শিরোনামঃ-

» ঐশ্বরিয়ার আত্মহত্যার ‘চেষ্টা’, মিডিয়া জগতে গুজবে তোলপাড়!

প্রকাশিত: ০৪. ডিসেম্বর. ২০১৬ | রবিবার

মিডিয়া ডেস্ক:: বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন নাকি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন আর তা নিয়েই তোলপাড় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো।
যদিও জানাজানির ভয়ে হাসপাতালে ভর্তি না করে বাড়িতেই পারিবারিক চিকিৎসককে ডেকে এনেছিল বচ্চন পরিবার।
শোনা যাচ্ছে, ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে মনোমলিন্য চলছিল ঐশ্বরিয়ার। শাশুড়ি জয়া বচ্চন তো প্রকাশ্যেই তার সমালোচনা করেছিলেন।
বচ্চন পরিবারের অশান্তির খবরও দুনিয়াজুড়ে কারো অজানা নয়। সেই আলোচনা কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়ার পর আবারও ঝড় উঠল ঐশ্বরিয়া রায়কে নিয়ে।
ইতিমধ্যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তার আত্মহত্যার গুজব ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয় মিডিয়া জগতে।
রণবীর কপূরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অভিনয় ভাল ভাবে নিতে পারেনি বচ্চন পরিবার। স্বামী অভিষেক বচ্চন ঐশ্বরিয়া অভিনীত ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ সিনেমা দেখতে যাননি বলে খবর একসময়ে ছড়িয়ে পড়েছিল পত্রপত্রিকায়।

ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে বচ্চন পরিবারের অসন্তোষ এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে এই ডাকসাইটে সুন্দরী জীবন সম্পর্কে সব আশা আকাঙ্ক্ষা হারিয়ে ফেলেন।

অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিতে গিয়েছিলেন। এই খবর জানার পরে বচ্চন পরিবার সুন্দরী অভিনেত্রীকে হাসপাতালেও নিয়ে যায়নি।

হাসপাতালে ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে যাওয়া হলে খবরটা ছড়িয়ে পড়বে দাবানলের মতো।

লোক জানাজানির ভয়ে বচ্চন পরিবার পারিবারিক চিকিৎসককে বাড়িতে ডেকে পাঠায়। সেখানেই ঐশ্বরিয়ার চিকিৎসা হয়। কোনওমতে সেই যাত্রায় চিকিৎসক উদ্ধার করেন তাকে।

এভাবেই গুজবটি ছড়ানো হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ‘আউটলুক পাকিস্তান’ নামে একটি ব্লগের মাধ্যমে এই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে লেখা হয়, আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। তার আত্মহত্যা করতে যাওয়ার পিছনে কারণ একটাই। তা হল পারিবারিক অশান্তি।

সেই ব্লগে এমনও লেখা হয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসক জানিয়েছেন, ঐশ্বরিয়া নাকি বলেছেন, “আমাকে মরতে দিন।

এরকম ঘৃণ্য জীবন কাটানোর থেকে মরে যাওয়াও ভাল। ভারতের বেশ কয়েকটি ট্যাবলয়েডেও এই ভুয়া খবরটি ছাপিয়েছিল!

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৫১ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30