শিরোনামঃ-

» গোলাপগঞ্জে ব্যাডমিন্টন খেলা প্রতিযোগিতায় সংঘর্ষ; আহত ১০

প্রকাশিত: ০৮. মার্চ. ২০১৭ | বুধবার

সালমান কাদের, গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা ইউপি ও বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউপি’র মধ্যবর্তী আছিরগঞ্জ বাজারে দেবারাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ফাহিম এন্ড নাঈম দ্বৈত ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে দু’পক্ষের ৪ জন গুরুতর আহতসহ অত্যন্ত ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৯টায় ফাইম এন্ড নাঈম ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলায় সবুজ সাথী আছিরগঞ্জ বনাম সূর্য তরুণ সমাজ কল্যাণ সংস্থা, দাসউরা টিমদ্বয়ের মধ্যে ৫ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু সূর্য তরুণ সমাজ কল্যাণ সংস্থা, দাসউরা টিম যথাসময়ে মাঠে উপস্থিত না হওয়ায় দু’টিমের ম্যানেজার ও খেলা পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে ৫ ম্যাচ থেকে কমিয়ে ৩ ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যা দর্শকবৃন্দের অজানা থেকে যায়।
যথারীতি খেলা শুরুর প্রথম দু’ম্যাচে সবুজ সাথী আছিরগঞ্জ টিম জেতার ফলে টুর্নামেন্ট বিজয়ী ঘোষণা হওয়ার পরই দর্শকবৃন্দদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে দর্শকদের বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায় হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ৪ জন গুরুতর আহত সহ অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহতরা হচ্ছেন গোলাপগঞ্জের বাদেপাশা ইউপির খাগাইল গ্রামের জয় মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া, বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউপির পূর্ব দেবারাই গ্রামের মোক্তার আলীর ছেলে খইরুল ইসলাম, একই ইউপি’র আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ৭নং ওয়ার্ড দাসউরা গ্রামের ইউপি সদস্য হোসেন আহমেদ এবং গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মুন্না আহমেদ।
এর মধ্যে সবুজ সাথী আছিরগঞ্জ টিমের পক্ষে রুবেল আহমেদ ও খইরুল ইসলামকে অজ্ঞাতনামা কেউ ছুরি দিয়ে আঘাত করলে আশংকাজনক অবস্থায় রুবেল আহমদকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে এবং খইরুল ইসলামকে গোলাপগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে খইরুল ইসলামের অবস্থার অবনতি দেখে গোলাপগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে সূর্য তরুণ সমাজ কল্যান সংস্থা দাসউরা টিমের পক্ষে  গুরুতর আহত হোসেন আহমদ ও মুন্না আহমদকে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে হোসেন আহমদের অবস্থা আশংকাজনক দেখে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আহত অপর ৬ জনকে স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রুবেল আহমেদ, খইরুল ইসলাম ও হোসেন আহমদের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
দু গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে আহত অবস্থায় হোসেন আহমদকে স্থানীয়রা একটি দোকানের ভিতর আটক করে রাখেন। অবশ্য স্থানীয়রা জানান, হোসেন আহমদকে নিরাপত্তা দেয়ার লক্ষ্যেই তাকে দোকানের ভিতর আটক রাখা হয়।
পরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম শিবলী ও বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন কুমার চক্রবর্তী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হোসেন আহমদকে উদ্ধারসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
ঘটনার পরপরই এলাকার বিশিষ্টজনদের মধ্যস্থতায় আপোষ মিমাংসার লক্ষ্যে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি একেএম শিবলী, বিয়ানীবাজার থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী, বাদেপাশা ইউপির চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ, তিলপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সমন্বয়ে একটি ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটি গঠনের ফলে কোন পক্ষই থানায় মামলা দায়ের করেন নি।
এ ব্যাপারে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম শিবলী ও বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন কুমার চক্রবর্তী।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ২৩৬৫ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930