শিরোনামঃ-

» গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

প্রকাশিত: ১৫. মার্চ. ২০১৭ | বুধবার

ডেস্ক সংবাদঃ সম্প্রতি গরুর মাংসের কেজিপ্রতি দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে মূল্যস্ফীতির ওপর। গত ফেব্রুয়ারিতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৫ দশমিক ৩১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অথচ জানুয়ারিতে এটি ছিল ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল্যস্ফীতি-সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে গরুর মাংস ও ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় অন্য খাদ্যপণ্যের দামও কিছুটা বেড়েছে। এতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে দেশেও।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়লেও কমেছে গড় মূল্যস্ফীতি। গত ১২ মাসে (মার্চ ২০১৬ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৭) গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। এটি আগের ১২ মাসে (ফেব্রুয়ারি-জানুয়ারি) ছিল ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বাকি মাসগুলোয় মূল্যস্ফীতি বাজেটে নির্ধারিত লক্ষ্য ৫ দশমিক ৫০ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। এর আগে জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ হিসেবে মোটা চালের দাম ও শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধিকে দেখিয়েছিলেন তিনি।

বিবিএসের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগের মাসে এটি ছিল ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমেছে। গত মাসে এ উপখাতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশে। আগের মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৩ দশমিক ১০ শতাংশ।

এদিকে শহরের তুলনায় গ্রামে সাধারণ মূল্যস্ফীতির চাপ বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে গ্রামে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৫ দশমিক ১৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগের মাসে এটি ছিল ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ। একই সময়ে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশে, যা এর আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। গ্রামে মূল্যস্ফীতি বাড়াকে ইতিবাচক বলেই মনে করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতি এখন আগের চেয়ে শক্তিশালী। গ্রামের মানুষের আয় বাড়ছে। কৃষকরা ফসলের ভালো দাম পাচ্ছেন। সার্বিকভাবে গ্রামের মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে।

এদিকে মূল্যস্ফীতি বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে জাতীয় মজুরি হারও। মানুষের আয়ের হ্রাস-বৃদ্ধির বিষয়টি জাতীয় মজুরি হার সূচক দিয়ে বোঝানো হয়। বিবিএসের তথ্যমতে, জানুয়ারিতে মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে এটি বেড়ে ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ফলে সার্বিক মূল্যস্ফীতির তুলনায় মজুরি হার বেশি থাকায় ফেব্রুয়ারিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩০৪ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30