শিরোনামঃ-

» অনলাইন ভিত্তিক নতুন ভ্যাট আইন মূল্য সংযোজন কর ও সম্পুরক শুল্ক আইন ২০১২ এবং অটো মেশন সম্পর্কে করদাতাদের প্রশিক্ষণ

প্রকাশিত: ০৮. ফেব্রুয়ারি. ২০১৭ | বুধবার

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেট, ভ্যাট অনলাইন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং এফবিসিসিআই’র যৌথ উদ্যোগে অনলাইন ভিত্তিক নতুন ভ্যাট আইন মূল্য সংযোজন কর ও সম্পুরক শুল্ক আইন ২০১২ এবং অটো মেশন সম্পর্কে করদাতা সচেতনতা সৃজন ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় নগরীর উপশহরস্থ রোজভিউ হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট’র কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম কর্মশালার উদ্বোধন করেন। তিনি নতুন ও পুরাতন আইনের পার্থক্য এবং নতুন আইনের সুবিধা সমুহ নিয়ে আলোচনা করেন।

অতিথি হিসেবে কর্মশালায় চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট লিডার বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন কর অঞ্চল সিলেটের কর কমিশনার বিশিষ্ট গবেষক সৈয়দ মো. আবু দাউদ, নতুন আইনের উল্লেখযোগ্য দিক নিয়ে বক্তব্য রাখেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট এর অতিরিক্ত কমিশনার রাশেদুল আলম, অনলাইন ভিত্তিক নতুন আইন বিষয়ে আলোচনা করেন সহকারী কমিশনার পায়েল পাশা, নতুন আইন ও অনলাইন সিস্টেম বাস্তবায়নের রোডম্যাপ বিষয়ে আলোচনা করেন সহকারী কমিশনার সোহেল রানা প্রমুখ।

সিলেট বিভাগীয় আবগারী ও ভ্যাট কর্মকর্তা সাজেদুল হক ও রেভিনিউ কর্মকর্তা আশীষ কুমার রায়ের পরিচালনায় কর্মশালায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের পরিচালক খন্দকার শিপার আহমদ, সিলেট কর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবুল ফজল, সিলেট কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি এমদাদুল হক, সিলেট কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট গ্রুপের সভাপতি শাহ আলম সাধারণ সম্পাদক ও চেম্বারের পরিচালক রোটারিয়ান মো. বশিরুল হক।

এতে সাংবাদিকসহ আইসিটি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, জনগণ ভ্যাট প্রদানে উদ্বুদ্ধ হলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব।

বক্তারা আরো বলেন, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা ভ্যাট সম্পর্কে সচেতন হয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। গৃহিত নানামুখী কর্মতৎপরতা এবং রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এর সফল বাস্তবায়ন দেশকে দাঁড় করাবে উন্নত বিশ্বের কাতারে। আর এ অর্থের যোগানদাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দুটি অনু বিভাগ হচ্ছে- বাংলাদেশ কাষ্টমস ও আয়কর বিভাগ। আয়কর বিভাগ প্রত্যক্ষ কর আদায় করে।

অর্থাৎ জনগণের আয়ের উপর নির্ধারিত কর আদায় করে তা সরকারে কোষাগারে জমা দেয়। কাষ্টমস বহির্বিশ্ব থেকে যে সমস্ত পণ্য সামগ্রী দেশে প্রবেশ করে সে সমস্ত পণ্যের উপর আহরিত কর আদায় করে রাজস্ব হিসেবে সরকারী কোষাগারে জমা দেয়।

বিভিন্ন কাষ্টমস হাউসসমূহ এবং দেশের বিভিন্ন স্থল শুল্ক বন্দর সমূহ থেকে শুল্ক কর্মকর্তাগণ এ কর আদায় করে থাকেন। মূল্য সংযোজন কর (মুসক) বা ভ্যাট আদায় করে সরকারী কোষাগারে জমা দেয়া এবং মোট রাজস্বের ৩০% অর্থ আসে মুসক বা ভ্যাট থেকে।

মূল্য সংযোজন কর (মুসক) বা ভ্যাট একটি পরোক্ষ কর আদায় পদ্ধতি। জনগণের ব্যয়ের উপর প্রযোজ্য করই মূল্য সংযোজন কর। ভোক্তাই পণ্য ক্রয়ের সময় যে অর্থ পরিশোধ করেন সেই অর্থের সাথে মুসক অন্তর্ভুক্ত থাকে।

ফলে কোন পণ্য কিনে ভোক্তা যখন ক্রয় চালান পত্র বুঝে নেবেন, তখন সেই পরিশোধিত অর্থের একটি অংশ মুসক অফিসে আসা প্রয়োজন হবে না এবং এটা আধুনিক, অনলাইন ভিত্তিক জনবান্ধন কর আদায় ব্যবস্থা।

মূসক ও সম্পূরক আইন ২০১২ এর সংস্কার এবং পদ্ধতি গত সংস্কার সম্পর্কে জন সচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫২৩ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30