাজার, শাঁখারীবাজার, পাটুয়াটুলী, তাঁতীবাজার, নয়াবাজার এলাকায় বিভিন্ন দোকান বা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত লোকজন বেশি গোসল করেন৷
এর মধ্যে পুরান ঢাকার অনেক বাসিন্দা নিয়মিত গোসল করেন৷ সাঁতার শিখতে পারে মহল্লার শিশু-কিশোরেরা৷ এ ছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা ও বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানে পুকুরটি ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়৷
ওই সময় সাময়িকভাবে নারীদের গোসলেরও ব্যবস্থা করা হয়৷ বর্তমানে দিনে প্রায় ৫০০ মানুষ পুকুরে গোসল করে৷ পুকুর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চারজন কর্মী রয়েছেন৷
বাদামতলীর একটি ফলের আড়তে কাজ করেন তফাজ্জল হোসেন৷ তিনি বলেন, বাদামতলী ফলের আড়তের সামনেই বুড়িগঙ্গা নদী৷ কিন্তু নদীর পানি অনেক নোংরা৷ তাই প্রায় সাত বছর ধরে এই পুকুরে গোসল করেন৷ এখানে সাঁতার কেটে গোসল করতে অনেক আনন্দ লাগে৷
পুকুরপারের বাসিন্দা খাজা জাসেফ বলেন, এই পুকুর বাদে পুরান ঢাকায় তেমন কোনো জলাধার নেই৷ ফলে কোনো এলাকায় আগুন লাগলে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করা যায় না৷ এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি গলি-সড়ক দিয়ে প্রবেশ করতে পারে না৷ কয়েক বছর আগে ইসলামপুরের দুটি মার্কেটে আগুন লেগেছিল৷ তখন এই পুকুরের পানি ব্যবহার করেছিলেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা৷
গতকাল বুধবার দুপুরে নবাববাড়ি পুকুরঘাটে বসে মহল্লার লোকজনের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন ঢাকা নবাব ফ্যামিলি ইয়াংম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান৷
তিনি বলেন, ১৯৭৭ সালের আগ পর্যন্ত এই পুকুরের পানি অনেক বেশি নোংরা ছিল৷ কেউ কোনো যত্ন নিত না৷ পরে তা পরিষ্কার করে গোসলের উপযোগী করা হয়৷
এতে ঢাকা নবাব ফ্যামিলি ইয়াংম্যান অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা শহর যুব সংস্থা ও আবদুল্লাহ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অংশ নেয়৷ এরপর থেকেই পুরান ঢাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নিয়মিত পুকুরে গোসল করেন৷ সবুজের মাঝে বুকভরে নিশ্বাস নেন৷
তিনি বলেন, এই পুকুরের মাঝের জায়গাটি কূপের মতো অনেক গভীর৷ ফলে নিচ থেকেই পানি ওঠে৷ এর সঙ্গে যোগ হয় বৃষ্টির পানি৷ পুকুরে পানি বেশি হলে সেচ দিয়ে কমিয়ে ফেলা হয়৷ পুকুরে মহল্লার কোনো নালা বা ওয়াসার পানির সংযোগ নেই৷ তবে বিশেষ প্রয়োজনে ওয়াসা থেকে পানি দেওয়া হয়৷
নবাববাড়ি ট্যাংক কমিটির সাধারণ সম্পাদক খাজা মোহাম্মদ ওয়াসিম উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, মাছ শিকার উৎসব এবং গোসলের টাকার একটি বড় অংশ পুকুর সংস্কার, পরিষ্কার ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় ব্যয় হয়৷ বাকি অংশ মৌলভি খাজা আবদুল্লাহ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টে জমা দেওয়া হয়৷
কয়েক মাসের মধ্যেই পুকুরের ভেতরের ৪ পাড়ে নারীদের জন্য হাঁটার পথ নির্মাণ করা হবে৷ ইতিমধ্যে নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, নবাববাড়ির এই জলাধার ঐতিহ্যবাহী পুকুর হিসেবে সংরক্ষিত ঘোষণা করেছে সরকার।
কিন্তু পুকুরটি সংরক্ষণ ও সংস্কারে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি৷ ফলে একটি চক্র তা ভরাট করে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ নবাব পরিবারের সদস্যদের৷
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৬৩১ বার
সর্বাধিক পঠিত খবর
- হত্যা না করেও ২৬ জনের উপর হত্যা মামলার করলো আওয়ামী লীগ
- সুনামগঞ্জ জেলায় নির্বাচনী হাওয়া; সরেজমিন প্রতিবেদন
- জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহীন আলী গ্রেফতার; উত্তাল দক্ষিণ সুরমা
- তালাকনামা জালিয়াতির দায়ে বিশ্বনাথে কাজী গ্রেফতার; ৭ জন আসামীর উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী
- কিডনী রোগীদের জরুরী তথ্য কণিকা জানা আবশ্যক
এই বিভাগের আরো খবর
- দুর্নীতিবাজ শিক্ষক প্রত্যাহারের দাবীতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বিয়ানীবাজারের খলাগ্রামবাসীর স্মারকলিপি
- লায়ন্স ক্লাব অব সিলেট সুরমা’র ডেন্টাল ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- ‘মার্সেল হা-শো’র সিলেট অডিশন ৫ অক্টোবর
- কানাইঘাট অ্যাসোসিয়েশন ইউকে’র এসজিএম ও পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন
- এলজিইডি কন্ট্রাকটর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন