শিরোনামঃ-

» দরগাহ’র মসজিদ প্রাঙ্গনে মিউজিক ভিডিওর চিত্র ধারণ

প্রকাশিত: ২৫. অক্টোবর. ২০১৬ | মঙ্গলবার

সিলেট বাংলা নিউজ বিশেষ রিপোর্টঃ মারিয়া ভুজঙ্গ তীর/ কলিজা করিলো চৌচির / এমন শিকারী তীর মারিলো রে – লোককবি দুর্বিন শাহ’র লেখা ভীষণ জনপ্রিয় একটি গানের শুরু এটি।

তবে গানটি দিয়ে এবার সত্যিই যেনো অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লির কলিজা চৌচির করলো দেশের অন্যতম বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণ ফোন।

গানটি দিয়ে তৈরি করা একটি মিউজিক ভিডিও ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচারিত হলে চোখ কপালে উঠার যোগাড় সচেতন অনেকেরই। মসজিদের সিঁড়িতে তবলা বাজিয়ে গানের চিত্রায়নে তারা একেবারেই হতভম্ভ।

ইউফোনিস্ট ব্যানার দিয়ে গ্রামীণ ফোনের ‘মিউজিক ডায়রি’র প্রথম গান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় দুর্বিন শাহ’র জনপ্রিয় গান ‘প্রেম শেল বিন্দিলো বুকে’।

বৃহস্পতিবার গানটি আপলোড করা হয় গ্রামীণ ফোনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে।

সেখানে গানটির বর্ণণা দেওয়া আছে এভাবে, ‘ইউফোনিস্ট এর প্রথম পর্বে সিলেট শহর থেকে বাউল দূরবীন শাহ্‌’র গান “আমার অন্তরায়, আমার কলিজায়”। ফেসবুকের পাশাপাশি গানটি ইউটিউবে গ্রামীণ ফোনের নিজস্ব চ্যানেলেও আপলোড করা হয় গ্রামীণ ফোনের পক্ষ থেকে।

গ্রামীন ফোনের পরিবেশনায় মিউজিক ভিডিওর মূল লোকেশন হিসেবে বেছে নেওয়া হয হযরত শাহজালালের (রাহ.) মাজার ও মাজার সংলগ্ন মসজিদ।

সিলেটের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী জামাল উদ্দিন হোসেন বান্নার কণ্ঠে গানটি মধু ছড়ালেও দৃশ্যায়নে আপত্তি উঠেছে। গানের শুরুতেই দেখা যায় জামাল উদ্দিন হোসেন বান্না একদল তরুণকে নিয়ে মসজিদের মূল আঙিনা ধরে গান গেয়ে হেঁটে যাচ্ছেন।

তবে ভিউয়ার্সদের চোখ একেবারে কপালে উঠে যখন দেখা যায় মাজার সংলগ্ন মূল মসজিদের সিঁড়িতে, বসে গান গাইছেন জামাল উদ্দিন বান্না, একই সিঁড়িতে বসে তবলা বাজিয়ে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন অন্য আরেকজন।

মসজিদের অংশ হিসেবে যেখানে নামাজ পড়া হয় সেখানে বসে গান গাওয়া আর সে গান ধারণ করে প্রচার করার বিষয়টি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ভীষণভাবে পীড়া দিয়েছে।

ইসলাম ধর্মে মসজিদ অত্যন্ত পবিত্র স্থান। যেখানে উচ্চ স্বরে কথা বলায়ও নিষেধ আছে সেখানে তবলা বাজিয়ে গান গাওয়া এবং তার ভিডিওচিত্র গ্রহণের ফলে গ্রামীণফোনের দায়িত্বশীলতা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারের মোতাওয়াল্লি সরেকওম ফতেহ উল্লাহ আল আমান বলেন, এ ধরনের ভিডিও গ্রহণের কথা তার জানা নেই।

দরগাহ কর্তৃপক্ষ কাউকে এ ধরনের অনুমতি দেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, যে বা যারা এ ধরনের কাজ করেছে তারা চুরি করেই কাজটি করেছে।

মসজিদে গান ধারণ করে তারা মোটেও ঠিক কাজ করেনি। তিনি বলেন, শিল্পীরও তো বুঝা উচিত ছিলো মসজিদে এ ধরনের কাজ করা ঠিক নয়।

আলাপের চেষ্টা হয় গানের শিল্পী জামাল উদ্দিন হোসেন বান্নার সাথে। তবে তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় তাৎক্ষণিকভাবে তার মন্তব্য নেওয়া যায়নি।
ভিডিও দেখেছেন এমন অনেকেই বলছেন গানটির এভাবে চিত্রায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ ফোন

অসংখ্য মুসল্লির বুকেই শেল বিঁধিয়ে দিয়েছে এ জাতীয় গান সংবলিত মিউজিক ভিডিও এর ধারণচিত্র।

সুত্রঃ  মঈন উদ্দিন ও সাঈদ চৌধুরী টিপু, রিয়েল টাইমস টুয়েন্টি ফোর ডট কম

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৮৫০ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930