বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ২ দিনব্যাপী এই সম্মেলন শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বাদ জুম্মা শুরু হয়।
আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত বিশ্বসেরা হাফিজ জাকারিয়া, হাফিজ নাজমুস সাকিব, হাফিজ আব্দুল আখের, হাফিজ সিফত উল্লাহ, হাফিজ ইয়াকুব হোসেন তাজ, হাফিজা আদিবা তাসনিম, হাফিজ সাদ শুরাইল, হাফিজ ইমদাদুল্লাহ, হাফিজ কলিম সিদ্দিকী।
বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে তেলাওয়াত করেন সিলেটের গর্বিত সন্তান, ২১ দিনে কুরআনের হিফজ সম্পন্নকারী হাফিজ মাশহুদুর রহমান।
এছাড়া তাফসির পেশ করবেন শায়খুল হাদিস হযরত জাকারিয়া (র:)’র খলিফা মাওলানা বিলাল বাওয়া- লন্ডন, শেখ মাওলানা মো. ইমতিয়াজ উদ্দিন- লন্ডন, শায়খুল হাদীস নুরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী, মাওলানা কাজী আবু হুরায়রা, মাওলানা সালেহ আহমদ জকিগঞ্জী, মাওলানা আবুল হাসান জকিগঞ্জী প্রমুখ।
বিভিন্ন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন, শায়খুল হাদীস মুকাদ্দাস আলী, মাওলানা আউলিয়া হোসাইন, মাওলানা শায়খ জিয়উদ্দীন, মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাব প্রমুখ।
অনুভুতি পেশ করে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আসআদ আহমদ, মাওলানা আতাউল হক জালালাবাদী, সিলেট রিপোর্ট সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন নগরী প্রমুখ।
উপস্থাপনায় ছিলেন- সমিতির সেক্রেটারী মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা নুর আহমদ কাসেমী, মাওলানা সুহাইব আহমদ, মাওলানা আশিকুর রহমান, হাফিজ আব্দুস সামাদ ও মাওলানা শহীদ আহমদ প্রমুখ।
সম্মেলনে বক্তারা বিশ্বসেরা হাফিজ ক্বারীদের রাষ্ট্রিয় ভাবে সম্মাননা প্রদানের দাবী জানানো হয়। প্রতি বছরই বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় যে সকল বাংলাদেশী শিশু হাফেজ ক্বারীগন বিজয় হয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনছেন তাদের প্রতি রাষ্ট্রের করনীয় কি নেই? এমন প্রশ্নও করেছেন অনেকেই।
সম্মেলনে ২ দিনে প্রায় অর্ধশত ক্ষুদে কোরআনে হাফিজদের সুললিতকন্ঠে মনোমুদ্ধকর পরিবেশে পবিত্র কোরআনে কারীমের তেলাওয়াত অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, শুক্রবার মাহফিলের প্রথম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, দারুল উলুম দেওবন্দের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস, লেখক-গবেষক আল্লামা জামিল আহমদ সিকড়াবী।
বিভিন্ন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন, মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী,মাওলানা মুজিবুর রহমান, মুফতি ওলিউর রহমান, মাওলানা আহমদ হোসাইন।
বয়ান পেশ করেন, মাওলানা আব্দুল বাসিত বরকতপুরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ খান, মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম, জামিয়া দারুল কোরআন সিলেটের প্রিন্সিপাল সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাওফিকুল হাদী, ২নং ওর্য়াড কাউন্সিলর আলহাজ্ব রাজিক মিয়া, মুফতি বুরহান উদ্দীন, আল খলিল কোরআন শিক্ষাবোর্ডের সেক্রেটারী ক্বারী মাওলানা হেলাল আহমদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজ নাজমুল ইসলাম, আলহাজ্ব নাদির খান, প্রফেসর শাহ আলম, প্রফেসর মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আব্দুল খান, মুফতি নুর আহমদ কাসেমী, মাওলানা হাম্মাদ গাজিনগরী, মাওলানা মাসুক আহমদ সালামি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা মুখলিসুর রহমান প্রমুখ।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন, বিশিষ্ট ক্বারী ওয়াকিল আহমদ লকনো-ভারত, ক্বারী জহির আহমদ, ক্বারী শহীদুল ইসলাম, হাফিজ ক্বারী আনিছুর রহমান, মুশাহিদিয়া ক্বিরাত প্রশিক্ষণ বোর্ডের প্রধান ক্বারী সাজ্জাদুর রহমান, আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত বিশ্বসেরা হাফিজ সুলাইমান আহমদ, হাফিজা আদিবা তাসনিম, হাফিজ আব্দুল্লাহ মাহফুজ, দেশসেরা হাফিজ কলিম সিদ্দিকী।
অনুভূতি পেশ করতে গিয়ে সিলেট রিপোর্ট সম্পাদক রুহুল আমীন নগরী বলেন, পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট গ্রন্থ আল কোরআনের বাহকরা সর্বোচ্চ সম্মানী লোক। যে সমস্ত ক্ষদে হাফিজগন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়ে দেশের সম্মান রেখে আসছেন তাদের উৎসাহিত করাউচিত। রাষ্ট্রিয় ভাবে পৃষ্টপোষকতা পেলে বিশ্বের দরবারে দেশের সুনাম আরো বেশী বৃদ্ধি পাবে। তাই সংখ্যাগরিস্ট মুসলিম দেশের রাষ্ট্র প্রধানের কাছে এমন দাবী আমরা করতেই পারি।
তিনি এব্যাপারে সিলেট সিটির মেয়র, ২৭টি ওর্য়াড কাউন্সিলর সহ সকল জনপ্রতিনিধিদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি দাবী প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রেরণের জন্য জাতীয় ইমাম সমিতির নেতৃবৃন্দের নিকট আহবান জানান।
অপসংস্কৃতি রোধে কোরআনী সংস্কৃতির ব্যাপক প্রচার প্রসারে সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার প্রতি আহবান জানান।