শিরোনামঃ-

» ‘৪ ঘণ্টা জ্যামে বসে ছিলাম, তবু আইন ভাঙিনি’ : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত: ২৭. অক্টোবর. ২০১৬ | বৃহস্পতিবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ সড়ক যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যানজট নিয়ে আরও একবার নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করলেন। রাস্তায় নেমে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আইন না মানার প্রবণতা নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

রোববার সড়ক ব্যবস্থাপনা নিয়ে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের এক আলোচনায় তিনি বলেন, “কখনো কখনো অসহায়ভাবে তাকিয়ে দেখি কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রং সাইড দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যাচ্ছেন।”

“পরিচিত কেউ হলে তাকে ফোন করি, ওপার থেকে জবাব আসে রাইট সাইড দিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করো- তখন যাবো। প্রতিনিয়তই এভাবে আইন ভাঙছে।”

ঢাকায় যানজট যেভাবে বাড়ছে, তাতে যে কোনে সময় এ শহর ‘অচল হয়ে যেতে পারে’ বলে নিজের দুশ্চিন্তার কথা তুলে ধরেন কাদের।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই নেতার দাবি, যে যাই করুক, তিনি নিজে কখনো নিয়ম ভাঙেন না, ‘রং সাইডে’ যান না।

তিনি বলেন, “গত রমজানের ঈদে বাইপাইল টু চন্দ্রা রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সে সময় পুলিশ বলল-রং সাইডে গেলে ১৫ মিনিটের পথ। আমি সায় দিইনি। সাড়ে ৪ ঘণ্টা জ্যামে বসে ছিলাম। এটা লোক দেখানো নয়, এতক্ষণ জ্যামে বসে থাকার জন্য বেশ কষ্টই করতে হয়।”

“এই নাভিশ্বাস, নরক যন্ত্রণা নাগরিকদের নিত্যসঙ্গী। কোথাও যেতে হলে যানজট ঠেলে যেতে হয়। এই অনুষ্ঠানে আসার সময়ও আমাকে যানজট ঠেলে আসতে হয়েছে, আপনাদেরও নিশ্চয়ই কষ্ট হয়েছে।”

উল্টো পাশ দিয়ে গাড়ি চালানো বন্ধের জন্য সবার ‘মানসিকতার পরিবর্তন’ জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রাজধানীতে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় মালিকদের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, “বাস মালিকদের সাথে কথা বলে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু কোন মালিকই তা মানছেন না। তারা অতিরিক্ত আদায় করছেন। “এখানে মালিকদের প্রতিনিধিও আছেন। আপনারা সুন্দর সুন্দর কথা বলেন। মানুষকে কষ্ট দেবেন না প্লিজ।”

মালিক সমিতির নেতাদের তিনি প্রশ্ন করেন- সমিতির সদস্যরা যদি কথাই না শোনে, তাহলে তারা ‘কীসের নেতা’!

রাস্তার পাশে অবৈধ বিলবোর্ডে অজস্র রাজনৈতিক নেতার প্রচারের বিষয়টি তুলে ধরে কাদের বলেন, “অতি নেতা, পাতি নেতা, আধুলি নেতা- এদেশে নেতার কোনো শেষ নাই। বাংলাদেশ যেন নেতা উৎপাদনের বিশাল কারখানা। বিলবোর্ডে যাদের ছবি যতো উঠছে তাদের জনপ্রিয়তা তত কমছে।” এই বিলবোর্ড দেখিয়ে কেউ কেউ ‘চাঁদাবাজিও’ করেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

“বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধুর ছবি, প্রধানমন্ত্রী ছবি দেখলে কষ্ট লাগে। গত ১৫ আগস্টের কয়েকটি বিলবোর্ড দেখলাম, বঙ্গবন্ধুর ছবি ম্লান হয়ে আছে। এগুলো দেখা যাবে আগামী ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত ঝুলছে।”

ব্র্যাকের আয়োজনে সড়ক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান।

১৯৮৩ সালের বাংলাদেশ মোটরযান অধ্যাদেশকে সংশোধন করে ‘বিআরটিএ আইন ২০১৫’ ও ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৫’ নামে নতুন ২টি আইন করার উদ্যোগ নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা করা হয়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৮৫ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30