শিরোনামঃ-

» গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স র’ বেহাল দশা

প্রকাশিত: ০৩. মে. ২০১৭ | বুধবার

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধিঃ সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা আয়তন ও জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার চেয়েও বড়। এখানে ৩ লক্ষাধিক জনগণের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র প্রতিষ্ঠান গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নানা সমস্যা নিয়ে নিজেই যেন ‘রোগী’ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে! ফলে সীমান্তঘেঁষা এ উপজেলার অধিবাসীরা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গোয়াইনঘাট থেকে সিলেট শহর ৬০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকায় এ জনপদের বাসিন্দাদের পোহাতে হচ্ছে নানা দুর্ভোগ।

স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসাস্থল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সেবা দিতে না পারায় বাধ্য গোয়াইনঘাটের অসুস্থ মানুষদের ছুটে যেতে হয় সিলেট শহরে। সংকটাপন্ন বা আশঙ্কাজনক রোগীর বেলায় তাই অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে হরদম। অনেক সময় সিলেট শহরে পৌছার পূর্বেই রোগী রাস্তায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

জানা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট গোয়াইনঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও আছেন মাত্র ৮ জন, ১৫ জন নার্সের পদ থাকলেও রয়েছেন ৭ জন, ৭ জন ওর্য়াড বয়ের পদ খাকলেও কাজ করছেন ৩ জন। এছাড়া বিশাল এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিছন্নতা কর্মীর ৭টি পদ থাকলেও কাজ করছেন ২ জন কর্মী।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মেডিকেলের বাতরুমের করুন অবস্থা, যেখানে বাথরুমের বেসিনে থাকার কথা সাবান সহ পরিষ্কারে জিনিষপত্র কিন্তুু এর বদলে দেখা গেলো বেসিন ভর্তি কাঁধা ময়লা আবর্জনা। এদিকে, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিন সহ যাবতীয় যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়েছে।

তিন লক্ষাধিক জনগণের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র অবলম্বন এ কমপ্লেক্সে নেই নারী কোন চিকিৎসক। ফলে এ উপজেলার নারীদের মধ্যে এ বিষয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে। কয়েকজন রোগী জানান, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগে ডা. শারমিন মাহবুবা নামের একজন চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করতেন।

কিন্তু বর্তমানে তিনি অন্য কোথাও চাকরি করছেন। তবে গোয়াইনঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঠিকই বেতন নিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী।

পরিদর্শনকালে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে যিনি দায়িত্ব নেন, তিনি বিভিন্ন তদবিরে যোগদানের ৪-৫ মাসের মধ্যেই অন্যত্র বদলী হয়ে যান। ফলে এ কমপ্লেক্সে সৃষ্ট সকল সমস্যা যথাস্থানেই রয়ে যায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে খোলা টয়লেট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা খারাপ, যন্ত্রপাতি বিকল এসব বিষয় মেনে নেওয়া কষ্টকর।’

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রেহান উদ্দিন জানান, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থা খারপা ও শহর থেকে দূরবর্তী হওয়ায় এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানকারী ডাক্তার’রা বেশী দিন থাকতে চান না। ফলে এ উপজেলার অধিবাসীদের চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে।’

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৮০৩ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930