শিরোনামঃ-

» মেয়র দায়িত্ব সকালে নিলেও, বিকেলে বরখাস্ত আরিফ

প্রকাশিত: ০২. এপ্রিল. ২০১৭ | রবিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ দীর্ঘ আইনি লড়াই চালিয়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার ২৭ মাস পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের চেয়ারে বসেন আরিফুল হক চৌধুরী।

রোববার (২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে পৌঁছলে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সিসিক কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা। বসেন মেয়রের চেয়ারে। কিন্তু মেয়রের চেয়ারে বসার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ‘দুঃসংবাদ’ এসেছে আরিফের জন্য। ফের মেয়রের পদ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন অ্যাক্ট উপ-সচিব মো. মাহমুদুল আলম কর্তৃক সিলেট সিটি করপোরেশনে একটি ফ্যাক্স বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।

ওই বার্তায় বলা হয়েছে, ‘আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মামলা-৪/২০০৯ এর সম্পূরক অভিযোগপত্র গত ২২ মার্চ আদালতে গৃহিত হয়েছে। সেহেতু সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে স্থানীয় সরকার বিভাগ আইন ২০০৯ এর ১২ উপধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।’

ওই বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মামলাটি হচ্ছে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের জীবদ্দশায় দিরাইয়ে একটি জনসভায় বোমা হামলার মামলা।

২০০৪ সালের ২১ জুন দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই বাজারে একটি জনসভায় বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ বোমা হামলায় এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয় ও ২৯ জন আহত হয়। পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করে। প্রথমে পুলিশ, পরে সিআইডি মামলার তদন্ত করে। গত বছরের ২০ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির হবিগঞ্জ জোনের তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার বসু দত্ত চাকমা আরিফ ও হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জি কে গউছকে গ্রেফতারের আবেদন জানান আদালতে।

পরে ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটে আরিফ-গউছ সহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। গত বছরের ২৭ নভেম্বর ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় আরিফ ও গউছকে। পরে চলতি বছরের ২২ মার্চ মামলার চার্জশিট আদালতে গৃহিত হয়।

২০১৩ সালের ১৫ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী।

নির্বাচনের দেড় বছরের মাথায় তিনি জড়িয়ে পড়েন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায়। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সিআইডির সম্পূরক চার্জশিটে ওই মামলায় আসামি করা হয় তাকে। ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন আরিফ।

আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। কারাগারে যাওয়ার পরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন আরিফ। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকায়।

সেখানে প্রায় ৬ মাস হাসপাতালে থেকে তার চিকিৎসা চলে। মামলার নির্ধারিত তারিখে হুইল চেয়ারে বসিয়ে তাকে নিয়ে আসা হতো আদালতে। কিবরিয়া হত্যার পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয় সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার মামলায়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৯০ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30