শিরোনামঃ-

» অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় দুদকের মামলা খারিজ ॥ বাদীকে অব্যাহতি

প্রকাশিত: ২৪. অক্টোবর. ২০১৬ | সোমবার

সিলেট বাংলা নিউজ:: আবুল মোহাম্মদ সিলেট :: সিলেট জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক রনজিৎ কুমার কর্মকারের দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলা খারিজ করে দিয়েছেন সিলেটের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতের বিচারক কাজী মো. আব্দুল হান্নান।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক সহকারী সেটেলম্যান্ট অফিসার ও বর্তমানে আজমেরীগঞ্জে কর্মরত মো. বদরুল আলম চৌধুরীর (৫৩) বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

আদালত সূত্রে জানা যায়, দুদক কর্মকর্তার অভিযোগের কোন ভিত্তি বা সত্যতা না থাকায় বিজ্ঞ আদালত বদরুল আলম চৌধুরীকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।

সোমবার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতের বিচারক কাজী মো. আব্দুল হান্নান বদরুল আলমের উপর আনীত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় এই আদেশ প্রদান করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বদরুল আলম চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ঠার সাথে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে যাচ্ছিলেন। কিছুদিন পূর্বে দুদকের উক্ত কর্মকর্তা তার কাছে বড় অংকের টাকা দাবি করেন।

এতে তিনি অপারগতা জানিয়ে অনৈতিক কোন কাজ নিজে করেন না এবং এ ধরনের কাজে কোন সহযোগিতাও তিনি করবেন না বলে জানান।

এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত দুদক কর্মকর্তা কোম্পানীগঞ্জ থানার একটি মামলায় (মামলা নং ২৩ জিআর ২৭০/১৩) অভিযুক্ত করে বিনা ওয়ারেন্টে বদরুল আলমকে আটক করেন।

অথচ ২০১৪ সালের ৩১ আগষ্ট এই মামলাটির অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগ পত্র নং ১৬৩।

এতে উক্ত বদরুল ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়নি। উপরোক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুজিবুর রহমান চৌধুরী তার তদন্ত রিপোর্টে বদরুল আলমের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে উল্লেখ করেন।

পরবর্তীতে মামলার অভিযোগ পত্র গঠন করা হলেও এতে বদরুল আলমের নাম উল্লেখ করা হয়নি। ২৪ অক্টোবর বিজ্ঞ আদালতে বদরুল আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে আদালতে জামিন আবেদন করা হয়।

আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত উক্ত মামলার সকল কাগজ পত্রে বদরুল ইসলামের নামের কোন অস্তিত্ব না থাকায় মামলাটি খারিজ করে দিয়ে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ প্রদান করেন।

এদিকে সিলেটের সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আলী আক্তার জানান, উদ্যেশ্য প্রনোদিত হয়ে বদরুল আলম চৌধুরীকে একটি পেইন্ডিং মামলায় আসামী করা হয়। যে মামলায় বিচার কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে।

কিন্তু উক্ত মামলায় বদরুল আলম চৌধুরীকে আসামী করা হয়। বিজ্ঞ আদালত বদরুল আলমের পক্ষে দায়ের করা জামিন আবেদন সম্পর্কে বলেন যেহেতু তিনি কোন মামলায় অভিযুক্ত নয় এবং তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন মামলা নেই সেহেতু জামিনের কোন এখতিয়ার  এখানে নেই।

সুতরাং কোন ভিত্তি না থাকায় উক্ত (কোম্পানীগঞ্জ থানা মামলা না ২৩ জিআর ২৭০/১৩) মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জমিদারী অধিগ্রহন ও প্রজাতন্ত্র বিধিমালার ৩৯ বিধি অনুযায়ী জরিপ বিভাগের বিচারকদের বিরুদ্ধে মামলা করার কোন বিধান নেই।

অতএব, উক্ত দুদক কর্মকর্তা আইন কানুন লঙ্ঘন করে একজন নিরপরাধ ব্যক্তির উপর সাজানো মামলা দায়ের করেছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৩০ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30