শিরোনামঃ-

» জাপানে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ২ জন বাংলাদেশী নাগরিক

প্রকাশিত: ০৯. মার্চ. ২০১৭ | বৃহস্পতিবার

আন্তর্জাতিক সংবাদঃ শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়ের জন্য জাপান গিয়েছিলেন ২ বাংলাদেশী। তাদের বলা হয়, যদি ফুকুশিমা পারমানবিক কেন্দ্রের বর্জ্য অপসারণে কাজ করেন, তাহলে তারা আশ্রয় পাবেন। কিন্তু দেশটিতে এ ধরণের কাজের সঙ্গে আশ্রয়ের কোন সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে দেশটির মন্ত্রণালয়। জাপানের সংবাদ মাধ্যমে তাদের প্রতারণার এই বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স।

২০১১ সালের ১১ মার্চের ভূমিকম্প আর সুনামির পর ফুকুশিমা পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আশেপাশের অনেক এলাকায় তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। লাখ লাখ মানুষকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। এলাকাটি দূষণমুক্ত করতে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তেজস্ক্রিয়তার কারণে ওই এলাকায় কেউ কাজ করতে রাজি হয়না। ফলে যেসব প্রতিষ্ঠান সেখানে বর্জ্য অপসারণের দায়িত্ব পেয়েছে, তারা কর্মী সংকটে ভুগছে।

বাংলাদেশ থেকে ২০১৩ সালে জাপানে গিয়েছিলেন ২ জন রাজনৈতিক কর্মী। পর্যটক ভিসায় গেলেও দেশে তাদের রাজনৈতিক হয়রানি করা হচ্ছে জানিয়ে তারা আশ্রয়ের আবেদন করেন।

দালালরা তাদের প্রস্তাব দেয় যে, তারা যদি সেখানে কাজ করেন, তাহলে তাদের আশ্রয় পেতে সুবিধা হবে। তাদের কাজ মূলত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় মাটি অপসারণ করা। তারা ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ফুকুশিমা কেন্দ্রের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণের একটি গ্রামে দুষিত বর্জ্য পরিষ্কারের কাজ করেন।

তাদের একজন, মনির হোসেনকে উদ্ধৃত করে শুনিচি পত্রিকা বলছে, আশ্রয় আবেদনের বিষয়ে তাদের কথা আমরা বিশ্বাস করেছি। কারণ এটা এমন একটি কাজ, যা জাপানের লোকজন করতে চায় না। যদিও রয়টার্স এই দুই বাংলাদেশির সঙ্গে কথা বলতে পারেনি।

বিদেশী কর্মীদের ব্যাপারে কঠোর নিয়মনীতি অনুসরণ করে জাপান। তবে শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় প্রার্থীরা তাদের আবেদন বিবেচনাধীন থাকার সময় কাজ করতে পারেন। তবে তাদের ছয়মাস পর পর তাদের অনুমতিপত্র নবায়ন করতে হয়।

কিন্তু জাপানের বিচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মিতসুসি উরাগাতি বলছেন, দুষিত বর্জ্য পরিষ্কার করলে থাকার অনুমতি পাওয়া যাবে, এমন কোন বিধান নেই। দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। কেউ যদি ভুল ব্যাখ্যা দেন, তাহলে সমস্যা। এই ঘটনাটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

পারমানবিক বর্জ্য পরিষ্কারের বিষয়গুলো দেখভাল করে জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয়। সংস্থাটির কর্মকর্তা তাকুয়া নোমোতো বলেন, শুনিচি পত্রিকা প্রতারক প্রতিষ্ঠান বা দালালদের নাম প্রকাশ করেনি। ফলে তারা অভিযোগটি নিশ্চিত করতে পারছেন না।

ফুকুশিমা লেবার ব্যুরো জানিয়েছে, বর্তমানে ১ হাজার ২০টি প্রতিষ্ঠানে দুষিত বর্জ্য পরিষ্কারের কাজ চলছে, যাদের অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান শ্রম আইন আর নিরাপত্তার বিষয়গুলো লঙ্ঘন করেছে।

২০১৩ সালে রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয় যে, গৃহহীন মানুষজনকে নামমাত্র পারিশ্রমিকে ফুকুশিমার বর্জ্য পরিষ্কারের কাজে লাগানো হচ্ছে। দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো চুক্তি ভিত্তিতে এমনসব প্রতিষ্ঠানকে আবার কাজ দেয়, যাদের পারমানবিক বর্জ্য পরিষ্কারের কোন অভিজ্ঞতা নেই।

সূত্র- বিবিসি বাংলা

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪৮৪ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930