শিরোনামঃ-

» হোটেল ব্যবসার আড়ালে অনবরত অসামাজিক কাজ

প্রকাশিত: ০৪. ফেব্রুয়ারি. ২০১৭ | শনিবার

ডেস্ক সংবাদঃ চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সী-বীচের বিভিন্ন আবাসিক ও খাবার হোটেলে চলছে অসামাজিক কার্যক্রম। যুগলদের অবাধ যাতায়াত এখানে। জমে ওঠে মদের আসরও। একটি গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানায় পতেঙ্গা সী-বীচ। উক্ত সী-বীচ এলাকায় প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক বেড়াতে আসেন। বিশেষ দিবসগুলো ও সরকারি ছুটির দিনে সী-বীচ এলাকায় প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে। বন্ধের দিনগুলোতে গার্মেন্টস বন্ধ থাকায় গার্মেন্টসে কর্মরত শ্রমিকদের (মহিলা/পুরুষ) আনাগোনা বেশি।

সেখানে পতেঙ্গা সী-বীচ দোকান মালিক সমবায় সমিতির অধীনে সী-বীচ এলাকায় প্রায় ৬০টি খাবার হোটেল রয়েছে। এছাড়াও নামে-বেনামে বেশকিছু হোটেল রয়েছে। অধিকাংশ হোটেলগুলোতে সেবা দেয়ার নাম করে অসামাজিক কাজে সহযোগিতা করা হয়। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ওইসব হোটেলের নাম এবং মালিকদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

খাবার হোটেলগুলোর প্রতিটিতে ছোট ছোট কেবিন রয়েছে। কেবিনগুলোতে বিশেষ করে বিকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত প্রেমিক যুগলদের আনাগোনা ঘটে থাকে।

অপরদিকে সন্ধা ঘনিয়ে এলে এ সমস্ত হোটেলে ১০-১১টা পর্যন্ত মদের আসর চলে। মালিক পক্ষের লোকেরা আর্থিক সুবিধা নিয়ে প্রেমিক যুগলদের অপকর্ম করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়।

এই সমস্ত অসামাজিক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করে হোটেল কর্তৃপক্ষ খাবারের দাম অতিরিক্ত নিচ্ছে। হোটেলগুলোর প্রতিটি কক্ষ দৈনিক কমপক্ষে ৪/৫ বার ভাড়া হয়।

স্থানীয় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করার বিষয়টিও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সী-বীচ এলাকায় আবাসিক/খাবার হোটেলগুলোতে সহজে অবৈধ/অসামাজিক সম্পর্কের কর্মকাণ্ড হওয়ার ফলে যুবক-যুবতীরা এ সমস্ত অসামাজিক কর্মকাণ্ড করতে উৎসাহিত হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগরস্থ পতেঙ্গা সী-বীচ এলাকা বিনোদনের জন্য ১০টা পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করার পাশাপাশি সী-বীচ সংলগ্ন খাবার হোটেলগুলোর কেবিন ভেঙে দিয়ে সবার জন্য উন্মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া যেতে পারে।

পতেঙ্গা সী-বীচ এলাকার আবাসিক হোটেলগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী/র‌্যাব-এর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও অভিযান চালানোর পাশাপাশি অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া যেতে পারে।

সী-বীচ এলাকার সকল আবাসিক ও খাবার হোটেলগুলোর মালিক এবং কর্মচারীদের সতর্ক করার পাশাপাশি অসামাজিক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতাকারী খাবার হোটেল ও আবাসিক হোটেল মালিক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া যেতে পারে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৯১ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30