- মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শক্তিশালী করুন : কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন
- ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় মজলুম জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : এমরান চৌধুরী
- জৈন্তাপুরে ছাত্রদলের সাথে হাকিম চৌধুরীর মতবিনিময়
- সোনালী প্রজন্ম মেধাবৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
- সিলেট জেলা শ্রমিক দলের কর্মী সভা
- সিলেটে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে ধানের পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত
- জুলাই বিপ্লবে জন্ম নেওয়া ‘টিম অনওয়ার্ড’ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
- মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে সিলেট মহানগর জামায়াতের শোক
- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সিলেট জেলা উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর গণসমাবেশ শায়খ জিয়া উদ্দীন
- আগামীকাল ২৪ নভেম্বর জনসভা ও গণমিছিল সফল করুন : বাসদ
» আমেরিকায় ৭টি দেশের মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ
প্রকাশিত: ২৮. জানুয়ারি. ২০১৭ | শনিবার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করার নির্বাহী আদেশে সই করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় ৭টি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সিরিয়ার জনগণ অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত।
তবে সিরিয়ার খ্রিস্টানদের বেলায় এক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হবে। এমন কথা তিনি এক সাক্ষাতকারে খ্রিস্টিয়ান ব্রডকাস্টিং নেটওয়ার্ক (সিবিএন) কে বলেছেন।
তার এ নিষেধাজ্ঞাকে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
এতে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার দু’টি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এর একটি হলো শরণার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা নিয়ে। অন্যটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী পুনর্গঠন নিয়ে।
শরণার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করার নির্বাহী আদেশটি মুলত যুক্তরাষ্ট্রে মৌলবাদী সন্ত্রাস বন্ধের উদ্দেশ্যে বলে বলা হচ্ছে। তবে এ নিষেধাজ্ঞা হবে অস্থায়ী।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এটাকে দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রে যেকোন শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা হিসেবে। তিনি সচল ক্যামেরার সামনে এ বিষয়ক আদেশে সই করেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার অল্প পরেই ডিসেম্বর মাসে প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ঘোষণা দেন। তার সেই প্রতিশ্রুতির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে শুক্রবারের ওই নির্বাহী আদেশকে দেখা হচ্ছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, তার এ নতুন নির্বাহী আদেশের অধীনে মুসলিমরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হবেন। এর আওতায় আসবে সিরিয়া, ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।
এসব দেশের কোন মানুষের জন্য ৩০ দিন ভিসা ইস্যু পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব দেশ সংঘাত ও সন্ত্রাসের কবলে পড়ে ক্ষত-বিক্ষত। সেখান থেকে প্রাণ বাঁচাতে মানুষ পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের জন্য ছুটে যায়।
কিন্তু নতুন আদেশের অধীনে সিরিয়ার শরণার্থীদের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
তবে অন্য দেশগুলোর জন্য এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে কমপক্ষে ১২০ দিন বা ৪ মাস। আদেশে সই করে ট্রাম্প বলেছেন, এই পদক্ষেপের ফলে মৌলবাদী ইসলামপন্থি সন্ত্রাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থাকবে।
আমরা তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে দেখতে চাই না। তিনি সবাইকে সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন, ৯/১১ এর মতো সন্ত্রাসী হামলার কথা আমাদের কারো ভুলে যাওয়া উচিত নয়।
পেন্টাগনে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। বিদেশে আমাদের সেনারা যে কঠিন হুমকির মধ্যে রয়েছেন আমরা তাও চাই না।
