শিরোনামঃ-

» ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন বদরুলের

প্রকাশিত: ০৯. অক্টোবর. ২০১৬ | রবিবার

সিলেট বাংলা নিউজঃ কলেজ ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করেছে ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম। এসব তথ্য গোপন করে সে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা চালিয়েছে।

আটক ও গ্রেফতারের পর সাংবাদিক, পুলিশ ও গোয়েন্দাদের কাছে বদরুল যে বক্তব্য দিয়েছিল তার সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই মিল নেই ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দির। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আগে বলে গেলেও ১৬৪ ধারার সময় তা গোপন করে সে। বদরুলের একটি অডিও রেকর্ড ও জবানবন্দি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

অডিও’র বক্তব্য অনুযায়ী, খাদিজাকে হত্যার পরিকল্পনা ও পূর্ব প্রস্তুতি ছিল বদরুলের। এ লক্ষ্যেই আম্বরখানা থেকে  চাপাতি কিনে। কিন্তু ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে হত্যার উদ্দেশ্যে এবং  চাপাতি কেনার বিষয়টি আড়াল করে বদরুল।

২০১২ সালে খাদিজাকে উত্যক্ত করতে গিয়ে গ্রামবাসীর গণপিটুনির শিকার হওয়ার বিষয়টি ঘুণাক্ষরেও উল্লেখ করেনি বদরুল। অথচ ওই ঘটনাকে ব্যবহার করে জামায়াত-শিবিরের হামলা দেখিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটে সে। বাগিয়ে নেয় ছাত্রলীগের পদ-পদবি। কিন্তু আদালতের কাছে সে উল্টো দাবি করে, খাদিজার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

ছাত্রলীগের পদে থাকার তথ্যও আদালতকে জানায়নি সে। ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ২০০৯-২০১০ সালের ঘটনা থেকে বর্ণনা শুরু করে বদরুল। এরপর সোজা চলে আসে ২০১৬ সালে। অডিওতে বদরুল নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা, বঙ্গবন্ধুর সৈনিক পরিচয় বার বার দিয়েছে। তবে ১৬৪ ধারার সময় বিষয়টি উল্লেখই করেনি। বুধবার সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম উম্মে সরাবন তহুরা জবানবন্দী নেন বদরুল আলমের।

বদরুল খাদিজাকে উত্যক্ত করার বিষয়টি এড়িয়ে গেছে পুরো জবানবন্দিতে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বার বার সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছে খাদিজার সঙ্গে ‘প্রেম’ ছিল তার। গ্রেফতারের পর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় খাদিজার সঙ্গে যুগল ছবি, সেলফি, অডিও-ভিডিও বদরুলের রয়েছে কিনা তা প্রাথমিকভাবে যাচাই করে দেখা হয়। বদরুল তখন এ সংক্রান্ত কোন প্রমাণই উপস্থাপন করতে পারেনি পুলিশ ও গোয়েন্দাদের কাছে।

এ ব্যাপারে বিজ্ঞ আইনজীবি অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম মনে করেন, এতে মামলার তদন্ত ও ন্যায় বিচার বিঘ্নিত হতে পারে। তিনি বলেন, ঘটনার কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জবানবন্দিতে গোপন করে থাকলে পুনরায় সম্পুরক জবানবন্দি নেয়া যেতে পারে। না হলে ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হওয়ার শংকা থেকে যায়।

এদিকে মামলার তদন্ত শুরু করেছে শাহপরান থানা পুলিশ। আসামী বদরুলের নাম-ঠিকানা যাচাই করছে পুলিশ। এছাড়া ওসমানী হাসপাতাল ও স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে খাদিজার চিকিৎসাপত্র দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে। খাদিজাকে উদ্ধারকারী যুবক ইমরান ও জুনেদকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে স্বাক্ষ্য নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হারুন উর-রশিদ।

তিনি জানিয়েছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে চার্জশিট দেয়ার কাজ চলছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৬৯ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930