শিরোনামঃ-

» কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র সালেহ আহমদ চৌধুরী’র বিরুদ্ধে স্বার্থান্বেষী মহল অপ-প্রচার ও বিভ্রান্ত চালাচ্ছে

প্রকাশিত: ০৩. অক্টোবর. ২০১৬ | সোমবার

সিলেট বাংলা নিউজ:: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জননন্দিত প্যানেল মেয়র ও ৪ বারের নির্বাচিত ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এডভোকেট সালেহ আহমদ চৌধুরী বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালাচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল।

নিজ ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে গত সিসিক নির্বাচনে পরাজয় বরণকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সমাজিক মান-মর্যাদা ক্ষুণ করতে এডভোকেট সালেহ আহমদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপ-প্রচার ও বিভ্রান্ত চড়ানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

অপপ্রচার সম্পর্কে এডভোকেট সালেহ আহমদ চৌধুরী বলেন, গত কয়েক দিন যাবত সিলেটে বিভিন্ন অনলাইন, জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে।

আমার ইন্ধনে মসজিদের জায়গা দখলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মসজিদ ও জাকারিয়া জাকু মধ্যে জায়গা নিয়ে সমস্যা চলছে এ সর্ম্পকে আমি কোন কিছু অবগত ছিলাম না।

এ ব্যাপারে সর্বপ্রথম বিষয়টি আমাকে কোতোয়ালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোবাইল ফোনে বলেন বিষয়টি সমাধানের জন্য। পরে আমাকে স্থায়ী মুরব্বী ও সাবেক মেম্বার মোস্তাফা কামাল মসজিদে বাদ এশা উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেন।

আমি নিজেও জানিনা ঐ দিন কি কারণে আমাকে মসজিদে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হলো। আমি উপস্থিত হওয়ার পর স্থানীয় কয়েকজন মুরব্বী জাকু গং’দের বিরুদ্ধে মসজিদের জায়গা দখলের কথা বলে বিচার প্রার্থী হন।

আমি ২য় বার জানলাম এই বিষয়টি। জানার পর আমি জাকু গং’দের সাথে আলাপ আলোচনা করি। মসজিদ ও জাকু গং’রা সবাই তাদের নিজ নিজ অবস্থা থেকে জায়গা কাগজ ২ পক্ষই সঠিক বলে দাবী করেন।

আমি পরবর্তীতে ২ পক্ষকে সালিশনামা সম্পাদনের মাধ্যমে সালিশ বৈঠকের প্রস্তাব প্রদান করি এবং ২ পক্ষকে ৫ জন করে সালিশ ব্যাক্তিত্ব উপস্থিত রাখার জন্য বলে সালিশের তারিখ নির্ধারণ করি।

ঐ সালিশ বৈঠকে মসজিদ পক্ষ সিলেটের বিশিষ্ট সালিশ ব্যাক্তিত্ব সাবেক চেয়ারম্যান আফরোজ মিয়া, মকবুল হোসেন মহল, জমসিদ আলী, আজির উদ্দিন ও মোস্তাফা কামাল উপস্থিত ছিলেন। আর জাকারিয়া জাকু সিলেটের সালিশ ব্যাক্তিত্বদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট রফিকুল হক, মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মকন মিয়া, আব্দুল মুকিত, সাদিকুর রহমান, আব্দুর মজিদ রেনাকে উপস্থিত রাখেন।

সবার উপস্থিতিতে উভয় পক্ষ ১ লক্ষ/ ১ লক্ষ টাকা করে মোট ২ লক্ষ টাকা আনামত সহ সালিশনামা সম্পাদন করিয়া ২ পক্ষ স্বাক্ষর নিয়ে সবার সম্মতিক্রমে আমাকে সালিশের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

এর পরবর্তিতে ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শেষে জায়গা সার্ভে করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সেখানে মসজিদ সালিশানগণ সার্ভে করার জন্য এডভোকেট কমিশনার আব্দুস সবুর চৌধূরীকে আর জাকু গং’রা কোর্ট সার্ভে কমিশনার আব্দুর রশিদকে প্রদান করেন।

তারা জায়গা সার্ভে করার পর আমরা সালিশানগণ দায়িত্ব প্রদান করি ২ জন আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাধানের। তারা ২ জন কোন ধরনের সমাধান দিতে পারেননি।

