শিরোনামঃ-

» নগরীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালিত

প্রকাশিত: ০৩. ডিসেম্বর. ২০১৬ | শনিবার

ষ্টাফ রিপোর্টার:: টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ি, ১৭টি লক্ষ্য অর্জন করি’- এই শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে সারা দেশের মতো সিলেটেও যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ২০১৬।

দিবস উপলক্ষে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।

সিলেট জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়, প্রতিবন্ধি সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র এবং সিলেট জেলায় প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের নিয়ে কর্মরত বেসকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

সকালে র‌্যালির উদ্বোধন করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীন।

র‌্যালিটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নিবাস রঞ্চন দাশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আ ন ম শফিকুল হক।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম ঢাকার বিভাগীয় প্রতিনিধি জিডি রুমু, রহমানিয়া প্রতিবন্ধী কল্যাণ ফাউন্ডেশন সিলেটের সভাপতি আতাউর রহমান খান শামসু, এসডিএএফ’র নির্বাহী পরিচালক দেওয়ান হাসিব রাজা চৌধুরী, প্রতিবন্ধী নাগরিক পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমদ চৌধুরী ও সিএসআইডি’র প্রকল্প সমন্বয়কারী খ ম আবেদউল্লাহ।

আলোচনা সভায় প্রতিবন্ধীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন তানিয়া আক্তার ও নিখিল চন্দ্র দাশ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রতিবন্ধীরা আমাদেরই সন্তান কিংবা স্বজন। তাদের অবহেলার দৃষ্টিতে দেখার কোনো সুযোগ নেই। শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের পাশে মানবিক দৃষ্টিতে সহানুভূতি নিয়ে দাঁড়ালে তারাও জীবনে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন।

প্রতিবন্ধীদের সাধারণ মানুষের মতো বাঁচার অধিকার রয়েছে। তাদের সমস্যা দূরীকরণে পারিবারিক পর্যায় থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মহলের বিশেষ মনোযোগই মূল হাতিয়ার।

আলোচনা সভা শুরুর পূর্বে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য মোবাইল রিহেবিলিটেশন ভ্যানের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান মোবাইল থেরাপি ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধণ করেন জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীন।

প্রসঙ্গত, প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে সচেতনতার প্রসার এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মর্যাদা সমুন্নতকরণ, অধিকার সুরক্ষা এবং উন্নতি সাধন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৯২ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে বেলজিয়ামে এক সাংঘাতিক খনি দুর্ঘটনায় বহু মানুষ মারা যান। আহত পাঁচ সহস্রাধিক ব্যক্তি চিরজীবনের মতো প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন। তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।

তাদের প্রতি সহমর্মিতায় ও পরহিতপরায়ণতায় বেশ কিছু সামাজিক সংস্থা চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের কাজে স্বতঃপ্রবৃত্তভাবে এগিয়ে আসে।
এর ঠিক পরের বছর জুরিখে বিশ্বের বহু সংগঠন সম্মিলিতভাবে আন্তর্দেশীয় স্তরে এক বিশাল সম্মেলন করেন।

সেখানে সর্বসম্মতভাবে প্রতিবন্ধী কল্যাণে বেশকিছু প্রস্তাব ও কর্মসূচি গৃহীত হয়। খনি দুর্ঘটনায় আহত বিপন্ন প্রতিবন্ধীদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস পালন করতে আহ্বান জানানো হয়।

সেই থেকেই কালক্রমে সারা পৃথিবীর প্রতিবন্ধী মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর দিন হয়ে উঠেছে এ দিনটি।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৮৫ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30