শিরোনামঃ-

» গোলাপগঞ্জে গৃহবধূ হত্যায় স্বামী ও ভাবির দায় স্বীকার

প্রকাশিত: ০৩. ফেব্রুয়ারি. ২০১৭ | শুক্রবার

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি, সালমান কাদেরঃ গোলাপগঞ্জে এক গৃহবধূকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে পাষণ্ড স্বামী ও স্বামীর বড় ভাইয়ের স্ত্রী। হত্যা করে গুম করার উদ্দেশ্যে লাশটিকে নদীতে ভাসিয়ে দেয় তারা।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাদেপাশা ইউপি’র আলমপুর গ্রামে। নিহতের পাষণ্ড স্বামীর নাম রঙ্গেস দে ও স্বামীর ভাবীর নাম শিল্পী রানী দেব।
নিহত ঐ গৃহবধুর নাম জনি রানী দাস। সে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের গগড়া গ্রামের সজল কান্তি দাসের মেয়ে।
জানা যায়, গত শনিবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে নিখোঁজ রয়েছেন জনি রানী দাস (২২) নামের ঐ গৃহবধূ।
তখন থেকে স্বামী রঙ্গেস দে ও তার ভাবী শিল্পী রানী দেব এলাকায় প্রচার করেন পরকীয়ার টানে পালিয়ে গেছেন গৃহবধূ জনি রানী দাস।
তাদের এরকম কথা সন্দেহজনক মনে হলে মেয়ের স্বামী রঙ্গেস দে ও ভাশুরের স্ত্রী শিল্পী রানী দেব এর বিরুদ্ধে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা সজল কান্তি রায়।
মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ গৃহবধূর স্বামী রঙ্গেস দে ও স্বামীর বড় ভাইয়ের স্ত্রী শিল্পী রানী দেবকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে গৃহবধূ হত্যার কথা স্বীকার করেন নিহতের স্বামী  রঙ্গেস দে ও ভাশুরের স্ত্রী শিল্পী রানী দেব।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার ঘটনা সংক্রান্ত পুলিশকে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করে। গ্রেপ্তারের পরদিন আদালতে নিহতের ভাসুরের স্ত্রী শিল্পী রানী দেব জনিকে হত্যার কথা স্বীকার করে কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীতে অজ্ঞাত এক নারীর লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে কুশিয়ারা নদী থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই সবুজ কুমার নাইডু অজ্ঞাত এই নারীর লাশ উদ্ধার করেন।
অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় হাজির হন নিহত জনি রানী দাসের বাবা সজল কান্তি দাস।
থানায় তিনি লাশটিকে তার নিহত মেয়ে জনি রানীর বলে সনাক্ত করেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
নিহতের পিতা সজল কান্ত দাস  বলেন, গোলাপগঞ্জে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার মেয়ে জনি রানী দাসকে হত্যা করে অজ্ঞাত স্থানে লাশ ফেলে দেয়। তারা আমার মেয়েকে হত্যার পর লাশ গুম করে মিথ্যা নিখোঁজের নাটক সাজায়।
আমার সন্দেহ হওয়ায় আমি আমার মেয়ের জামাই ও মেয়ের ভাসুরের স্ত্রী শিল্পী রানীকে আসামি করে গোলাপগঞ্জ থানায় মামলা করি।
মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার করে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করে। তিনি তার মেয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫০৬ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930