পরবর্তিতে সালিশানগণ ২ জনের প্রতিবেদন নিয়ে প্রবীণ আইনজীবী এডভোকেট কমিশনার নিলেন্দ্র দেব’র সাথে আলোপ আলোচনা করে বিষয়টি সুষ্ট সমাধানের স্বার্থে লিখিত মতামত প্রদানের জন্য বলেন।

তিনি যে পরামর্শ প্রদান করেন সেই পরামর্শে ২ পক্ষ ও সালিশানগণ একমত পোষন করে পরামর্শটি রোয়েদাদ আকারে তৈরী করে পরবর্তী সালিশের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

দীর্ঘ প্রায় ১ বছর দফায় দফায় বিচার কার্যের পর সম্প্রতি সালিশানগণদের সকল সিদ্ধান্ত মেনে শুধুমাত্র মকবুল হোসেন মহল, জমসিদ মিয়া ও আজির উদ্দিন ব্যাতিত সকল সালিশানগণ রোয়েদাদ স্বাক্ষর করেন।

সালিশ বৈঠকের ঠিক ২ দিন পূর্বে হঠাৎ করে সালিশ বৈঠকের স্থান পরবর্তিনের প্রস্তাব নিয়ে আসেন মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ মনিক মিয়া।

তিনি বলেন, মসজিদ কমিটির ২/৩ জন সদস্য সালিশ বৈঠক মসজিদে করার জন্য বলেন।

আমাকে মানিক মিয়া বিষয়টি জানানোর পর আমি জাকু গং’দের সাথে আলাপ আলোচনা করি। জাকু গং’রা আমাকে জানান মসজিদের ভিতরে সালিশ বৈঠক হলে যেকোন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

পরে বিষয়টি মানিক মিয়াকে জানিয়ে আমি তার বাসায় অথবা যে জায়গা নিয়ে বিরোধ সেই জায়গা সালিশ বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব প্রদান করি। সেই প্রস্তাবেও মসজিদ কমিটি প্রত্যাখান করেন।

আমি বাধ্য হয়ে অনেক অপেক্ষার পর সকল সালিশানদের সাথে ফোনে আলাপ আলোচনা করে বিষয়টি আবারও কোতোয়ালী থানার অফিসার্স ইনচার্জকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তার কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য বলেন। এরপর থেকে এই ঘটনার সাথে আমার কোন ধরনের সম্পৃক্তা নেই। মসজিদের ভূমি মসজিদ পাবে এতে আমার কোন দ্বিমত নেই।

আমি হতবাক হয়েছি হঠাৎ করে আমার বিরুদ্ধে মসজিদের সামনে মানব বন্ধন ও মসজিদের ভিতরে প্রতিবাদ সভা। আমি ও সালিশানগণ সর্ব শক্তি প্রয়োগ করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্ঠা করেছি।

কোন ধরনের অবহেলা করিনি। আর আমার জানা মতে ঘাসিটুলা বড় মসজিদ ও ছোট মসজিদ ভূমি নিয়ে একটি মামলা রয়েছে যাহার নং-১৫৭/২০০১ কোম্পানীগঞ্জ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আমি অপপ্রচারকারীদের বলতে চাই কারো বিরুদ্ধে সমালোচনা করার পূর্বে নিজের আত্ম-সমালোচনা করা উচিত।

জাতির বিবেক সাংবাদিক সমাজের সাহসী সৈনিকগণ আপনাদের কাছে অনুরোধ উপরে বর্ণিত সকল বিষয়ে স্থানীয়ভাবে তদন্ত এবং সালিশানগণদের সাথে আলাপ আলোচনা করলে পুরোপুরি সত্য ঘটনাটি জানতে পারবেন।

আমি দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর যাবত এই ওয়ার্ড বাসির সেবা করে আসছি। তাদের সেবায় আমি আমার জীবনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত করেছি।

আমি খারাপ প্রকৃতির হলে আমার ওয়ার্ডে সচেতন নাগরিকবৃন্দ আমাকে তাদের সেবার মহান দায়িত্ব প্রদান করতো না। আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট ভিত্তিহীন অপ-প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ষড়যন্ত্রকারী মহল।

তিনি সকল সাংবাদিক ভাইদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি মহল যে অপ-প্রচার চালাচ্ছে তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং নীতি বহির্ভূত। আপনারা তাদের সম্পর্কে সজাগ থাকবেন। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সঠিক খবর প্রকাশ করতে তিনি সকলকে অনুরোধ করেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৫৯ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30