শিরোনামঃ-

» সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্যে প্রাণীসম্পদ মন্ত্রীর অভব্য উচ্চারন ‘মালাউন’

প্রকাশিত: ০৫. নভেম্বর. ২০১৬ | শনিবার

সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশ। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর উপর্যুপরি হামলা, মন্দির ভাংচুর, বাড়িঘর লুটপাট, হামলার শিকার হওয়াদের নিয়ে মন্ত্রীর অভব্য উচ্চারণ, শিশু ধর্ষণ আর এসবের প্রতিবাদে মুখর এখন বাংলাদেশ। অস্থিরতা চারদিকে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যেও দ্বিতীয় দফা হিন্দুপল্লীতে অগ্নিসংযোগে উদ্বিগ্ন সবাই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ-এর ভোট ব্যাংক নামে পরিচিত হিন্দু সম্প্রদায় আজ বিপন্ন। জাতীয়তাবাদী চেতনাধারীরা রাজনীতির উন্মত্ত খেলায় মত্ত। তাদের যেন কিছু আসে যায় না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আজ একটি আতংকের নাম। আক্রান্ত এলাকার মন্ত্রী ছায়েদুল হক শত শত মৌলবাদীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের সহানুভূতি দেখানোর পরিবর্তে তাদেরকে ‘অভিশপ্ত’ বলেছেন। তিনি এই মানুষদের ‘মালাউন’ বলে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘এরা বাড়িয়ে বলছে।’ একজন দায়িত্বশীল রাজনীতিকের কন্ঠে এহেন সভ্যতা, ভব্যতা, শালীনতা ও শ্লীলতা বিবর্জিত শব্দ চয়নের পর সাধারণ মানুষের কন্ঠে কেবল একটি প্রশ্নই উচ্চারিত হচ্ছে, ‘এই মন্ত্রী মানুষ তো? তিনি কখন পদত্যাগ করবেন?’

মন্ত্রীর ‘মালউন’ উচ্চারণের প্রতিবাদে গীতিকার মনিরুল ইসলাম রানা নিজের ফেসবুক সময়রেখায় লিখেন, ‘এইটা ভাল, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় একটা জানোয়ারের হাতে।’ কেবল রানাই নয়, সমালোচনায় মুখর এখন প্রায় সবাই। পশু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই ছায়েদুল হককে ‘পশুমন্ত্রী’ বলেও সম্বোধন করছেন। মন্ত্রীর পক্ষ থেকে এরপর আর কোনো উচ্চবাচ্য নেই। ফলে প্রশ্নটি আসছে বারংবার, ‘এই মন্ত্রী মানুষ তো!’

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জয়দেব নন্দী লিখেছেন, ‘কেউ নিজে মালাউন (অভিশপ্ত) হয়ে যদি অন্যকে মালাউন বলে; তাকে বারবার মালাউনই বলবেন।

কবি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ডাল্টন সৌভাত হীরা নিজের ফেসবুক পৃষ্ঠায় জুড়ে দিয়ে বেশ বড় আলোচনা। তিনি লিখেছেন,  ছায়েদুল সাহেবকে পুষে আওয়ামী লীগের লোকসান কতটা সেটা সম্ভবত আগামী কয়েকদিনে বোঝা যাবে। সম্ভবত আওয়ামী বিরোধী শিবিরের ট্রাম্প কার্ড আগামী রাজনীতিতে ছায়েদুল সাহেব।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪১৭ বার

Share Button

Callender

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031