শিরোনামঃ-

» সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতীকী মানববন্ধন ১৮ অক্টোবর

প্রকাশিত: ০৯. অক্টোবর. ২০১৬ | রবিবার

সিলেট বাংলা নিউজঃ ছাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে করে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে আগামী ১৮ অক্টোবর সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে প্রতিকী মানববন্ধন এবং ২০ অক্টোবর সভা অনুষ্ঠানের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শনিবার ঢাকার ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালনরত অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

নুরুল ইসলাম নাহিদ কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, ‘আগামী ১৮ অক্টোবর সকাল ১১টা থেকে সারাদেশে সকল স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ নিজ নিজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের অংশগ্রহণে ১৫ মিনিটের জন্য প্রতিকী মানববন্ধন আয়োজন করবে।’

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘আগামী ২০ অক্টোবর একইভাবে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সভা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষক, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সভায় অংশগ্রহণ করবেন।’

সভায় স্থানীয়ভাবে কমিটি গঠন করে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জনমত সৃষ্টিতে প্রচারণাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

কমিটির মাধ্যমে স্থানীয় ছাত্রী-উত্ত্যক্তকারী বখাটেদের সনাক্ত করে তাদের শোধরানোর চেষ্টা করা হবে। কোন ছাত্রী-উত্ত্যক্তকারীকে শোধরানো না গেলে তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘খাদিজা, রিসা, তনুর মতো মেধাবী ছাত্রীদের ওপর বখাটে সন্ত্রাসীদের হামলা আমাদের মধ্য যুগীয় বর্বরতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের নিরপরাধ ছাত্রীদের ওপর হামলা পুরো শিক্ষা পরিবারের ওপর হামলা। এ পরিস্থিতিতে আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না।’

‘২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পরপর সারাদেশে ছাত্রীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে। আমি ব্যক্তিগতভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের ১৪টি শোকসন্তপ্ত পরিবারের কাছে ছুটে গেছি। তাদের মা-বাবা, অভিভাবক, শিক্ষক ও সহপাঠীদের সাথে কথা বলেছি’।

তিনি আরো বলেন, ইভটিজিং বন্ধে কঠোর আইন প্রণয়নসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা অনেক কমে এসেছে। তিনি বলেন, ছাত্রীদের ওপর হামলার বিরুদ্ধে সমাজে যে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে, তা সহজেই লক্ষণীয়। ছাত্রীরাও এখন আর এ ধরনের অপরাধ নিরবে সহ্য করছে না, তারা নিজেরাই প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে।
কেবল আইনের মাধ্যমে ইভটিজিং নির্মূল সম্ভব নয় উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইভটিজিং বিরোধী ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং অপরাধীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে সমাজের সকল স্তরের জনগণের সহায়তা এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি ছাত্রীদের সাথে এসব সমস্যা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদার, ছাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়ার পথে এলাকাবাসীদের নজরদারির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪২৩ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930