শিরোনামঃ-

» মোরা’র তাণ্ডব; মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮

প্রকাশিত: ৩০. মে. ২০১৭ | মঙ্গলবার

এসবিএন ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় মোরার তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ জনে। এর মধ্যে কক্সবাজার ও রাঙামাটিতে গাছচাপা পড়ে মারা গেছেন সাতজন। ভোলায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে বৃষ্টির মধ্যে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর।

মঙ্গলবার (৩০ মে) ভোরে উপকূলে আঘাত হানার পর স্থলভাগে এসে কমতে শুরু করেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোরার শক্তি। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির চিত্রও ফুটে উঠছে।

উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝড়ে প্রায় ২০ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে- মঙ্গলবার সারাদিনই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার সহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকতে পারে। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

কক্সবাজারে নারীসহ ৫ জনের মৃত্যু

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ঝড়ের সময় গাছ চাপায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে ‘হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে’ মারা গেছেন এক বৃদ্ধা।

চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার আহমদ জানান- মঙ্গলবার (৩০ মে) ভোরে ঝড়ের সময় গাছচাপা পড়ে রহমত উল্লাহ ও সায়রা খাতুন নামে দুজনের মৃত্যু হয়।

রহমত উল্লাহ (৫০) চকরিয়ার ডুলাহাজারা পূর্ব জুমখালী এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে। সায়রা খাতুন (৬৫) একই উপজেলার বড় ভেওলা ইউনিয়নের সিকদারপাড়া এলাকার মৃত নূর আলম সিকদারের স্ত্রী।

এছাড়া কক্সবাজার পৌরসভার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে মরিয়ম বেগম (৫৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। তিনি কক্সবাজার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ৬নং জেডিঘাট এলাকায় বদিউল আলমের স্ত্রী।

পরিবারের বরাত দিয়ে কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন- মরিয়ম আগে থেকেই শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন। রাতে বাতাস শুরু হওয়ার পর তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।

এছাড়াও পেকুয়া উপজেলার উপকূলীয় উজানটিয়া ইউনিয়নের নতুন ঘোনা পেকুয়ারচর এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে আবদুল হাকিম সওদাগর (৫৫) এবং সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়া গ্রামের শাহাজাহানের মেয়ে শাহিনা আকতার (১০)।

এ সময় আহত হয়েছে প্রায় শতাধিক লোকজন। তাদের জেলা সদর ও উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

মনপুরায় শিশুর মৃত্যু

ভোলার মনপুরা উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় মায়ের কোলে থাকা এক বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

কলাতলীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির স্বেচ্ছাসেবক ইউনিটের টিম লিডার মো. নাজিমউদ্দিন জানান- কলাতলীচরের পুরাতন আবাসন বাজার থেকে মনির বাজার সংলগ্ন মনপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে মায়ের কোলে রাশেদ মনি নামে এক বছর বয়সী ওই শিশুর মৃত্যু হয়।

রাশেদ কলাতলীচর আবাসন বাজার এলাকার ছালা উদ্দিনের ছেলে।

নাজিমউদ্দিন বলেন- ছালাউদ্দিনের স্ত্রী জরিফা খাতুন ছেলেকে নিয়ে রাত ১টার দিকে আশ্রয়কেন্দ্রের পথে রওনা দেন। পথে প্রচণ্ড বৃষ্টি ও ঠাণ্ডা বাতাসে শিশুটি মারা যায়।

মনপুরার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমানতউল্যাহ আলমগীর বলেন- কলাতলীচরে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় মায়ের কোলে এক শিশুর মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছি। তবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি শিশুটি আগে থেকেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল।

রাঙামাটিতে গাছচাপায় দুজনের মৃত্যু

ঘূর্ণিঝড় মোরায় রাঙামাটি শহরে গাছচাপায় এক নারী ও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন শহরের আসামবস্তি এলাকায় হাজেরা খাতুন (৪৫) ও মসলিনপাড়ার নাসিমা আক্তার (১৩)।

মঙ্গলবার (৩০ মে) ঝড়ের সময় গাছচাপা পড়ে তাদের মৃত্যু হয় বলে রাঙামাটি কোতয়ালি থানার ওসি মো. রশিদ জানান।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান গণমাধ্যমকে জানান- জেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে এবং গাছপালা ভেঙে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণও রয়েছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫২৫ বার

Share Button

Callender

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930