- জৈন্তাপুরে ছাত্রদলের সাথে হাকিম চৌধুরীর মতবিনিময়
- সোনালী প্রজন্ম মেধাবৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
- সিলেট জেলা শ্রমিক দলের কর্মী সভা
- সিলেটে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে ধানের পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত
- জুলাই বিপ্লবে জন্ম নেওয়া ‘টিম অনওয়ার্ড’ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
- মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে সিলেট মহানগর জামায়াতের শোক
- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সিলেট জেলা উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর গণসমাবেশ শায়খ জিয়া উদ্দীন
- আগামীকাল ২৪ নভেম্বর জনসভা ও গণমিছিল সফল করুন : বাসদ
- ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাথে প্রবাসী আজমের মতবিনিময়
- সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষনা হলে সংশয় দূর হবে
» জৈন্তাপুরে হাতুড়ে ডাক্তারের আজব চিকিৎসা
প্রকাশিত: ০৭. জানুয়ারি. ২০১৭ | শনিবার
আল-মাসুম, জৈন্তাপুর প্রতিনিধিঃ হাতুড়ে ডাক্তারের আজব চিকিৎসার শিকার জৈন্তাপুরের নিরীহ রোগীরা। মেডিকেলের প্রেসক্রিপশন তার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।হালকা কোন রোগের জন্য গেলেই হাই এন্টিবায়োটিক, ৭ থেকে ৮ টি ইনজেকশন।
গ্রামে গ্রামে গিয়ে তিনি মহিলাদের চিকিৎসা দেন বলেও জানা যায়। তার বিরুদ্ধে তাবিজের নামে ধোঁকাবাজি করার ও অভিযোগ ও আছে। এমনই এক আজব চিকিৎসকের সন্ধান পাওয়া যায় জৈন্তাপুরে। উপজেলার দরবস্ত বাজারের শাপলা মার্কেটে অবস্থিত অনূকুল চিকিৎসালয়ের পরিচালক তিনি।
অমলেন্দু দাস জনি তার নাম। তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জে। শ্বশুর বাড়ী দরবস্ত ইউনিয়নের শুকইনপুর গ্রামে হওয়ার সুবিধার্থে এখান থেকেই তিনি ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বেশ কিছুকাল যাবত।
বিভিন্ন সময় তাকে বিভিন্ন মহিলা নিয়ে মোটরবাইকে ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়। তার চিকিৎসালয়ে দু থেকে তিনজন যুবতী মেয়েকে তিনি প্রশিক্ষণ দেন বলেও জানা যায়।
এছাড়া তার অনুপস্থিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনকেও চিকিৎসা দিতে দেখা যায়। অসংখ্য নিরীহ রোগী তার অপচিকিৎসার শিকার।
তার অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার নালিশ আসে। স্থানীয় ফার্মেসী ব্যাবসায়ী সমিতি তার বেশ কয়েকটি নালিশ সমধান করেন। অথচ তিনি এগুলো আমলে না নিয়ে বেপরোয়াভাবে অপচিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভুক্তভোগী অসহায় রোগীরা জানান তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে চালিয়ে যাওয়ার মত সাধ্য(আর্থিক ক্ষমতা) আমাদের নেই। ভুক্তভোগী মো. আম্বিয়া জানান “আমি প্রথমে মেডিকেলের ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন নিয়ে যাই তার কাছে ঔষধ কিনার জন্য।
কিন্তু তিনি প্রেসক্রিপশনের ঔষধের পাশাপাশি আমাকে একসাথে ৮টি ইনজেকশন ও সাথে একটি সেলাইন দেন। এতো ঔষধের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আমাকে প্যারালাইসিসের কথা বলেন।
ঔষধ সেবনের পরে আমার হাত পা অবস হয়ে যায়। এরপর আমার অবস্থা করুন দেখে পরিবার আমাকে সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর ধীরে ধীরে আমি সুস্থ হই।”
এমনই আরেক ভুক্তভোগী কুতুব আলী বলেন, আমি গাড়ির ধাক্কার চট নিয়ে গেলে তিনি আমাকে ১৭০০ টাকার ঔষধ দেন। এগুলো সেবনের পর আমি বমি করি ও আমার ব্যাথা দূরের পরিবর্তে আরও বেশি ব্যাথা বেড়ে যায়। এমনকি আমার ম্যালেরিয়া জ্বর ও হয়।”
এ ব্যাপারে চিকিৎসক জনির সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, ”আমি বৈধভাবে চিকিৎসা ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছি।কোন ভুল চিকিৎসা তো কাউকে দিচ্ছি না।”
ফার্মেসী ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি কুদরত উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন “তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে।তবে একটির বিচার আমি করেছি ,জরিমানাও করেছি।কিন্তু এরপরে আমার কাছে কোন নালিশ আসেনি। আসলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৭৮৯ বার
সর্বাধিক পঠিত খবর
- হত্যা না করেও ২৬ জনের উপর হত্যা মামলার করলো আওয়ামী লীগ
- সুনামগঞ্জ জেলায় নির্বাচনী হাওয়া; সরেজমিন প্রতিবেদন
- জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহীন আলী গ্রেফতার; উত্তাল দক্ষিণ সুরমা
- তালাকনামা জালিয়াতির দায়ে বিশ্বনাথে কাজী গ্রেফতার; ৭ জন আসামীর উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী
- কিডনী রোগীদের জরুরী তথ্য কণিকা জানা আবশ্যক