- সিলেটের নতুন বিভাগীয় কমিশনার রেজা-উন-নবী
- ১০ দফা দাবীতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি
- ষড়যন্ত্র চলছে, সবাইকে সতর্ক থাকতে বললেন তারেক রহমান
- মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শক্তিশালী করুন : কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন
- ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় মজলুম জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : এমরান চৌধুরী
- জৈন্তাপুরে ছাত্রদলের সাথে হাকিম চৌধুরীর মতবিনিময়
- সোনালী প্রজন্ম মেধাবৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
- সিলেট জেলা শ্রমিক দলের কর্মী সভা
- সিলেটে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে ধানের পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত
- জুলাই বিপ্লবে জন্ম নেওয়া ‘টিম অনওয়ার্ড’ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
» গোয়াইনঘাটে ১৬ বস্তা ত্রানের চাল আত্নসাৎ; জনরোষে ইউপি চেয়ারম্যান
প্রকাশিত: ০৭. মে. ২০১৭ | রবিবার
শোয়েব উদ্দিনঃ সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াক্কুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কর্তৃক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিশেষ বিজিএফ এর আওতায় বরাদ্ধকৃত চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠে ইউপি চেয়ারম্যানের উপর। জনরোষে ইউপি চেয়ারম্যান। এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়- গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন হতে তোয়াকুল ইউপি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা চাওয়া হয়।
তারই প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যানের খালেদ আহমদ ইউপি সদস্যদের জানান- উপজেলা প্রশাসনকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ পরিবারের নামের তালিকা প্রদানের জন্য। তাতে চেয়ারম্যানের জন্য ২০টি পরিবারের নাম রেখে ২৮০টি পরিবারের নাম দিবেন ইউপি সদস্যরা। কিন্তু সে অনুযায়ী সদস্যরা তালিকা জমা দেন।
তোয়াকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেদ আহমদ ইউপি সদস্যদের অবহিত না করে উপজেলা প্রশাসন বরাবরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪৮৪ পরিবারের তালিকা প্রদান প্রেরন করেন এবং সেই অনুযায়ী মাথা পিছু ৩০ কেজি হারে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে জন্য ১৮ হাজার ৩শত ৯২কেজি বিপরিতে ৩৬৮বস্তা চাল বরাদ্ধ হয়।
গত ৩ মে বুধবার উপজেলা খাদ্য গোদাম হতে ইউপি চেয়ারম্যান ৩৬৮ বস্তা চালের স্থলে ৩৫২বস্তা চাল গ্রহন করে, খাদ্য গোদামের তালিকায় ৩৬৮ বস্তা চাল গ্রহন করা হয়েছে বলে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
৪ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের কাছে ৩৬৮ বস্তার স্থলে ৩৫২ বস্তা চাল রয়েছে জানতে চায়। তখন ১৬ বস্তা চালের হাদিস জানতে চাইলে ইউপি সদস্যদের সাথে চেয়ারম্যানের কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায় এলাকাবাসী ইউপি সদস্যদের সাথে যুক্ত হয়ে তোয়াকুল ইউপি চেয়ারম্যান খালিদ আহমদকে প্রায় ১ ঘন্টা অবরোধ করে রাখে ইউনিয়ন অফিসে।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট(এডিসি শিক্ষা) সৈয়দ আমিনুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ১৬বস্তা চালের বিষয় খতিয়ে দেখবেন বলে এলাকাবাসী ও ইউপি সদস্যদের জানান। দুপর ৩টায় ১৬ বস্তা চাউল গোদাম হতে নিয়ে আসা হলে এলাকাবাসী তা আটক রাখে, গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ গিয়ে ইউপি সদস্যদের জিম্মায় পরিষদের একটি কক্ষে রেখে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ৪নং ওয়ার্ড সদস্য লোকমান হোসেন, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ফরিদ আহমদ, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য রজব আলী, ২নং ওয়ার্ড সদস্য আলা উদ্দিন, কান্দিগ্রামের জালাল উদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য সামসুদ্দিন, বাউল গ্রামের তাহির আলী, তোতা মিয়া, লাকী গ্রামের করিম উল্লাহ প্রতিবেদককে জানান- চতুর চেয়ারম্যান পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৬ বস্তা চাল আত্মসাতের লক্ষ্যে তিনি ইউপি সদস্যদের ৪৮৪ পরিবারের তালিকার স্থলে আমাদেরকে ৩০০ পরিবারের তালিকার কথা বলেন।