আমরা শুধু তাদের কথা স্মরণ করতে চাই যারা আমাদের দেশকে ও দেশের জনগণকে সমর্থন করছেন এবং ভালবাসছেন।
কিন্তু তিনি কিভাবে ‘এক্সট্রিম ভেটিং’ প্রস্তাব কার্যকর করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেননি। একবার যখন নিষেধাজ্ঞা (দৃশ্যত ৪ মাস পরে) উঠে যাবে তখন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া অভিবাসীদের ধর্মীয় বিশ্বাস কিভাবে যাচাই করবেন সে বিষয়েও কিছু বলেননি।
রিপাবলিকান ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটির চেয়ারম্যান মাইকেল ম্যাককাউল বলেছেন, মুসলিমরা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যতটা হুমকি সিরিয়ার খ্রিস্টানরা ততটা নন।
ফলে তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে অগ্রাধিকার দেয়া হতে পারে। ওদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প খ্রিশ্চিয়ান ব্রডকাস্টিং নেটওয়ার্ক (সিবিএন) কে সাক্ষাতকারে পরিষ্কার করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী মর্যাদা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন সিরিয়ার খ্রিস্টানরা। তার এ সাক্ষাতকার রোববার সম্প্রচারের কথা রয়েছে।
এতে তিনি বলেছেন, (সিরিয়ায়) আপনি যদি একজন মুসলিম হন তাহলে আপনার যুক্তরাষ্ট্রে আসা খুব সহজ ছিল। কিন্তু যদি আপনি একজন খ্রিস্টান হন তাহলে আপনার জন্য এতদিন তা ছিল কঠিন। খ্রিস্টানদের জন্য এটা ছিল একেবারেই অসম্ভব।
এর কারণ হিসেবে যা দেখানো হয়েছে তা পুরো অন্যায্য। সেখানে শিরচ্ছেদ করা হচ্ছে।
বেশি করা হচ্ছে খ্রিস্টানদের। এখন তিনি যে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তাতে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার ৭টি দেশ থেকে মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কোন ভ্রমণ ভিসাও দেয়া হবে না। পিউ রিসার্স সেন্টারের মতে, গত বছর বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ মুসলিম ও খ্রিস্টান প্রবেশ করেছেন তাদের সংখ্যা প্রায় সমান।
২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন ৩৭ হাজার ৫২১ জন খ্রিস্টান শরণার্থী। এ সময়ে মুসলিম শরণার্থীর সংখ্যা ৩৮ হাজার ৯০১। উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণাকালে গত ডিসেম্বরে খুব কড়া বার্তা দেন মুসলিমদের।
তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ পুরোপুরি ও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেবেন। ওদিকে তিনি মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের যে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তাতে সরকারি সংস্থাগুলোকে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪২৪ বার
সর্বশেষ খবর
- মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শক্তিশালী করুন : কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন
- ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় মজলুম জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : এমরান চৌধুরী
- জৈন্তাপুরে ছাত্রদলের সাথে হাকিম চৌধুরীর মতবিনিময়
- সোনালী প্রজন্ম মেধাবৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
- সিলেট জেলা শ্রমিক দলের কর্মী সভা
সর্বাধিক পঠিত খবর
- হত্যা না করেও ২৬ জনের উপর হত্যা মামলার করলো আওয়ামী লীগ
- সুনামগঞ্জ জেলায় নির্বাচনী হাওয়া; সরেজমিন প্রতিবেদন
- জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহীন আলী গ্রেফতার; উত্তাল দক্ষিণ সুরমা
- তালাকনামা জালিয়াতির দায়ে বিশ্বনাথে কাজী গ্রেফতার; ৭ জন আসামীর উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী
- কিডনী রোগীদের জরুরী তথ্য কণিকা জানা আবশ্যক
এই বিভাগের আরো খবর
- দুর্নীতিবাজ শিক্ষক প্রত্যাহারের দাবীতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বিয়ানীবাজারের খলাগ্রামবাসীর স্মারকলিপি
- লায়ন্স ক্লাব অব সিলেট সুরমা’র ডেন্টাল ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- ‘মার্সেল হা-শো’র সিলেট অডিশন ৫ অক্টোবর
- কানাইঘাট অ্যাসোসিয়েশন ইউকে’র এসজিএম ও পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন
- এলজিইডি কন্ট্রাকটর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন