শিরোনামঃ-

» ভূল চিকিৎসায় শিশুর প্রাণনাশ : জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডা. মতিন আটক

প্রকাশিত: ০৭. নভেম্বর. ২০১৬ | সোমবার

সিলেট বাংলা নিউজ:: সিলেট নগরীর কুমারপাড়াস্থ মা-মণি হাসপাতালে ভূল চিকিৎসায় প্রাণ গেল এক শিশুর।

জানা যায়, ছাতক থানাধীন গোবিন্দগঞ্জের নুরুল্লাপুর গ্রামের জাবের উদ্দিনের ছেলে ইফরান (১)।

আজ সোমবার সকালে তার প্রচন্ড জ্বর দেখা দিলে সাথে সাথে তাকে মা-মণি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

ভর্তি করার পর ডিউটি ডাক্তার ঘুমের ঔষধ ও ইনজেকশন দিয়ে শিশুটিকে ঘুম পাড়িয়ে দেন। এরপর একাধিকবার ডিউটিরত ডাক্তারদের ডেকে আনা হলে তারা জানান শিশুটি সুস্থ আছে।

তার এখন একটু বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। তাই তাকে বিশ্রাম করতে দেয়া হয়েছে।

আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিশুটির শরীরে কাঁপুনি উঠলে তার মা তাকে কোলে করে নিয়ে হাসপাতালের নীচ তলায় প্রফেসর ডা. মতিনের চেম্বারে গেলে ডাক্তার শিশুটির অক্সিজেনের অভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেন না বলে জানান। তখন তিনি আইসিইউ-তে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।

এ ব্যাপারে শিশুর ভাই ইমরান আহমদ জানান, শিশুর অবস্থা খারাপ দেখে ডিউটি ডাক্তারদের অনেকবার অনুরোধ করা হয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তারকে ফোন দেয়ার জন্য কিন্তু তারা কেউ ডাক্তারকে ফোন দেন নাই এবং জানান নাই।

পরে বাধ্য হয়ে আমরা শিশুটিকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে আসি। আগামীকাল শিশুর ১ম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান করার কথা ছিল।

হাসপাতালের রিসিপশনে এবং ডিউটিরত ডাক্তারদের রুমে গিয়ে দেখা যায় তারা কেউই হাসপাতালে উপস্থিত নাই।

খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার ডিউটিরত একাধিক পুলিশের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে উঠেন। পুলিশ তাদের শান্ত হওয়ার পরামর্শ দিলে তারা পুলিশের উপরও চড়াও হয়।

খবর পেয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। একপর্যায়ে দলীয় স্লোগান দিতে থাকেন এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে বলতে থাকেন “পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আইন তাদের হাতে তুলে নিবেন”। সময় যত যাচ্ছিল পরিস্থিতি ততই ঘোলাটে হচ্ছিল।

খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল আহমদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রফেসর ডা. মতিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যান।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো শিশুটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও হয়নি এখনো।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৬৭৪ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930