শিরোনামঃ-

» স্ত্রীর জিহবা কর্তনকারী সেই বেলাল এখন কারাগারে

প্রকাশিত: ২৬. ডিসেম্বর. ২০১৬ | সোমবার

অপরাধ জগত:: সিলেটে যৌতুকের জন্য গৃহবধু সুমা বেগমের উপর নির্যাতনের পর জিহ্বা কর্তনের ঘটনার মামলার প্রধান আসামী বেলাল মিয়া আদালতে আত্মসমর্পন করেছে।

সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক আদালতে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে সে আত্মসমর্পন করে।

জালাবাদ থানার ওসি আখতার হোসেন আত্মসমর্পনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ আসামীর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে।

গত ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে দুই সহযোগীসহ সদওর উপজেলার দর্শা গ্রামে সুমা বেগমের বাড়িতে যায় বেলাল। সুমাকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে লাকড়ি রাখার ঘরে নিয়ে যায়। সঙ্গীদের সহযোগিতায় বা পায়ের রগ ও জিহ্বা কেটে চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় বেলাল।

সুমার আর্তনাদে ঘর থেকে তার মা আয়না বিবি বেরিয়ে এসে বেলাল ও অপর ২ যুবককে পালিয়ে যেতে দেখেন। পরে গুরুতর আহত সুমাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় গত শুক্রবার সুমার বড় ভাই হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে বেলালকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার অভিযোগ ও সুমার পরিবারসূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে দক্ষিন সুরমা উপজেলার লামুয়া গ্রামের বেলাল মিয়ার সাথে বিয়ে হয় সোমা বেগমের।

বিয়ের ৩ বছরের মধ্যেই আরেকটি বিয়ে করেন বেলাল। আর এরপর থেকেই সোমার ওপর শুরু হয় স্বামীর নির্যাতন। নির্যাতন সইতে না পেরে ১ বছর আগে বাবার বাড়ি সদর উপজেলার পশ্চিম দর্শায় ফিরে আসেন সোমা।

সুমার বড় ভাই হাফিজ মিয়া ও ভাবি রুমা বেগম জানান, সোমাদের বাড়িতে গিয়েও স্ত্রীর কাছ থেকে জোর করে টাকা আনতেন বেলাল।

কিন্তু চাহিদামত টাকা দিতে না পারায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেলাল তার সহযোগীদের নিয়ে সোমার ওপর চালায় নির্মম নির্যাতন। ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে প্রথমে কেটে ফেলেন সোমার জিহ্বা। এরপর তার দু’পায়ের রগ কেটে ফেলার চেষ্টা করেন। এক পায়ের রগ কেটে ফেলেন। কুপিয়ে জখম করেন অপর পা।

এ ব্যাপারে শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বেলাল ও তার পরিবারের সদস্যদের আসামী করে জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

১৭ ডিসেম্বর সকালে অভিযান চালিয়ে মামলার অন্যতম আসামী বেলালের মা জয়বুন্নেসাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৭৫ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30