তন্মধ্যে ২০টি পরিবার চেয়ারম্যনের নিজের জন্য বরাদ্ধ রাখেন। কিন্তু কি করে চেয়ারম্যান ৪৮৪পরিবারের তালিকা প্রশাসনকে দিলেন তা তাদের জানা নেই। যখন বরাদ্ধের ৩৬৮ বস্তা চাউলের বিপরীতে ৩৫২ বস্তা চাল কম আসার কারণ জানতে চাইলে খালেদ আহমদ ক্ষিপ্ত হন এবং আইনের শিক্ষা না দিতে ইউপি সদস্যদের ধমক দেন।
ফলে সদস্যরা ১৬ বস্তা চালের অনুসন্ধানে নামে। উত্তেজিত এলাকাবাসী চেয়ারম্যানকে কার্যালয়ে অবরোধ করে রাখে। তারা আরও বলেন- যে তালিকায় প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে সেই তালিকায় এক ব্যাক্তির নাম ২ বার দেখানো হয়েছে। প্রায় ২০ হতে ২৫টি পরিবারের যৌথ নাম বন্যা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় লিপিবদ্ধ রয়েছে।
এক পরিবারের একজনের নামের স্থলে একাধিক ব্যক্তির নাম রয়েছে। ৪ মে ঘটনায় তোয়াকুলবাসী সন্ধ্যা ৭টায় স্থানীয় বাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট খাদ্য গোদামের কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ বলেন- প্রথমে এ বিষয়ে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য প্রতিবেদকে অনুরোধ করে বলেন। পরে পরিবহন সংকটের কারণ দেখিয়ে বলেন- মানবিক কারণে ১৬ বস্তা চাল তাঁর জিম্মায় রাখেন।
তোয়াকুল ইউপি চেয়ারম্যান খালেদ আহমদ প্রতিবেদকে জানান- বন্যা ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা ১ দিনের মধ্যে তৈরী করায় কিছুটা ভূল হয়েছে তা সংশোধনের জন্য প্রেরণ করেছি। চাল আত্মসাথের কোন ঘটনা ঘটেনি। একটি পক্ষ আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এমন ঘটনা সাজিয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট (এডিসি শিক্ষা) সৈয়দ আমিনুর রহমান প্রতিবেদককে জানান- ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমি। তাদের আভ্যন্তরিণ একটি সমস্যা রয়েছে। তালিকার বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা ত্রানের চাল বিতরনে কোন প্রকার গাফিলতি কিংবা অনিময় করতে দিবো না। এক্ষেত্রে প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করবে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) আলমগীর হোসেন প্রতিবেদকে জানান- ঘটনার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট প্রেরণ করি। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনণ আনেন। খাদ্য গোদাম কর্মকর্তার গাফিলতি রয়েছে বলে জানান এবং এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করা হবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৩৮ বার
সর্বশেষ খবর
- সিলেটের নতুন বিভাগীয় কমিশনার রেজা-উন-নবী
- ১০ দফা দাবীতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি
- ষড়যন্ত্র চলছে, সবাইকে সতর্ক থাকতে বললেন তারেক রহমান
- মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শক্তিশালী করুন : কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন
- ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় মজলুম জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : এমরান চৌধুরী
সর্বাধিক পঠিত খবর
- হত্যা না করেও ২৬ জনের উপর হত্যা মামলার করলো আওয়ামী লীগ
- সুনামগঞ্জ জেলায় নির্বাচনী হাওয়া; সরেজমিন প্রতিবেদন
- জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহীন আলী গ্রেফতার; উত্তাল দক্ষিণ সুরমা
- তালাকনামা জালিয়াতির দায়ে বিশ্বনাথে কাজী গ্রেফতার; ৭ জন আসামীর উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী
- কিডনী রোগীদের জরুরী তথ্য কণিকা জানা আবশ্যক