শিরোনামঃ-

» শিশু রাজন হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসির রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত: ১১. এপ্রিল. ২০১৭ | মঙ্গলবার

বিশেষ রিপোর্টঃ সিলেটের শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় কামরুল ইসলামসহ ৪ আসামিকে নিম্ন আদালতের দেওয়া ফাঁসির রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট বিভাগ।

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

এ মামলার ৫ আসামিকে দেওয়া বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডের রায় বহাল রাখা হলেও একজনের যাবজ্জীবন সাজা কমিয়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সিলেট সদরের শেখপাড়া গ্রামের প্রয়াত আবদুল মালেকের ছেলে কামরুল ইসলাম, পীরপুর গ্রামের প্রয়াত মনু উল্লাহর ছেলে সাদিক আহমদ ময়না ওরফে চৌকিদার ময়না মিয়া, শেখপাড়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে তাজউদ্দিন আহমদ বাদল ও সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের ওলিউর রহমানের ছেলে মো. জাকির হোসেন পাভেল ওরফে রাজু।

এছাড়া পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের ছেলে ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা কমিয়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কামরুলের ৩ ভাইকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়ার রায় বহাল রাখা হয়েছে। তারা হলেন, কামরুলের বড় ভাই আলী হায়দার, মেজো ভাই মুহিত আলম ও ছোট ভাই পলাতক শামীম আহমদ।

এছাড়া শেখপাড়া গ্রামের প্রয়াত আলাউদ্দিন আহমদের ছেলে দুলাল আহমদ ও দোয়ারাবাজারের জাহাঙ্গীরগাঁওয়ের মোস্তফা আলীর ছেলে আয়াজ আলীকে এক বছর করে কারাদণ্ডের রায় বহাল রাখা হয়।

২০১৫ সালের ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নির্যাতনের ওই দৃশ্যগ ভিডিও করার পর তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হলে তা নিয়ে সারাদেশে বিক্ষোভ হয়।

মামলার মূল আসামি কামরুল ইসলাম ওই ঘটনার পর পালিয়ে সৌদি আরবে চলে যান। পরে ভিডিও দেখে প্রবাসীদের সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়। এরপর তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

গত ৮ নভেম্বর সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যা দায়ে কামরুলসহ চার জনের মৃত্যুদণ্ড দেন সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা।

এছাড়া একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও কামরুলের তিন ভাইকে ৭ বছর করে এবং আরও দু’জনকে ১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

গত ৩০ জানুয়ারি রাজন হত্যা মামলার আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) হাইকোর্ট এ রায় দেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৯৪ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30