শিরোনামঃ-

» শিশু পুষ্টি খাতে ১০০ কোটি ডলার বেশি সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত: ১৮. অক্টোবর. ২০১৬ | মঙ্গলবার

সিলেট বাংলা নিউজ স্বাস্থ্য তথ্যঃ শিশুপুষ্টি খাতে আগামী ২ বছরে বাংলাদেশকে বর্তমানের চেয়ে ১০০ কোটি ডলার বেশি সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।
সোমবার সকালে সচিবালয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দ্বিতীয় দফায় নিয়োগ পাওয়া বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম এ কথা বলেন।

সোমবার সকালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে জিম ইয়ং কিম বৈঠক করেন। সকাল পৌনে ৯টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত সচিবালয়ে এ বৈঠক করেছেন তারা। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট।

এসময় জিম ইয়ং কিম বলেন, শিশু পুষ্টি খাতে বাংলাদেশকে আগামী ২ বছরে বর্তমানের চেয়েও ১০০ কোটি ডলার বেশি সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন দেশকে সহায়তা করার তহবিল ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশও আরও বেশি সহায়তা পাবে। বিশ্বব্যাংক এমনিতেই বাংলাদেশকে বড় ধরনের সহায়তা দেয়। ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা সহায়তার ফোকাস হবে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বাংলাদেশের যোগাযোগসহ সব খাতেই বিশ্বব্যাংক সহায়তা দিয়ে থাকে। পদ্মা সেতুতে যে তহবিল বিশ্বব্যাংকের দেওয়ার কথা ছিল, তারা অন্যান্য প্রকল্পে সেটি দিয়েছে। এর মাধ্যমে বিষয়টির সমন্বয় হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা।’

‘আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস’ এ বছর ঢাকায় পালন করছে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট। ৩ দিনের সফরে রোববার ঢাকায় এসেছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। তিনি বাংলাদেশে এসেছেন দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের সাফল্য ও বিমোচনের কৌশল সরেজমিনে দেখতে।

ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আজ বেলা ৩টায় ‘দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্বে বাংলাদেশ’ শীর্ষক গণ বক্তৃতা হবে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে বিশেষ বক্তব্য দেবেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। এ সময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রধান অর্থনীতিবিদ পল রোমার।

বিশ্বব্যাংকের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯১ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৪.২ শতাংশ। ২০১০ সালে তা ১৮.৫ শতাংশে নেমে আসে। বাংলাদেশে ১৯৯০ সালের তুলনায় যে কর্মজীবী নারী ছিল তা এখন বেড়ে দ্বিগুণ। তাছাড়াও তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে প্রথম চীনের পরই দ্বিতীয় অবস্থান বাংলাদেশের।

উল্লেখ্য, জিম ইয়ং কিমসহ বিশ্বব্যাংকের এ পর্যন্ত ৫ জন প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসেন। সর্বশেষ ২০০৭ সালে এসেছিলেন বিশ্বব্যাংকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট জোয়েলিক। এরও আগে আসেন পল উলফোভিৎজ, জেমস উলফেনসন ও রবার্ট ম্যাকনামারা।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৮৪ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30