শিরোনামঃ-

» ভূমিদস্যুদের কালো থাবা; পৈত্রিক ভিটা ছাড়া গোলাপগঞ্জের ফয়জুন

প্রকাশিত: ০৫. জুন. ২০১৭ | সোমবার

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোলাপগঞ্জে ভূমিদস্যুদের কালো থাবায় পৈত্রিক ভিটা থেকে বিতাড়িত তিনি। স্বামী-সন্তান নেই, পিতৃভিটেও যার স্থান নেই, ভবঘুরে দিনযাপনকারী সেই বৃদ্ধার নাম ফয়জুন বেগম।

ষাটোর্ধ ফয়জুন বেগম সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার শিলঘাট পশ্চিম (লম্বাগাঁও)এর মরহুম শেখ লোদাই মিয়া ওরফে ইসমাইল আলীর মেয়ে। পাকিস্তান সেটেলমেন্ট জরিপি উপজেলার ৫৭ নং শিলঘাট মৌজায়ই মা-বাবার কোলে জন্ম হয়েছিল তার। ওই মৌজার ছাপা ৩৭৯ খতিয়ানের  ৯৯৬, ৯৯৭, ৯৯৮, ৯৯৯, ১০০০, ১০০১, ১০০২, ১০০৩ ও ৫৪৯ দাগে প্রায় ১০ কেদার বাড়ি-জমির মালিক ছিলেন তার বাপ-চাচা। স্বামীর মৃত্যুর পর পিতৃগৃহে চলে যান ফয়জুন এবং বর্তমানে তার মা-বাবাও নেই ।

উত্তারধিকারী সূত্রে তিনি পৈত্রিক বাড়িভিটার আধবিঘারও বেশী ভূমির মালিক ছিলেন তিনি। ছিল মা-বাবার রেখে যাওয়া ঘর-দরজা। এমতাবস্থায় দেশে আসে ভূমির হালজরিপি বোজারত অর্থাৎ বাংলাদেশ জরিপী কার্যক্রম।

ফয়জুন বেগমের অভিযোগ- ওই এলাকার ইসরান আলী, মালেক চৌধুরী, মাসুদ চৌধুরী, আব্দুন নূর, শফিক ও রফিক সহ একটি ভূমিদস্যূ চক্র জরিপকালে তার বাবার নামে জাল দলিল তৈরী করে। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তার পিতৃ ও মাতৃভিটার মালিকানা পর্চা হাতিয়ে নেয় তারা।

মাঠ জরিপের অসাধু কর্মকর্তারা পৈত্রিক ভিটে-মাটির এক শতকও দেন নি তাকে। অনেক আপত্তি বিপত্তির পর কাগজপত্রে তাকে মাত্র তিন শতকের মালিকানা পর্চা দেয়া হলেও প্রভাবশালী ভূমিদস্যূরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা তাকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয় পিতা-মাতার ভিটবাড়ি ও ঘর থেকে।

ভবঘুর অবস্থায়-থেকে পিতৃভিটা ফিরে পেতে আপীল (নং-১২৯৮১/১৫) করেন তিনি। কিন্তু ভূমিখেকোদের মোটা অংকের টাকা পেয়ে আপীল অফিসার জাহেদ হোসেন তাকে তাড়িয়ে দেন সেটেলমেন্ট অফিস থেকে।

এমতাবস্থায় খেয়ে না খেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হচ্ছে ষাটোর্ধ এই মহিলাকে। ফয়জুন বেগম তার পিতৃভিটা ফিরে পেতে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সকলমহলের সুদৃষ্টি ও আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৪৮ বার

Share Button

Callender

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30