শিরোনামঃ-

» প্রধানমন্ত্রী বরাবরে আবেদন; সিলেট সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের বালামবহি পুড়ানোর মামলাটি সাজানো নাটক

প্রকাশিত: ০৮. মে. ২০১৭ | সোমবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ সিলেট সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন ‘নাজির স্টাম্প ভান্ডার’ নামীয় দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি সম্পূর্ন সাজানো নাটক বলে দাবি করা হয়েছে। রোববার (৭ মে) সিলেটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে প্রেরিত এক আবেদনে এ দাবি করা হয়।

স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয় যে বা যারাই এ মামলা সাজিয়েছে প্রকৃপক্ষে তারাই পরিকল্পিতভাবে নাশকতামূলক এ ঘটনা ঘটিয়ে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারে মত্ত।

নজির স্ট্যাম্প ভেন্ডারের ম্যানেজার নিজাম আহমদ মান্না তার আবেদনে জানান, গত ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার প্রতিদিনের মতোই সন্ধ্যার দিকে তিনি স্টাম্প ভান্ডার দোকানটি বন্ধ করে বাসায় চলে যান। রাত ১২টার দিকে নৈশপ্রহরী মাখন মিয়ার ফোনে খবর পেয়ে তিনি দোকানে গিয়ে দেখেন ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু তৎক্ষণে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার স্ট্যাম্পসহ দোকানের আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘটনাটি তাৎক্ষনিক তিনি সিলেট কতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি মৌখিক ভাবে অবহিত করেন। ভষ্মীভুত স্ট্যাম ভেন্ডারে  সাব-রেজিষ্টি অফিসের কোন বালমবহি ছিল না এবংথাকার কথাও নয়।

এ সময়ের তোলা ছবিতেও বালামবহির কোন চিত্র নেই। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ষড়যন্ত্রকারীরা রেকর্ডরুম (মহাফেজখানা) থেকে একটি বালামবহি বের করে এনে অর্ধপুড়ানো অবস্থায় ঘটনাস্থলে রেখে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় এ নাটকীয় মামলা (নং-৩০(৪)১৭) সাজায়। বালামবহি দোকানের ভেতর থাকাবস্থায় পুড়লে তা সম্পূর্ন ভষ্মীভূত হয়ে যেত এবং ফায়ার বিগ্রেডের ছেটানো পানিতে ভেজা থাকতো। কিন্তু ভষ্মিীভুত সবকিছু ভেজা থাকলেও অর্ধপুড়ত পুড়ানো বালামবহিটি (নং-১৯৩/২০০২) ছিল সম্পূর্ন শুকনো। ঘটনার সময়ের গণপূর্ত অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলে ঘটনার মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে জানান তিনি।

18361416_469681383373783_1783043270_nআবেদনে নিজাম আহমদ মান্না আরো জানান, কিছু দিন ধরে প্রতিদিন ৫ শত ও এককালীন ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল সিলেট সদর সাব-রেজিষ্টি অফিস ও মহাফেজখানায় থাকা কতিদপয় অসাধু কর্মকর্তা উমেদার কর্মচারী ও রেকর্ডরুম তথা মহাফেজখানার ষড়যন্ত্রকারী মহল।

চাঁদা না দিলে ষ্ট্যাম্প ভান্ডার ভাংচুরের হুমকি দেয় তারা। ওই দোকানটির ব্যাপারে একটি পক্ষ হিংসার আগুনে জ্বলছিল। দোকানটি তুলে নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রি অফিসের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে একটি চাঁদাবাজ মহল নিজামের কাছে প্রতি মাসে মোটা অংকের ঘুষ দাবি করে আসছিল।

অন্যথায় কয়েকবার দোকানটি ভেঙ্গে ফেলার হুমকিও প্রদান করা হয়। এর জের ধরে ষড়যন্ত্রকারীরা তার ভেন্ডার দোকান পুড়িয়ে  প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে  বালামবহি পুড়িয়ে তারা দোকানের মালিকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে এ মামলা সাজায় বলে তিনি দাবি করেন।

সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়েরে ০৭.০৫.২০১৭ তারিখের ৪৯ নং ডকেটে নিজাম আহমদ মান্নার দেয়া এ অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে কর্তব্যরতরা নিশ্চিত করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার এস আই হালিমা আক্তার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এলাকায় থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ ও জব্ধ করে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে যে বা যারা জড়িত বলে প্রমানিত হবে গ্রেফতারসহ  তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দেয়া হবে  বলে জানান তিনি।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ১০১৮ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930