শিরোনামঃ-

» বিখ্যাতদের কিছু মজার উক্তি

প্রকাশিত: ০৩. ডিসেম্বর. ২০১৬ | শনিবার

অন্যান্য ডেস্কঃ বিখ্যাতরা প্রায়ই বিভিন্ন প্রশ্নের মজার উত্তর দিয়ে থাকেন। যেমন:-

১. সুপারম্যান খ্যাত অভিনেতা ক্রিস্টোফার রীভকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, সুপারম্যান আর জেন্টেলম্যান এর মধ্যে পার্থক্য কি? তিনি গম্ভীর মুখে উত্তর দিলেন- সহজ পার্থক্য। জেন্টেলম্যানরা আন্ডারঅয়্যার পরে প্যান্টের নিচে আর সুপারম্যান পরে ওপরে।

২. কিংবদন্তী মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীকে প্লেনে উড়বার আগে সিট বেল্ট বাধার কথা মনে করিয়ে দিলেন বিমানবালা। আলী অহংকারী গলায় উত্তর দিলেন, সুপারম্যানের সিট বেল্ট বাধার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু সত্যিকার সুপারম্যানের প্লেনে চড়বারও দরকার হয় না- বিমানবালা চটপট উত্তর দেয়।

৩. স্বামী বিবেকানন্দের বাবা তার বৈঠকখানায় অনেকগুলি হুঁকো রাখতেন যেন এক জনের পান করা হুকো মুখে দিয়ে অন্যের জাত না যায়। একদিন বিবেকানন্দ সবগুলো হুকোয় একবার করে টান দিলেন। এ তুমি কি করলে -ক্ষেপে গিয়ে উনার বাবা জানতে চাইলেন। দেখলাম জাত যায় কিনা- বিবেকানন্দের উত্তর।

৪. একবার এক মহিলা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্য কিছু পিঠা বানিয়ে নিয়ে যান। কেমন লাগল পিঠা জানতে চাইলে কবি গুরু উত্তর দেন- ‘লৌহ কঠিন, প্রস্তর কঠিন, আর কঠিন ইষ্টক, তাহার অধিক কঠিন কন্যা তোমার হাতের পিষ্টক।’

৫. কবি মাইকেল মধুসূদনের আর্থিক অনটনের সময় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর উনাকে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করতেন। একদিন এক মাতাল ওনার কাছে সাহায্য চাইতে এলে বিদ্যাসাগর বললেন- আমি কোন মাতালকে সাহায্য করি না।

কিন্তু আপনি যে মধুসুদনকে সাহায্য করেন, তিনিও তো মদ খান- মাতালের উত্তর। বিদ্যাসাগর উত্তর দেন- ঠিক আছে আমিও তোমাকে মধুসূদনের মত সাহায্য করতে রাজি আছি তবে তুমি তার আগে একটি মেঘনাথবধ কাব্য লিখে আনো দেখি।

৬. বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মেধার তুলনায় চেহারা ছিল নিতান্তই সাদামাটা। একবার এক সুন্দরী অভিনেত্রী প্রস্তাব দেন- চলুন আমরা বিয়ে করে ফেলি। তাহলে আমাদের সন্তানের চেহারা হবে আমার মত সুন্দর আর মেধা হবে আপনার মত প্রখর। কিন্তু যদি ঠিক এর উল্টোটা ঘটে তবে কি হবে- আইনস্টাইন নির্বিকারভাবে উত্তর দেন।

৭. স্যার উইন্সটন চার্চিলের তর্ক হচ্ছিল নারী নেত্রী ন্যান্সি অ্যাস্টয়ের সাথে। তর্ক একসময় রীতিমতো ঝগড়ার পর্যায়ে চলে যায়। গলা উচিয়ে ন্যান্সি বলেন- তোমার সাথে বিয়ে হলে কফিতে বিষ মিশিয়ে আমি তোমাকে খুন করতাম। চার্চিল উত্তর দেন- তোমার মত বউ হলে বিষ খেয়ে মরতে আমার কোনও আপত্তি থাকত না।

৮. একবার এক ছাত্র মার্ক টোয়েনের কাছে এসে বলল- আমি ডাক্তারি পড়া ছেড়ে দিয়েছি। এখন সাহিত্য চর্চার মধ্য দিয়ে মানুষের উপকার করতে চাই। মার্ক টোয়েন উত্তর দিলেন- তুমি ডাক্তারি পড়া ছেড়ে দিয়ে এমনিতেই মানবজাতির অনেক উপকার করেছ। আর উপকার না করলেও চলবে।

৯. মার্ক টোয়েন একবার উনার এক সাংবাদিক বন্ধুকে বললেন, বছর দশেক লেখালেখি করার পর বুঝতে পারলাম এ ব্যাপারে আমার কোনও প্রতিভা নেই। তাহলে এটা বুঝবার পরও তুমি কেন লেখালেখি চালিযে যাচ্ছ? – বন্ধু জানতে চায়। মার্ক টোয়েন উত্তর দেন- কি করব, ততদিনে আমি রীতিমতো বিখ্যাত হয়ে গেছি যে।

১০. সমাধিস্থলের চারদিকের দেয়ালের জন্য মার্ক টোয়েনের কাছে চাঁদা চাইতে গেলে তিনি উত্তর দেন- সমাধিস্থলের চারদিকে দেয়াল দেয়ার কোন প্রয়োজন দেখি না। কারণ যারা ওখানে থাকে তাদের বাইরে বেরিয়ে আসার ক্ষমতা নেই। আর যারা বাইরে থাকেন তাদের ওখানে যাবার কোন ইচ্ছে আছে বলে আমার মনে হয় না।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ২০৭৮ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930