শিরোনামঃ-

» কোর্টে এভিডেন্স থাকলে খালেদা জিয়ার শাস্তি হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৮. ফেব্রুয়ারি. ২০১৭ | শনিবার

ডেস্ক সংবাদঃ খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচন হতে পারবে না বলে বিএনপির হুঁশিয়ারির প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আদালতে দোষী প্রমাণিত হলে খালেদার শাস্তি হবেই।

মিউনিখে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জার্মান আওয়ামী লীগের সংবর্ধনায় তিনি বলেন, “যদি সত্যি কোর্টের কাছে এভিডেন্স থাকে চুরি করেছে, তাহলে শাস্তি হবে।

“সেজন্য তারা ইলেকশনই হতে দেবে না। একটা চোর…এতিমের টাকা যে চুরি করে খায় তাকে রক্ষার জন্য ইলেকশন হতে দেবে না। কতো আবদারের কথা, কতো আহ্লাদের কথা!

“এতো আহ্লাদ যখন, তখন গরিব মানুষের টাকা কয়টা দিয়ে দিলেই হত।” ২০০১-২০০৬ মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সোয়া ৫ কোটি টাকা দুর্নীতির ২ মামলা এখন বিচারের শেষ পর্যায়ে। জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের টাকা আত্মাসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলা দুটি চলছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, “খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার কিংবা জেলে পাঠানোর কোন ভাবনা সরকারের নেই। আদালতে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে সে কারাগারে যাবে কি-না, সে মাফ পাবে কি-না সেটা আদালত বলতে পারবে। সময় ও স্রোত যেমন কারো জন্য অপেক্ষা করে না, তেমনি বাংলাদেশের সংবিধান ও নির্বাচন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না।”

এর প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, তাদের চেয়ারপারসনকে বাদ দিয়ে কোন নির্বাচন ‘হতে পারবে না’।

“সংবিধানের দোহাই দিয়ে একতরফা ও বিতর্কিত নির্বাচন করার কোনো অপচেষ্টা জনগণ রুখে দেবে।” মিউনিখের ম্যারিয়ট হোটেলে স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকালে এই সংবর্ধনায় শেখ হাসিনা বলেন, “আবার শুনলাম, তার বিরুদ্ধে শাস্তি হলে… কোর্ট কাকে কী শাস্তি দেবে…সে যদি চুরি না করে থাকে, তাহলে শাস্তি হবে না।”

শেখ হাসিনা বলেন, “চুরি করে তো শত শত কোটি টাকা বানিয়েছে।” ‘চুরির ওই অর্থ’ তার ছেলে তারেক রহমান ও মোসাদ্দেক আলী ফালুর কাছে গচ্ছিত আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এই মামলায় বিচারিক আদালতের প্রতি অনাস্থা এনে উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার আবেদনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটা মামলার জন্য হাই কোর্টে ৫৩/৫৪ বার পিটিশন করেছে।

“এখন মামলা থেকে পালায়। মিথ্যা মামলা হলে পালানোর কী দরকার? এটা তো পরিষ্কার; এতিমখানার টাকা মেরে খেয়েছে। এটা তো কাগজপত্রে আছে।”

বিএনপি নেত্রী ‘পাকিস্তানের সুরে কথা বলেন’ মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “পাকিস্তান যে সুরে কথা বলে, খালেদা জিয়াও সে সুরে কথা বলে। খালেদা জিয়ার মুখেও একই কথা শুনি। ৩০ লাখ মানুষ নাকি মারা যায়নি। সেটা নিয়েও সে সন্দেহ প্রকাশ করে। পাকিস্তানিরা যে সুরে কথা বলেন, উনি সেই সুরে সুর দেন, কেন?”

নতুন নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন কমিশনের জন্য আমাদের তালিকা থেকে একজন নিয়েছে। বিএনপি তালিকা দিয়েছে, সেখান থেকে একজন নিয়েছে। তাতেও দোষ। সব কিছুতেই দোষ। তাদের সব কিছুতেই নাখোশ।
“তাদের সব কিছুতেই মানি না, মানব না।”

জামায়াতে ইসলামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে নাই বলে বিএনপিও ওই নির্বাচনে যায়নি বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “নিজেরা নির্বাচন না করে যে ভুল করেছে, তার খেসারত তার দল দেবে। বাংলার জনগণ কেন দেবে?”

মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জঙ্গিবাদ থেকে এখন কেউই রেহাই পাচ্ছে না। বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কার। কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না। এর বিরুদ্ধে আমরা যা করার করব।”

অনুষ্ঠানে জার্মানি ছাড়াও ইতালি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, পর্তুগাল, সুইডেন ও নরওয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা অংশ নেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫২৫ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930