শিরোনামঃ-

» খন্দকার মালিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত শহীদ জিয়া স্মরনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ০৫. নভেম্বর. ২০১৬ | শনিবার

সিলেট বাংলা নিউজ:: বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন- দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শুধু একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন না, ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক।

তাঁর উন্নয়নের রাজনীতির মুল লক্ষ্য ছিল সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।সামরিক বাহিনী থেকে রাজনীতিতে এসে তিনি বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করে প্রমাণ করেছেন জিয়ার রাজনৈতিক দর্শন ছিল সম্পুর্ন গনতান্ত্রিক।

আর জিয়ার গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কারনেই আজকের আওয়ামীলীগ দেশে রাজনীতি করতে পারছে। আওয়ামী লীগ যদি শহীদ জিয়ার রাজনৈতিক দর্শন অনুসরণ করতো তাহলে দেশে আজকে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হত না।

তিনি শনিবার খন্দকার মালিক ফাউন্ডেশন সিলেট আয়োজিত শহীদ জিয়া স্মরণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

নগরীর পাঠানটুলাস্থ সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা তোফায়েল আহমদ খান ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা সিদ্দিকুর রহমান পাপলুর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় টেলিকনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

টেলিকনফারেন্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন- মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার। খুব কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের শাসন ব্যাবস্থায় যুগোপযোগি পরিবর্তন সাধিত করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে আপামর জনতার হৃদয়ে স্থায়ী স্থান করে নিয়েছেন।

বর্তমান সরকার শহীদ জিয়া প্রতিষ্ঠিত বহুদলীয় গনতন্ত্রকে পুরোধমে ধ্বংস করার ঘৃন্য খেলায় মেতে উঠেছে। আওয়ামী দুঃশাসনে নিষ্পেসিত জাতি অবৈধ সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেতে চায়।

শহীদ জিয়ার প্রতিষ্ঠিত বহুদলীয় গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। শহীদ জিয়া স্মরনে আলোচনা সভার আয়োজন করায় খন্দকার মালিক ফাউন্ডেশনের ভুয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

সিলেট মহানগর ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাবের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সুচীত আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ সিলেট এর সভাপতি ডা. শামিমুর রহমান শামীম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মঈন খান আরো বলেন- আজ বিএনপিকে নিয়ে হাসি তামাশা করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা যদি তাদের প্রশাসনিক শক্তি ছাড়া মাঠে নামতে পারে তাহলে দেখা যাবে কে মাঠে ঠিকতে পারবে।

বিএনপি কোন শক্তির উপর নির্ভর করে রাজনীতি করেনা। জনগনের শক্তির উপর ভিত্তি করেই বিএনপি রাজনীতি করে আসছে। যাদুঘর থেকে পদক সরালেই শহীদ জিয়াকে মুছে ফেলা যাবেনা।

কারন শহীদ জিয়ার বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের শিকড় অনেক গভীরে। যতই শহীদ জিয়া ও জিয়া পরিবারকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হবে ততই দেশপ্রেমিক জনতার অন্তরে জিয়ার অবস্থান আরো পাকাপোক্ত হবে।

তিনি বলেন- বাংলাদেশের ইতিহাসের শাসনামলে শহীদ জিয়া মাত্র সাড়ে ৩ বছরে যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে হিসেবে পরিচিত করেছিল।

শহীদ জিয়া মাত্র সাড়ে ৩ বছরে দেশের অর্থনীতিকে এত ভালো অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন যে সে যুগে কেউ আর তলাবিহীন ঝুড়ি বলার সুযোগ পায়নি।

বরং সেই তলাবিহীন ঝুড়ি অর্থনীতিত ভরপুর হয়ে উপচে পড়েছিল।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা আলহাজ্ব এম. এ হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম ও কলিম উদ্দীন আহমদ মিলন, সিলেট জেলা বিএনপি সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মহানগর সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাবকে এমপি আবুল কাহির চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এডভোকেট নুরুল হক, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগর সাধারন সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক প্যানেল সাদা দলের সভাপতি প্রফেসর ড. সাজেদুল করিম, শাবিপ্রবি শিক্ষক নেতা ড. আশরাফুল ইসলাম, ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. ইকবাল, শাবি শিক্ষক নেতা মো. জাকারিয়া, বিএনপি নেতা মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, আজমল বখত্ সাদেক, মুক্তিযোদ্ধা দল নেতা সালেহ আহমদ খসরু, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট শাহ আশরাফুল ইসলাম (আশরাফ), শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট সিলেট জেলা সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, বিএনপি নেতা একেএম তারেক কালাম, কানাইঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, জকিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ, শহীদ আহমদ চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যান নছিরুল হক শাহীন, জালাল উদ্দীন চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা ছাত্রদল সভাপতি সাঈদ আহমদ, সিলেট সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, সাবেক ছাত্রদল নেতা আনোয়ার হোসেন মানিক, নেওয়াজ বখত্ তারেক, নাহিদুল ইসলাম নাহিদ, রায়হান আহমদ, আক্তার আহমদ ও আব্দুল মালেক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রজেক্টরের মাধ্যমে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারী প্রদর্শিত হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আলোচনা সভায় উপস্থিত হন।

সভাপতির বক্তব্যে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন- মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান গ্রামীন অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করার মাধ্যমে গোটা দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে বিপ্লব সাধন করেছিলেন।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে শুরু করে দেশে যা উন্নয়ন হয়েছে তার সিংহ ভাগই শহীদ জিয়ার মাধ্যমেই হয়েছে। আজকে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেয়া হচ্ছে। হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে যাচ্ছে।

অথচ এর একমাত্র ক্ষমতা স্বয়ং অর্থমন্ত্রীর। কিন্তু তিনি বলেছেন ৪ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি তেমন কিছু না। এই সরকারের পতন হলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হলে অনেক অনেক বড় বড় রাঘব বোয়ালদের নাম বেরিয়ে আসবে।

যারা সরকারী প্রভাব খাটিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে। শহীদ জিয়ার জীবন ও কর্ম তরুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে দেশপ্রেম জাগ্রত করতেই খন্দকার মালিক ফাউন্ডেশন এই উদ্যোগ নিয়েছে।

জনতার জিয়াকে জনতার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে যারা ষড়যন্ত্র করছে সময়ের ব্যবধানে তারাই জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪১৭ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30