শিরোনামঃ-

» দিল্লির সম্প্রসারণবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে : মাহমুদুর রহমান

প্রকাশিত: ০৪. জুন. ২০১৭ | রবিবার

এসবিএন ডেস্কঃ আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন- ‘এদেশে নির্বাচন হবে কী হবে না, এদেশে কোনও দখলদার প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকবে কী থাকবে না, সেটা নির্ধারণ কোথায় হয়? নির্ধারণ হয় দিল্লিতে। যার প্রমাণ ২০১৪ সালে যখন নির্বাচন হবে কী হবে না তা নিয়ে বিতর্ক চলছিল তখন আমি জেলে বসে দেখলাম মুহূর্তে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বারেবারে দিল্লি ছুটে যাচ্ছেন, কেন?’

রবিবার (৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মাহমুদুর রহমান বলেন- ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের বিরূপতার পাশে দাঁড়িয়ে আছে বাঙালি জাতীয়তাবাদ। কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবাদের লক্ষ্যটা হচ্ছে ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের কাছে নতি স্বীকার করা। ভারতের দিকে তাকিয়ে থাকা এবং আমাদের সংস্কৃতির জন্য কলকাতামুখী হওয়া। অথচ এটা আধিপত্যবাদ, এটাই আগ্রাসন। আর তাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সেই আগ্রাসন থেকে সমগ্র জাতিকে মুক্ত করতে দিয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদ।’

উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মাহমুদুর রহমান বলেন- ‘আপনারা যদি দিল্লির কোনো কলোনির লোক না হতে চান তাহলে জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে ধারণ করুন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে রাজপথে নামুন। দিল্লির দাসত্বে যে সরকার ক্ষমতায় আছে সেই সরকারকে উৎখাত করে দিন। তবেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ফেরত আসবে। আর যদি সেটা করতে না পারেন, তাহলে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা তো চলে গেছে। শেখ হাসিনা যদি বাংলাদেশে আরেকটি ৫ জানুয়ারির নির্বাচন করতে পারেন তাহলে বাংলাদশের পতাকাও চলে যাবে।’

তিনি বলেন- ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মানবাধিকার এবং আমাদের পতাকা, যে পতাকা অর্জন করতে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়েছেন। সেই পতাকা ধরে রাখতে অবশ্যই দখলদার সরকারকে উৎখাত করতে হবে। দিল্লির সম্প্রসারণবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। আর এজন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। জেল-জুলুম দূরে রেখে বুলেট মোকাবিলা করার শক্তি সাহস নিয়ে রাজপথে থাকতে হবে।’

মাহমুদুর রহমান এও বলেন- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ৫ জানুয়ারির মতো আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হলে দেশ থেকে বাংলাদেশের পতাকাও হাতছাড়া হয়ে যাবে। ফলে এবার শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

আগামী দিনে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে একমাস ব্যাপী আলোচনা সভার আয়োজন এবং প্রতিদিন জিয়াউর রহমানের একেকটি অবদানের বিষয় তুলে ধরতে হবে। এবং সর্বশেষ দিন রাজধানীতে একটি জনসভা হবে আর সেই জনসভার জন্য কারও অনুমতির তোয়াক্কা করা হবে না বলেও বিএনপিকে প্রস্তাব দেন।

সংগঠনের সভাপতি শফিউল বারী বাবু’র সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও নগর বিএনপি (দক্ষিণ) সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, নগর বিএনপি (উত্তর) সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরুজ্জামান, ফখরুল ইসলাম রবিন, এস এম জিলানী, গাজী রেজওয়ানুল হক রিয়াজ, নজরুল ইসলাম, রফিক হাওলাদার, আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, জাহিদ হোসেন এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৫৪ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30