শিরোনামঃ-

» থাপ্পর মেরে পুলিশের কানের পর্দা ফাটালো চেয়ারম্যানের ভাগিনা!

প্রকাশিত: ০১. নভেম্বর. ২০১৬ | মঙ্গলবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্ক:: শরীয়তপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যানের ভাগিনা আক্তার হোসেন ঢালী (২৭) পুলিশ সদস্য মো. সেলিম মাতুব্বরকে (৪২) থাপ্পড় মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর হাসপাতালের ডাক্তারের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
মো. সেলিম মাতুব্বর মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার সাতকরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর ছাত্তার মাতুব্বরের ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে যানা যায়, আক্তার হোসেন ঢালী তার মামা শরীয়তপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন হাওলাদারের নির্দেশে সদর হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার দেবাশীষ সাহাকে একটি অনৈতিক চিকিৎসা সনদ দিতে বলে।
তাদের পছন্দমত দিতে অস্বীকার করলে আক্তার হোসেন ঢালী ডা. দেবাশীষ সাহাকে অশ্লীল ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।
এ সময় চিকিৎসা নিতে আসা বুকে প্যাসমেকার বসানো পুলিশ সদস্য সেলিম মাতুব্বর গালাগালি না করার জন্য বলে। তখন আক্তার চড়াও হয়ে সেলিমকে ডান কানে চড় মারলে ফ্লোরে পড়ে যায়। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার’রা তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হোসাইন খান, জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন ও শরীয়তপুর সিভিল সার্জন মো. মসিউর রহমান টগর পুলিশ সদস্য সেলিম মাতুব্বরকে সদর হাসপাতালে দেখতে আসেন।
জানতে চাইলে মো. সেলিম মাতুব্বর বলেন, পুলিশ লাইনের চিকিৎসক ডা. মনিরুল ইসলাম আমাকে ডা. দেবাশীষ সাহার কাছে পাঠায়।
আমার উপস্থিতিতে ডা. দেবাশীষ সাহা তাদের দাবি করা চিকিৎসা সনদ দিতে অস্বীকার করায় তাকে আক্তার অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন।
আমি তাকে গালমন্দ না করার কথা বললে সে আমাকে কানে চড় মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে আমি ফ্লোরে পড়ে যাই।
ডা. দেবাশীষ সাহা বলেন, আমি রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে আমার কক্ষে আক্তার হোসেন ঢালী ৩-৪ জন লোক নিয়ে ঢোকেন।
ঢুকেই সদর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের হোসেন খন্দকারের নামে একটি অনৈতিক চিকিৎসা সনদ দিতে বলেন। আমি দিতে অস্বীকার করলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন।
এ সময় পুলিশ সদস্য সেলিম মাতুব্বর গালাগালি করতে না বললে তার কানে মারতে শুরু করেন ঢালী। তখন সেলিম ফ্লোরে পড়ে যান।
পরে আক্তার তার লোকজন নিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা তাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক ভর্তি করি এবং কানের ডাক্তার দেখাই।
ডাক্তার নিশ্চিত করেছেন তার কানের পর্দা ফেটে গেছে। চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন হাওলাদার বলেন, আমার ভাগিনা আক্তার যদি অপরাধ করে তাহলে তার আইনগত বিচার হবে।
জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় আক্তারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা করবো।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫১৯ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30